১৫ বছর আগে ২০০২ সালে রেকর্ড হওয়া ১০টি গান নিয়ে প্রকাশ হলো ‘এই কি জীবন’। বাংলা ঢোল থেকে ডিজিটাল আকারে প্রকাশিত অ্যালবামটির এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে।
অনুষ্ঠানে তনিমা হাদীকে শুভকামনা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা। মেয়ে ও তার গান নিয়ে সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, এটি আমার মেয়ের অ্যালবাম প্রকাশের অনুষ্ঠান নয়, এটি সংগীত পরিবারের একটি অনুষ্ঠান। আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম গান করছে, এটি আমাদের জন্য আনন্দের। ’
তিনি তনিমার উদ্দেশে বলেন, ‘এই যুগ শুধু গান শোনার জন্য নয়, এটা এন্টারটেইনমেন্টের যুগ। কাজেই তোমাকে এন্টারটেইনার হতে হবে। আমি বলেছি, এটা তোমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি চাইও না। তুমি গানের মতো গান করো। তোমার এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি, জানার বাকি। তোমার সৌভাগ্য এতোগুলো গুণী মানুষ তোমার অনুষ্ঠানে এসেছেন, তোমাকে দোয়া করছেন। এই দোয়া তখনই সার্থক হবে যখন তুমি সত্যিকারভাবে গান গাইতে পারবে। ’
অ্যালবামটি সম্পর্কে আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘তন্বি আমার ভাতিজি। ও খুব সুন্দরভাবে গেয়েছে গানগুলো। বেশির ভাগ গান ‘ওয়ান টেক’- এ রেকর্ড করা। ২০০২ সালে গানগুলো তৈরি করেছিলাম। এর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জরিয়ে আছে। ’
আলম খান বলেন, ‘অনুষ্ঠনে এসে তনিমার কিছু গান শুনেছি। কানের আরাম পেলাম। শিল্পীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় গানে ল্যান্ড করা। ওর মধ্যে বিষয়টি লক্ষ করেছি। গানগুলো চমৎকার গেয়েছে সে। ’
নিজের গান নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তনিমা হাদী। তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ হলো। গানগুলো রেকর্ডিংয়ের সময় তিনি আমার সঙ্গে স্টুডিওতে যেতেন। আজ মা নেই। তিনি বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই অনেক খুশি হতেন। ’
তনিমা হাদীর অ্যালবামের গানগুলোর শিরোনাম ‘এই কি জীবন’, ‘এভাবেই ফিরিয়ে দেবে’, ‘ঘুমিয়ে পড়েছে’, ‘যাক ভেসে যাক’, ‘নীরব রাতে’, ‘রাত এলে’, ‘শেষ বিকেলে গল্প’, ‘স্বপ্ন মানে’, ‘তোমাকে নিয়ে’ ও ‘তুমি আছো’। অনুষ্ঠানে তনিমা ‘এই কি জীবন’ ও ‘শেষ বিকেলের গল্প’ গেয়ে শোনান। এ সময় গিটার বাজিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু।
মোবাইলফোন ব্যবহারকারীরা তাদের যে কোনও নম্বর থেকে ৪৬৪৬-এ ডায়াল করে অথবা গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘বাংলালিংক বাংলাঢোল’ অ্যাপ, ‘রবি বাংলাবিটজ’ অ্যাপ ডাউনলোড করে ‘এই কি জীবন’ অ্যালবামের গানগুলো শুনতে পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এসও