পুলিশ-সিআইডি-র্যাব ঘুরে বর্তমানে অপমৃত্যুর মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই বলছে, সুলতানা রুবির ভিডিওটি তদন্তের একটি অংশ হতে পারে তবে এটি তদন্তের মোড় ঘুরানোর মতো কিছুই না।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামির বিষয়টি আসবে। তখন আসামিদের কে কোথায় আছেন খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর এই মামলার তদন্তভার পাওয়া পিবিআই'র এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার আলামত বলতে তেমন কিছুই অবশিষ্ট নেই। ওই বাসার বাবুর্চি, দারোয়ান থেকে শুরু করে প্রায় সবাই দেশের বাইরে রয়েছেন। মামলায় সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য যাদের খোঁজা হচ্ছে তাদের কাউকেই এখন পাওয়া যাচ্ছে না।
মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, অপমৃত্যুর মামলায় সালমান শাহ্ আত্মহত্যা করেছেন কি না প্রমাণের চেষ্টা করা হবে। এ ঘটনায় কোনো হত্যা মামলা করা হয়নি। সালমান শাহ্’র মা হত্যা মামলার আবেদন করেছিলেন, তবে এটি এখনও গ্রহণ করা হয়নি। অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই মামলাটি গ্রহণের বিষয়টি আসবে।
ভিডিওর বিষয়ে তিনি বলেন, ভিডিওটি আমলে নেওয়া হয়েছে, তবে সে নিজের স্বার্থে বা কারো কথায় ভিডিওটি তৈরি করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে আমরা সালমান শাহ্’র বিউটিশিয়ান সুলতানা রুবিকে খুঁজছিলাম। তাকে খুঁজতে সিলেটেও অভিযান চালানো হয়। গতকাল সুলতানা রুবির নামে যে ভিডিওটি দেখা গিয়েছে সেটি আমাদের তালিকায় থাকা রুবি কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।
এছাড়াও আমরা আইনের চোখে ভিডিওটির বৈধতা খুঁজছি। ভিডিওটি সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যায় কিনা এ বিষয়ে আমরা আদালতে আবেদন করবো। আদালতের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিওটির মেসেজগুলো যাচাই করা হবে।
এরপর সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রুবিকে দেশে ফিরিয়ে তার সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
পিএম/আরআর