এই প্রজন্মের সিনেপ্রেমীদের কাছেও তার আকর্ষণে ভাটা পড়েনি। সোনালি সেই ঝলক নিয়ে আবার ফিরে এসেছেন মধুবালা, তবে বাস্তবে নয়, মোমের অবয়বে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিল্লির মাদাম তুসোর মিউজিয়ামে উদ্বোধন হয়েছে মধুবালার মোমের মূর্তি। অভিনেত্রীর জনপ্রিয় ছবি ‘মুঘল-এ-আজম’-এর ‘আনারকলি’ রূপেই তৈরি করা হয়েছে মূর্তিটি। ‘মোহে পানঘাট পে’ গানের একটি দৃশ্যকে মূর্তির রূপ দেওয়া হয়েছে। মূর্তি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধুবালার বোন মধুর ব্রিজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মধূরকে প্রশ্ন করা হয় বোন মধুবালার জীবনী নিয়ে ছবি নির্মিত হলে তাতে অভিনয় করবেন কি-না? জবাবে মধূর জানান, ‘একটা সময় ছিলো যখন আমি মধুবালার চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতাম। কিন্তু আমি এখন চাই এ চরিত্রে কারিনা কাপুর খানকে নেওয়া হোক। কেননা তার মধ্যেও মধুবালার মতো চঞ্চলতা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি একজন অসাধারণ অভিনেত্রীও বটে। ’
এদিকে বোনের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করে মধূর বলেন, ‘মধুবালা খুব সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। তিনি ঘরের বড় ছিলেন কিন্তু কখনও কারও ওপর হুকুম চালাননি। এমনকি তিনি ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমাদের উৎসাহিত করতেন। ’
১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন মধুবালা। হিন্দি চলচ্চিত্রে নারী তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৪২-১৯৬২ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। অভিনয় করেছেন ‘মহল’ (১৯৪৯), ‘অমর’ (১৯৫৪), ‘চালতি কে নাম গাড়ি’ (১৯৫৮), ‘মুঘল-ই-আজম’ (১৯৬০) ও ‘বারসাত কি রাত’ (১৯৬০) ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যেতে হয় তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
বিএসকে/এসও