অভিনেত্রী কুসুম সিকদারের ওই মিউজিক ভিডিও ‘নেশা’ এর বৈধ-অবৈধ সব ভিডিও ও টিজার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিতে রোববার (১৩ আগস্ট) এ আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত ০৩ আগস্ট বঙ্গবিডিতে প্রকাশিত ‘নেশা’ গানটির বিরুদ্ধে ই-মেইল, ডাক ও কুরিয়ারযোগে গানটির প্রকাশক ‘বঙ্গ’সহ গানটির মডেল কুসুম সিকদার ও খালেদ হোসাইন সুজনকে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব।
নোটিশে বলা হয়, ‘নেশা’ শিরোনামের ভিডিওটি শুরুই হয় ‘চোখে আমার তোমার নেশা, শ্বাসে আমার তোমার নেশা, সারা দেহে তোমার নেশা, রগে রগে তোমার নেশা, তোমায় পান করে....জ্ঞান হারাই, হই মাতাল’ এমন ‘উত্তেজক’ কথার আবৃত্তি দিয়ে। এরপর একের পর এক আপত্তিকর, যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল দৃশ্য’।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ভিডিওটিতে পুরো গানে পাঁচটি গোসলের দৃশ্য, সাতটি সুইমিং পুলের দৃশ্য, একটি শয্যাদৃশ্য ও তিনটি চুম্বন দৃশ্য রয়েছে’।
‘গানের কথার সঙ্গে এসব দৃশ্যের কোনো মিল বা সংযোগ নেই। নিতান্তই গানটিকে দ্রুত জনপ্রিয় করার সস্তা রাস্তা হিসেবে ওই সব দৃশ্য সংযোজন করা হয়েছে’।
‘এমনকি ভিডিওটির কভার ছবিও অত্যন্ত অশ্লীল এবং আপত্তিকর’ বলে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘এ ধরনের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা ও প্রকাশনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং পর্নোগ্রাফি আইন, ২০১২ এর ৮ ধারামতে দণ্ডনীয় অপরাধ’।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও তথ্যসচিবকে নোটিশের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘নেশা’ ভিডিওটি সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়।
একই সঙ্গে ইউটিউব ও অনলাইনে মিউজিক ভিডিও‘র নামে শরীর সর্বস্ব ও অশ্লীল ভিডিও তৈরি ও প্রকাশনা মনিটরিং, রোধ ও বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আগামী এক মাসের মধ্যে বর্তমানে অনলাইনে বিদ্যমান অশ্লীল ভিডিওগুলো সরানোর অনুরোধ জানানো হয়।
আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব জানান, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গানটি না সরালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
* ‘নেশা’ গানের ভিডিও: