আমেনা তথা এভ্রিলের জন্ম চট্টগ্রামের একটি সাধারণ কৃষক পরিবারে। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এভ্রিলের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয় বরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমেনার বিয়ে হয়েছিলো। আবার ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। খুব সম্ভবত ছেলের টাকা দেখে বিয়ে করেছিলো। পরে আমেনা নিজেই পালিয়ে যায়। ’
নূরুল ইসলাম আরও জানান, খুব গোপনীয়ভাবে বিয়ে হয়েছিলো আমেনার। এ কারণে খবরটি খুব বেশি মানুষ জানেনি। এখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার কারণে অনেকে বিষয়টির খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
কাগজপত্র বলছে, ২০১৩ সালের ১১ জুন চন্দনাইশ পৌর এলাকার বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী রানার সঙ্গে এই সুন্দরীর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তাদের বিয়ের দেনমোহর ছিলো ৮ লাখ টাকা।
এভ্রিল অল্প বয়সেই মোটরবাইক চালানো শেখেন। এরপর ধীরে ধীরে একে শখে পরিনত হয়। এ যানকে ঘিরেই চলতে থাকে তার নানা কসরত। ফেসবুকে বাড়তে থাকে ফ্যান-ফলোয়ার।
কথিত আছে, নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘদিন পর তার বাবা-মা জানতে পারেন, স্থানীয় এক তরুণের হাত ধরে ঢাকায় আসেন আমেনা। ঢাকায় জান্নাতুল নাঈম আমেনা হয়ে যান জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। এভাবেই উঠে আসেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
আমেনা তথা এভ্রিল এখন রীতিমত ‘অঘটনঘটনপটিয়সী’। এ অবস্থায় এই ‘বিজয়ী’কে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন আয়োজকেরা। বিতর্কের মুখে তাকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মূল আসরে পাঠানো ঠিক হবে তো? সূত্র বলছে, এভ্রিল নয়, মূল আসরে যাবেন রানারআপ হিমি। বিতর্ক এড়াতে এ ছাড়া আর কী উপায় আছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজ ও অমিকন এন্টারটেইনমেন্টের হাতে?
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এসও