মৃত্যুর আগে তার নামে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিলো। মৃত্যু নিশ্চিত করে ‘টম পেটি অ্যান্ড দ্য হার্টব্রেকারস’ ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক টনি ডিমিট্রায়াডস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মালিবুতে নিজ বাড়িতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় টম পেটিকে।
টমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী তারকারা। এই তালিকায় আছেন স্যার পল ম্যাকার্টনি, রিঙ্গো স্টার, কিড রক, জন মেয়ার, কোল্ডপ্লে, ব্রায়ান উইলসন, ক্যারল কিং, সিন্ডি লাউপার, স্টিফেন কিং, কিফার সাদারল্যান্ডসহ প্রমুখ।
নোবেলজয়ী কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বব ডিলান বলেছেন, ‘আমার জন্য খুবই কষ্টের খবর। আমি ভেঙে পড়েছি। টমকে খুব মনে পড়ছে। তিনি ছিলেন দারুণ পারফর্মার আর একজন ভালো বন্ধু। ’
১৯৫০ সালের ২০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডার গেইন্সভিলেতে জন্মেছিলেন টম পেটি। ১৯৬০ সালে চাচার (আলোকচিত্রী) মাধ্যমে এলভিস প্রিসলির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও হাত মেলানোর পর তার জীবন বদলে যায়। ১৯৬২ সালে তার হাতে প্রথম আসে গিটার।
স্কুলে দ্য সানডাউনার্স ও দ্য এপিকস ব্যান্ডে গান-বাজনা করতেন। ১৭ বছর বয়সে গঠন করেন মাডক্রাচ নামের একটি ব্যান্ড। এটি ভেঙে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে কয়েকজন মিলে গড়ে তোলেন ‘টম পেটি অ্যান্ড দ্য হার্টব্রেকারস’ ব্যান্ড। ১৯৭৬ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পরপরই খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। ২০০২ সালে রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমে যুক্ত করা হয় তার নাম। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় টম পেটির আত্মজীবনী ‘পেটি: দ্য বায়োগ্রাফি’।
টম পেটির জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে— ‘লার্নিং টু ফ্লাই’, ‘ডোন্ট কাম অ্যারাউন্ড হিয়ার নো মোর’ (১৯৮৫), ‘আমেরিকান গার্ল’ (১৯৭৬), ‘রিফিউজি’ (১৯৭৯), ‘আই ওন্ট ব্যাক ডাউন’ (১৯৮৯), ‘ডোন্ট ডু মি লাইক দ্যাট’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
বিএসকে/এসও