ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

বিকেলে বাউল বাড়িতে বারী সিদ্দিকীর দাফন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
বিকেলে বাউল বাড়িতে বারী সিদ্দিকীর দাফন বারী সিদ্দিকী (ফাইল ছবি)

ঢাকা: প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীকে (৬৩) নেত্রকোনায় নিজ গ্রামের বাড়ি ‘বাউল বাড়ি’তে দাফন করা হবে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বাদ আসর সেখানে তাকে দাফন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাউল বাড়িতে সমাহিত করার বিষয়ে তার শেষ ইচ্ছে ছিল বলে ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী জানিয়েছেন।

 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) প্রাঙ্গণে বারী সিদ্দিকীর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তৃতীয় ও শেষ জানাজা হবে নেত্রকোনা সদর উপজেলার গ্রামের বাড়ির স্কুল প্রাঙ্গণে।

সাব্বির সাদ্দিকী বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে গেলো। শেষ একটা কাজ করে যেতে পারেননি। শিশুদের জন্য তিনি একটি আশ্রম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। গ্রামের বাড়িতে সেই আশ্রম তৈরিতে সবাই সহযোগিতা করবেন, এগিয়ে আসবেন বলে আশা করি।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত সোয়া দুটার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আধ্যাত্মিক ও লোকগানের এই প্রথিতযশা শিল্পী। গত কয়েকদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতালের কাস্টমার সার্ভিসের কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী বাংলানিউজকে বলেন, রাত সোয়া দুইটার পর বারী সিদ্দিকী ইন্তেকাল করেছেন।

গত রোববার (১৯ নভেম্বর) চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে ছেলে সাব্বির বাংলানিউজকে বলেছিলেন, চিকিৎসকরা কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি, বাবা আগের মতোই আছেন। কোনো শারীরিক উন্নতি দেখছেন না তারা।

সাব্বির তখন আরও জানিয়েছিলেন, তার বাবা গত দুই বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বছর থেকে সপ্তাহে তিনদিন কিডনির ডায়ালাইসিস করে আসছিলেন। ডায়াবেটিসও ছিল তার। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৮ নভেম্বর শনিবার ভোররাতে বারী সিদ্দিকীকে লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা। বারী সিদ্দিকীর দুটি কিডনিই অকার্যকর হয়ে পড়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয় বলে তখন সাংবাদিকদের জানান চিকিৎসকরা।

বহু বছর ধরে সংগীতের সঙ্গে জড়িত এই গুণী শিল্পী। তবে দেশবাসীর কাছে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে ছয়টি গান করেন তিনি, যার প্রতিটিই বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘সুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পূবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’ এবং ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’।

এসবের বাইরেও তিনি কয়েকটি সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছেন। তার গাওয়া গান নিয়ে বের হয়েছে অডিও অ্যালবাম। নিয়মিত গান করেছেন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ও গানের আসরে। এসব আসর ছিল ব্যাপক দর্শক-শ্রোতা নন্দিত।

**বারী সিদ্দিকীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঢাবি প্রাঙ্গণে বারী সিদ্দিকীর জানাজা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
এসজেএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।