সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শশী কাপুরকে রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়।
তার ভাতিজা অভিনেতা রণধীর কাপুর সাংবাদিকদের জানান, বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগতে থাকা এই শক্তিমান অভিনেতার বাইপাস সার্জারি হয় ২০১৪ সালে। সেজন্য তিনি সংক্রমণেই (চেস্ট ইনফেকশন) মারা গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
শশী কাপুর এক কন্যা সঞ্জনা কাপুর এবং দুই পুত্র কুনাল কাপুর ও করণ কাপুরের জনক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে ইংরেজ অভিনেত্রী জেনিফার কেন্ডালকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে মারা যান জেনিফার। বলিউডের বিখ্যাত কাপুর পরিবারের সদস্য শশী ছিলেন পৃথ্বীরাজ কাপুরের কনিষ্ঠ সন্তান। তার দুই ভাই রাজ কাপুর ও শাম্মী কাপুরও দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বলিউড। ঋষি কাপুর ও রনধীর কাপুররা এই পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম। কাপুর পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম হিসেবে বলিউড কাঁপাচ্ছেন কারিশমা, কারিনা ও রণবীররা।
১৯৬১ সালে ‘ধর্মপুত্র’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটে শশী কাপুরের। এরপর দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি দেড় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরমধ্যে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘ধীবর’, ‘সুহাগ’, ‘নামাক হালাল’, ‘কাভি কাভি’, ‘আওয়ারা’, ‘চোর’, ‘কালা পাত্থর’ ও ‘ত্রিশূল’ উল্লেখযোগ্য।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১১ সালে সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করেন। ২০১৫ সালে তিনি কাপুর পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে সম্মানজনক ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ লাভ করেন। এর আগে এই পুরস্কার পান তার বাবা পৃথ্বীরাজ ও ভাই রাজ কাপুর।
১৯৭০ ও ৮০ এর দশকে ‘বলিউড শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অনেক ‘ব্লকবাস্টার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শশীকে তার ভক্তরা ভারতীয় শোবিজের সবচেয়ে ‘হ্যান্ডসাম তারকা’ বলে অভিহিত করে থাকেন।
‘ধীবর’ চলচ্চিত্রে তার আওড়ানো সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’ (আমার সঙ্গে মা আছেন) বলিউড ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বজুড়ে খ্যাত। এই ছবিতে এক অপরাধী ও এক পুলিশ ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন অমিতাভ ও শশী কাপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭/আপডেট ২০১১ ঘণ্টা
এইচএ