এক লাখ রুপির জামানত দিয়ে জামিন পেলেন সল্লু। একই সঙ্গে শর্ত দেওয়া হয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছাড়া ৫২ বছর বয়সী এই তারকা ভারতের বাইরে যেতে পারবেন না।
এরই মধ্যে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে গেছে সালমানের জামিননামা। ধারণা করা হচ্ছে, কারাগারের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা বেজে যাবে। এ কারণে আজ আর মুম্বাই ফিরতে পারছেন না রূপালি পর্দার ‘টাইগার’। রাতটা যোধপুরের একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকতে হবে তাকে।
সালমানের আইনজীবী জানান, কারাগার থেকে ‘সুলতান’ তারকা সরাসরি হোটেলে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে রোববার (০৮ এপ্রিল) সকালে বিমানযোগে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরের বিচারিক আদালতে সালমানের জামিন আবেদনের শুনানি হয়। এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত জামিনের রায় দেন।
জামিন আদেশ প্রদানকালে আদালতে আইনজীবীসহ ছিলেন সালমানের দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা খান শর্মা। তাদেরকে আদালতে নিয়ে আসেন ‘বডিগার্ড’ তারকার দেহরক্ষী শেরা।
১৯৯৮ সালে সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির দৃশ্যধারণ চলাকালে থর মরুভূমির শহর যোধপুরের কাছে কঙ্কানি গ্রামে বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১৯৯৯ সালে মামলা হয়। এতে সালমান ছাড়াও আসামি করা হয় সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে। তবে বাকিরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
প্রাথমিক বিচার প্রক্রিয়ায় ২০০৭ সালে যোধপুর কারাগারে ঢুকতে হয় সল্লুকে। তারপর জামিনে মুক্ত হন তিনি। গত বছর এই মামলায় নির্দোষ প্রমাণ হন তিনি। কিন্তু পরে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবারও আপিল করা হয়। গত ৫ এপ্রিল আদালত তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেন। ওইদিন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যোধপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে। অবশেষে জামিনে ছাড়া পাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
বিএসকে