ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ মে) রাতে নিজ বাড়িতে ব্রেন স্ট্রোক করেন ললিতা। রাতেই তাকে বাইপাসের ধারে মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি করানো।
মহানায়ক উত্তম কুমারের ভক্ত ছিলেন ললিতা। চলচ্চিত্র জগতে আসাও মহানায়কের হাত ধরেই।
একদিন প্রিয় নায়কের ছবির শুটিং দেখতে গিয়েছিলেন ললিতা। তাকে দেখেই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন উত্তম কুমার। প্রিয় নায়কের সে আরজির মান রেখেছিলেন। এক সন্তানের জননী হয়েও নতুন করে শুরু করেছিলেন জীবন। উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘বিভাস’ ছবির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল সে যাত্রা।
এরপর ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’, ‘জয়জয়ন্তী’, ‘মেমসাব’ থেকে ‘হার মানা হার’, ‘ভিক্টোরিয়া নম্বর ২০৩’, ‘তলাশ’, ‘আপ কি কসম’-এর মতো ছবিগুলোতে অভিনয় করেছেন ললীতা। ইংরাজিতেও দক্ষ ছিলেন তিনি। সবশেষ অরিন্দম শিলের ‘আসছে আবার শবর’-এ দেখা গিয়েছিলো বর্ষীয়ান এই নায়িকাকে। অভিনয়ে আসার আগে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই শেষ করেছিলেন আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তর ‘জোনাকি’ শুটিং। বুধবার সকালে তার অসুস্থতার খবর পেয়ে দেখতে গিয়েছিলেন শিল্পী সংসদের সভানেত্রী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিউডের শিল্পীমহলে। শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, আজ না ফেরার দেশে চলে গেছেন ললতি চট্টোপাধ্যায়। অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি রয়েছে আপনার সঙ্গে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আপনাকে অনেক মিস করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
বিএসকে