বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুরে শুভশ্রীর নিজের বাড়িতে আসেন জামাই রাজকে নিয়ে। বাড়িতে ঢোকার আগে পারিবারিক কালীমন্দিরে প্রণাম ও রীতি সারেন তারা।
পোলাও ও মাংস খেতে পছন্দ করে রাজ। তাই জামাইয়ের বিশেষ পছন্দগুলো নিজে হাতে রান্না করেছেন বীণাদেবী। এছাড়া শুভশ্রীর প্রিয় লুচি এবং নারকেল দিয়ে আলুর তরকারিও রান্না করেন তিনি।
মেয়ে জামাই বাড়িতে আসায় রঙিন বাতি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বাড়ি। বাড়িতে ঢোকার মুখে তৈরি করা হয়েছে ফুলের গেট। অষ্টমঙ্গলার অনুষ্ঠান হয়েছে সকালেই। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান মেনে বিয়ে করেছেন রাজ ও শুভশ্রী। তাই অষ্টমঙ্গলাতেও সব ধরনের আচার পালন করতে চান তারা।
জানা যায়- বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরে অষ্টমঙ্গলার একটি পর্ব সেরে শুভশ্রীকে কোলে নিয়ে ফিল্মি কায়দায় বাড়ি ফিরেছেন রাজ। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর শুভশ্রীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে রাজ। এখন তারা বর্ধমানের রেনেসাঁ টাউনশিপে বিলাসবহুল ট্যুরিস্ট রিসর্টে। সেখানেই হবে রিসেপশন।
শুভশ্রী ও রাজকে সাজানোর জন্য কলকাতা থেকে এসেছে মেকআপ আর্টিস্ট। আজকের রিসেপশনে ভারতের জনপ্রিয় ডিজাইনার সব্যসাচীর ডিজাইন করা পোশাক পরবেন শুভশ্রী। রাজও বিশেষ ধরনের পোশাকে সাজাবে নিজেকে। সাজগোজের পর রিসর্টের স্যুইট থেকে নব-দম্পতি হাজির হবেন ব্যাঙ্কোয়েটে।
এখানেই শেষ নয়, শুভশ্রী-রাজের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা থেকে এসেছেন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৩০জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী। এছাড়াও আছেন পুলিশ।
অনুষ্ঠানের ছবি তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুভশ্রীর পরিবারের নিযুক্ত ক্যামেরাম্যানই শুধু ছবি তুলতে পারবেন।
জানা গেছে- শুভশ্রীর ছোটবেলার স্কুল মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরাও রিসেপশনে হাজির থাকবেন। আসবেন রাজের পরিবার ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সব মিলিয়ে ৬শ’ জনের নিমন্ত্রণ রয়েছে অনুষ্ঠানে। তবে এই রিসেপশনে টলিউড সে ভাবে আমন্ত্রিত নয়।
প্রীতিভোজে থাকছে প্রায় ৩০ রকমের পদ। স্টার্টার হিসেবে থাকবে পাঁচ রকমের পদ। এছাড়াও হলুদ পোলাও, চিকেন ও মটনের ছয় রকমের পদ থাকবে। থাকছে বিরিয়ানি,সাদা ভাত, পাবদা ও গলদা চিংড়ি এবং ভেটকি মাছের ফিস ফ্রাই উইথ চিজ।
রাজ-শুভশ্রীর আজকের রিসেপশনে নানা ধরনের খাবারের স্টল বসবে। যেখানে থাকবে মিষ্টি, আইসক্রিম, ফুচকা, দইবড়া, পান, ঠান্ডা পানীয়। এছাড়া থাকছে পাঁচ রকমের মিষ্টি। শুভশ্রীর বাবার বিশেষ পছন্দের মালপোয়ার উপর রাবড়ি ছড়ানো মিষ্টি থাকবে। এছাড়াও মকটেলের ব্যবস্থাও থাকছে রিসেপশনে।
ছোটবেলা থেকেই বাজি পোড়ানোর শখ রয়েছে শুভশ্রীর। প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত জ্বলবে বাজি। এসব বিশেষ ধরনের বাজি নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা থেকে। এখানেই রাজ-শুভশ্রীর পরিবারের আত্মীয় ও বন্ধুরা আশীর্বাদ করবেন নব-দম্পতিকে।
আজ রিসর্টেই রাত্রিযাপন করবেন রাজ ও শুভশ্রী। পরের দিন সকালে দুর্গাপুরের কালীমন্দিরে গিয়ে পুজা করবেন তারা। দুর্গাপুরের কালীর প্রতি আস্থা রয়েছে শুভশ্রীর। এরপর সেখান থেকে আর একবার বাড়ি হয়ে কলকাতা ফিরবেন নব-দম্পতি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ১৮ মে, ২০১৮
এসএস/বিএসকে