ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কান উৎসব

গৃহবন্দি পানাহি হলেন সেরা চিত্রনাট্যকার

মো. জহিরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
গৃহবন্দি পানাহি হলেন সেরা চিত্রনাট্যকার জাফর পানাহি

৭১তম কান উৎসবের প্রথম থেকেই ইরানি পরিচালক জাফর পানাহির ছবি ‘থ্রি ফেসেস’ ছিলো আলোচনায়। ছবিটি জিতে নিলো এবারের আসরের সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার।  নির্মাতা জাফর পানাহি ও নাদের সায়েভার যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন।

তবে ‘গৃহবন্দি’ থাকার কারণে পুরস্কার নিতে পারেননি পানাহি। তার পক্ষ থেকে শনিবার (১৯ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনি দিনে পুরস্কার গ্রহণ করেন মেয়ে সোলমাজ পানাহি।

এছাড়াও উৎসবে যৌথভাবে সেরা চিত্রনাট্যকার হয়েছেন ইতালির নারী নির্মাতা অ্যালিস রোরওয়াচার। তিনি ‘হ্যাপি অ্যাজ লাজ্জারো’ ছবির জন্য পুরস্কার জিতেন।

ইরান সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এনে ২০১০ সালে স্ত্রী-কন্যাসহ জাফর পানাহিকে গ্রেফতার করে। তখন তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, সঙ্গে ২০ বছর চলচ্চিত্র নির্মাণে নিষেধাজ্ঞাও। কারাভোগের পর এই নির্মাতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। বিদেশ ভ্রমণ ও সব রকম সাক্ষাৎকার দেওয়াতেও দেশটির আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নির্মাতা অ্যালিস রোরওয়াচারের (বায়ে) সঙ্গে জাফর পানাহির মেয়ে সোলমাজ পানাহিএরপরও থমকে যাননি ৫৭ বছর বয়সী এই হার না মানা নির্মাতা। সব প্রতিবন্ধকতাকে পায়ে ঢেলে নির্মাণ করে গেছেন চলচ্চিত্র। বন্দি জীবনে মোট চারটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। এর একটিই হলো ‘থ্রি ফেসেস’।

ছবিটি নির্মাণের পাশাপাশি পানাহি এতে অভিনয়ও করেছেন। তবে ছবিটির গল্প গড়ে উঠেছে তিন নারীকে কেন্দ্র করে। চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন কোবরা সাইদি, বেহনাজ জাফারি ও মারজিয়ে রেজায়ি।

কান উৎসবের ষষ্ঠ দিন (১৩ মে) ‘থ্রি ফেসেস’র প্রদর্শন উপলক্ষে রাখা হয় সংবাদ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ছবিটির দুই অভিনেত্রী মারজিয়ে রেজায়ি ও বেহনাজ জাফারি। তাদের সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক আমিন জাফারি ও ভিডিও সম্পাদক মাসতানাহ মাহোজার।

ফ্রান্স সরকার ইরান সরকারের কাছে পানাহিকে আসতে দেওয়ার সুপারিশ করলেও তাতে কাজ হয়নি। তার সম্মানে সংবাদ সম্মেলনের একটি চেয়ার শূন্য রাখা হয়।

‘থ্রি ফেসেস’ নির্মাণ করাটা এতো সহজ ব্যাপার ছিলো না। নিষেধাজ্ঞা কাঁধে নিয়ে লুকিয়ে পুরো ছবির শুটিং শেষ করতে হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন ছবিটির অভিনেত্রীদ্বয়। তারা বলেন, নারীদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতেই এই ছবি।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রামে ছবিটির শুটিং হয়। স্থানগুলোর মধ্যে একটি পানাহির বাবার জন্মস্থান, একটি তার মায়ের আর অন্যটি তার দাদার। সেখানকার মানুষ পানাহিকে চেনেন তাই শুটিং করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
জেআইএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।