সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই টুকটাক গাইতেন টুম্পা। বাবা-মায়ের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এমনটাই জানালেন টুম্পা। আলাপচারিতায় জানা গেলো তার ঈদের প্রস্তুতি, ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ নানা কিছু। বাংলানিউজ: আপনি এখন তারকা। এবারের ঈদ নিশ্চয়ই অন্যরকম হবে।
টুম্পা: প্রথম কথা হচ্ছে, নিজেকে এখনও সেভাবে তারকা মনে করি না। তারপরও আমার ধারণা, এবারের ঈদ একটু অন্যরকম হবে। এরইমধ্যে অনেক গুণীজনের সান্নিধ্য পেয়েছি। যাদের মধ্যে আছেন গীতিকার কবির বকুল স্যার ও সুরকার আলি আকরাম শুভ। তাই বলতে পারি, এবারের ঈদ আমার জন্য একটু বেশি স্পেশাল।
বাংলানিউজ: ঈদ কোথায় উদযাপন করবেন?
টুম্পা: ঈদে মুন্সীগঞ্জে থাকবো। সেখানে বাবা-মা, ভাই-ভাবী, চাচা ও আমার আপনজনরা আছেন।
বাংলানিউজ: এবার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর সবাই আপনাকে একটু আলাদাভাবে দেখবে বলে মনে হয়?
টুম্পা: ভাবছি এবার গ্রামে গেলে কী হবে! জানি না তারা আমার জন্য কী করে রেখেছেন। কারণ আত্মীয়স্বজনরা আমাকে নিয়ে অনেক বেশি এক্সাইটেড। আর এও জানি, এবার গ্রামের বাড়িতে গেলে সবাই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন।
বাংলানিউজ: ঈদে কী কী গিফট পেলেন?
টুম্পা: অনেক গিফট পেয়েছি। সবচেয়ে বেশি পেয়েছি সালোয়ার-কামিজ। অনেক শপিংও করেছি। এখন শুধু আমার ছোট ভাই ও ভাতিজির জন্য কেনাকাটা বাকি। আমার প্রথম প্লেব্যাক করার জন্য যে পারিশ্রমিক পেয়েছি, তা আব্বু-আম্মুকে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি ঈদের কেনাকাটা করার জন্য।
বাংলানিউজ: ঈদে সর্বোচ্চ কত সালামি পেয়েছিলেন?
টুম্পা: একবার তিন হাজার টাকা পর্যন্ত সালামি পেয়েছিলাম। দিয়েছিলেন আমার নানাভাই।
বাংলানিউজ: এবার তো তারকা হিসেবে সালামি দিতেও হতে পারে আপনাকে...
টুম্পা: তা তো অবশ্যই দিতে হবে (হাসি)।
বাংলানিউজ: আপনার জীবনের প্রথম পারিশ্রমিক কত?
টুম্পা: আমার জীবনের প্রথম আয় ১৫ হাজার টাকা। আমি একটা অনলাইনে কাজ করেছিলাম, সেই সময় এই পারিশ্রমিক পাই।
বাংলানিউজ: তারকা হওয়ার পর কী কী পরিবর্তন ঘটেছে জীবনে?
টুম্পা: রাস্তায় বের হলে মুখোশ পরে বের হই। কিন্তু আমার সামনে এক লোক বাইক থামিয়ে জানতে চেয়েছেন, আপনি কি ‘অপরাধী’ গানের সেই টুম্পা না? এখন শুধু প্রেমের প্রস্তাব না, সরাসরি বিয়ের প্রস্তাবও পাই। তাছাড়া আগে আমার ফেসবুকে ফলোয়ার ছিলো ১৪ হাজার, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার।
বাংলানিউজ: এবারই প্রথম প্লেব্যাক করলেন, একটু কি টেনশন লাগছে?
টুম্পা: একটু টেনশন তো অবশ্যই হচ্ছে। এটি আমার জন্য একেবারেই নতুন একটি অভিজ্ঞতা। তাছাড়া কবির বকুল স্যারের মতো এমন একজন গুণী গীতিকারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জীবনে অনেক বড় একটি পাওয়া। আশা করছি, শ্রোতাদের ভালো লাগার মতো গাইতে পেরেছি। বাংলানিউজ: গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তেই কি কাভার সং করেছেন? নাকি স্রেফ শখের বশেই?
টুম্পা: শখের বশেই করা। ক্যারিয়ার গড়তে কখনও গান করিনি। কিন্তু ‘অপরাধী’ কাভারের পর বিষয়টি অন্যদিকে চলে গেছে।
বাংলানিউজ: ‘অপরাধী’ কি আপনার জীবন বদলে দিয়েছে?
টুম্পা: কিছুটা তো অবশ্যই বদলে দিয়েছে। সবাই এখন আমাকে এই গান শোনাতে বলেন। এই কাভার সংয়ের সুবাদে আমি অনেক পরিচিতিও পেয়েছি।
বাংলানিউজ: শেষ প্রশ্ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
টুম্পা: এতদিন তো শুধু শখের বশে গান করতাম। তবে এখন থেকে এ নিয়ে আরও সিরিয়াস হবো। আমি চিরকুট ব্যান্ডের ইমনের কাছ থেকে গিটার শিখেছি। আগামীতে গিটার নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। গুণীজনের কাছে তালিম নেবো। ভবিষ্যতে গান নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
বিএসকে/আরআর