পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে আইনিভাবে ছয় সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স, জাহারা, শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ানের দেখাশোনা করার দায়িত্ব পেয়েছেন জোলি।
সেই সঙ্গে আদালত জোলিকে আদেশ দিয়েছিলেন যাতে তিনি ব্র্যাডকে ছয় সন্তানের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে, প্রত্যেক গ্রীষ্মে ব্র্যাডের সঙ্গে সন্তানদের ছুটি কাটাতে, ফোনে বাচ্চাদেরকে ব্র্যাডের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেন।
আদালতের নির্দেশ মতোই প্রাক্তন স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে সবসময় ছয় সন্তানের সঙ্গে দেখা করেন ব্র্যাড পিট।
মজার বিষয় হলো- সন্তানদের সঙ্গে দেখা করা বা একান্তে সময় কাটানোর জন্য ব্র্যাডকে এখন আর জোলির অনুমতি নিতে হবে না। সম্প্রতি পিপল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে।
এ বিষয়ে ব্র্যাডের একটি ঘনিষ্ঠসূত্র জানান, হলিউডের এই অভিনেতার জীবনের বিশেষ একটি জায়গা দখল করে রয়েছে তার ছয় সন্তান। জোলির সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই তিনি বাবা হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সবসময় বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আর তিনি যে একজন সফল বাবা হতে পেরেছেন সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সন্তানদের থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকে বিষণ্ন থাকছেন তিনি। সবসময় তাদের কথাই বলতে থাকেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলে ব্র্যাড সেখান থেকে সন্তানের জন্য উপহারও নিয়ে এসেছেন তিনি।
কিছুদিন পর সন্তানদের আইনি অধিকার নিয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন আদালত। তার আগে পর্যন্ত সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ব্র্যাডকে জোলির অনুমতি নিতে হবে না বলেও জানায় ওই সূত্র।
২০০৫ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ছবির কাজ করতে গিয়ে সখ্য গড়ে উঠেছিলো পিট ও জোলির মধ্যে। ১২ বছর এক ছাদের নিচে থাকার পর সন্তানদের কথা ভেবেই তারা বিয়ে করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৮
বিএসকে