বিয়ের আসরেই এসে উপস্থিত হয় পুলিশ। সেখানেই অতিথিদের সামনে ধর্ষণে অভিযুক্ত মহাক্ষয়কে জেরা করতে শুরু করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
জানা গেছে- বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য শনিবার সকালে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে মহাক্ষয় ও তার মা যোগিতা বালি জামিন নেন। তবে এর আগে বোম্বে হাইকোর্টে মহাক্ষয়ের জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু বোম্বে হাইকোর্ট এই জামিনের আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে করার আদেশ দেন।
গত ২ জুলাই মহাক্ষয়ের বিরুদ্ধে দিল্লির রোহিণী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা। মহাক্ষয়ের প্রাক্তন প্রেমিকা একজন ভোজপুরী অভিনেত্রী।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১৫ সাল থেকে মহাক্ষয়ের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর প্রেমের সম্পর্ক। পানীয়’র সঙ্গে মাদক মিশিয়ে তাকে অচেতন করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে মিঠুন পুত্র। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মহাক্ষয়কে বিয়ের জন্য চাপ দেন এই অভিনেত্রী। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর পেয়ে মহাক্ষয়ের ভাবগতিক বদলে যায়। তাদের নিয়মিত যে দেখা হত, তা আচমকাই বন্ধ হয়ে যায়। দেখা তো দূরের কথা মহাক্ষয় তার ফোনও রিসিভ করতেন না। কিছুদিন যাওয়ার পর তাকে একটি ওষুধ খেতে দেন মহাক্ষয়। সেই ওষুধ খাওয়ার পরই গর্ভপাত হয় এই অভিনেত্রীর।
এদিকে মা যোগিতা বালিও ছেলের এই সম্পর্কের কথা জানতেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে তিনিও বেঁকে বসেন। নির্যাতিতাকে ডেকে রীতিমতো শাসানি দেন মিঠুন পত্নী। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব মুম্বাই ও তার ছেলেকে ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এই বার্তার পরও যদি নির্যাতিতা কোনোভাবে মহাক্ষয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, তাহলে খুন হয়ে যেতে পারেন বলেও হুমকি দেওয়া হয় তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
বিএসকে