রোববার (৮ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার তুলে দেন সরকারপ্রধান। ২৫টি বিভাগে ৩১ জন বিজয়ী পুরস্কার পান।
এবার যুগ্ম-ভাবে আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেছেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ও চিত্রনায়িকা ফরিদা আক্তার ববিতা। দু’জনেই উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি প্রকাশকালে ফারুক বলেন, ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড সম্মানটি এমনিতে পাওয়া যায় না। এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। এই সম্মান আমার একার নয়। এই সম্মান আপনাদের সকলের। আমি আমার হৃদয় থেকে আজকে এই সম্মান আপনাদের সকলকে উৎসর্গ করলাম। ’
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মনে করে ‘সুজন সখী’খ্যাত কিংবদন্তি এই অভিনেতা বলেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনটিতে বারবার শুধু একজনের নাম মনে পড়ছে। তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহামানব ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ থেকে এ দেশে চলচ্চিত্র বানাবার যে আইন পাস করিয়ে আনেন। এরপর থেকেই শুরু হয় আমাদের চলচ্চিত্রের পথচলা’।
নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনুরোধ করে ফারুক বলেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর ছবির দিকে তাকাবেন, তার চোখ দু’টি দেখবেন। কারণ ওই চোখ দু’টি কথা কয়। ওই চোখ দু’টিই বলে, ‘আরে তোরাই তো আমার ছেলে, তোরাই তো আমার মেয়ে। তোরাই তো এই দেশটিকে সোনার বাংলা বানাবি’। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
বিএসকে/এইচএ/