যুদ্ধোন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ ‘ত্রিংশ শতাব্দী’র মূলকাহিনি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অপ্রত্যাশিত পরিণতির কথা।
‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনায় বহুমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ এবং তাদের কাজের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্র উদঘাটিত হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষ হিসেবে বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন এবং এক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্তগ্রহণের মুখোমুখি স্থাপনই ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার প্রত্যাশা। আর প্রযোজনাটির উপস্থাপনায় প্রয়োগ করা হয়েছে হাজার বছরের নাট্য-ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক ‘বাংলা নাট্যরীতি’।
‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার গ্রন্থিকেরা হলেন- জুয়েনা শবনম, ফজলে রাব্বি সুকর্ন, সামাদ ভূঞা, শিশির সিকদার, সুমাইয়া আক্তার, শাখাওয়াত শ্যামল, মেহেদী রানা, সোনালী রহমান, অর্ক অপু ও জাহিদ রিপন।
‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনাটি দেশের বাইরে জাপানের প্রধান নাট্যোৎসব ‘টোকিও ফেস্টিভ্যাল ২০১৮, লন্ডনে ইউরোপের স্বনামখ্যাত নাট্যোৎসব ‘সিজন অব বাংলা ড্রামা ২০১৫’, নয়াদিল্লির ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি)’, এশিয়ার বৃহত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ভারতের রাষ্ট্রীয় নাট্যোৎসব ‘ভারত রঙ মহোৎসব ২০১৫’-এ বেশ প্রশংসিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
ওএফবি