ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ময়মনসিংহে গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সম্পন্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
ময়মনসিংহে গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সম্পন্ন অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) মেয়র ইকরামুল হক টিটু। ছবি: অনিক খান

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে সিনেমা বাংলাদেশ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ-২০১৯’ সম্পন্ন  হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ সাতটি বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম, সিনেমা বাংলাদেশের উপদেষ্টা চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক জসীম আহমেদ, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জুরি সাদীয়া খালিদ ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোস্তফা বাশার ভাষানী।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উৎসব সমন্বয়ক আসমা আক্তার লিজা।

এছাড়াও এক ভিডিও বার্তায় ‘বেস্ট অব দ্য ফেস্ট’ ঘোষণা করেন উৎসবের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগের বিচারক নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

উৎসবে হিরালাল সেন শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার পায় হাসনাত সোহান পরিচালিত ‘কয়েকটি প্রাচীন গাছ’। তারেক মাসুদ সেরা বাংলাদেশি পরিচালক নির্বাচিত হন বিজয় মাহমুদ। তার নির্মিত সিনেমাটির নাম ‘প্রজন্ম’। খলিলুল্লাহ খান সেরা বাংলাদেশি অভিনেতা নির্বাচিত হন আশিষ খন্দকার। বেস্ট অ্যানিমেশন বিভাগে পুরস্কার পায় ‘রয়’স গ্রেট এসকেপ’ সিনেমাটি। বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম নির্বাচিত হয় ‘দ্য লাস্ট স্ট্র’ সিনেমাটি। বেস্ট ডকুমেন্টরি বিভাগে পুরস্কার পায় ‘ওয়েলকাম টু সুনামি ভিলেজ’ এবং বেস্ট অফ দ্য ফেস্ট নির্বাচিত হয় আমেরিকার চলচ্চিত্র ‘এটিউড’।  

সমাপনী অনুষ্ঠানে উৎসব সমন্বয়ক আসমা আক্তার লিজা বলেন, ‘ময়মনসিংহের তারুণ্যের চিন্তার সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের তরুণদের চলচ্চিত্র বিষয়ক ভাবনার সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশে আমরা এ আয়োজন করেছি। আয়োজনের সফলতা ব্যর্থতা মূল্যায়ন করবে দর্শকরা। আমরা সীমিত সম্পদ নিয়ে এ আয়োজন করেছি। তবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ময়মনসিংহের মানুষ। যারা প্রমাণ করেছেন আন্তর্জাতিক উৎসব শুধুই ঢাকা কেন্দ্রিক নয়, ঢাকার বাইরেও সম্ভব। এ প্রেরণা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এ উৎসব করে যেতে চাই। ’

‘সিনেমা বাংলাদেশ’র সভাপতি ও উৎসব প্রযোজক হেমন্ত সাদিক বলেন, ‘শত সীমবদ্ধতার মধ্যেও আমরা তিন বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি দেশের তৃণমূলের তরুণদের কাছে চলচ্চিত্রকে নিয়ে যেতে। সবার সহযোগিতা ও আন্তরিকতা পেলে আমরা এ আন্দোলনকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারবো। তরুণদের হাত ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়ে উঠবে এ স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় সিনেমা বাংলাদেশ। ’ 

এর আগে, উৎসবের সমাপনী দিনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভিন্ন দেশের ১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়া প্রতিযোগিতার বাইরে বিশেষ ক্যাটগরিতে প্রদর্শিত হয় নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘আলফা’ চলচ্চিত্র।  

এদিন চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি চলচ্চিত্র বিতরণ প্রক্রিয়া বিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিকেলে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাছ তলায় আয়োজিত কর্মশালাটি পরিচালনা করেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক জসিম আহমেদ।  

গত ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়। এতে ৩৫টি দেশের ৭৪টি সিনেমা প্রদর্শিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
একে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।