ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

১ম 'ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড' ঢাকায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
১ম 'ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড' ঢাকায় বিবিএফএ অ্যাওয়ার্ডের রেপ্লিকা হাতে তারকারা

কলকাতা: সিনেমার পর বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ প্রথম যৌথভাবে সম্মানিত করতে চলেছে দু’দেশের বিনোদন জগতের বাঙালি তারকাদের।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে কলকাতা ফিল্ম ফেডারেশন, ইন্ডিয়া এ উদ্যোগের কথা জানায়। অ্যাওয়ার্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে 'ভারত বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড' (বিবিএফএ)।

১৯৫১ সালে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার পথচলা শুরু। ২০১৯-এ তাদের উদ্যোগে শুরু হলো ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড। এদিন অ্যাওয়ার্ডের রেপ্লিকাও প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবিএফের মূল উদ্যোক্তা পরিচালক ও অভিনেতা আলমগীর হোসেন, কলকাতার অরোরা ফিল্মের কর্ণধার অঞ্জন বসু, ফিল্ম ফেড়ারেশন ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ফেরদৌসুল হাসান, অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী, ঋতুপর্ণা সেন, অভিনেতা জিৎ ও প্রসেনজিৎ।

আগামী ২১ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে প্রথম বছরের বিবিএফএ অনুষ্ঠিত হবে।  

ভারতের পক্ষ থেকে রঞ্জিত মল্লিক ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনোয়ারা বেগমকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে এতে। এর সঙ্গে দুই বাংলার তারকাদের তুলে দেওয়া হবে নানা বিষয়ে সম্মাননা। এর মধ্যে থাকছে সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী, সেরা ছবি, সেরা মিউজিকসহ সিনেমার কুড়িটি বিভাগ। প্রথম বছর অ্যাওয়ার্ডে বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষ থেকে জুরি কমিটিতে থাকছেন পাঁচজন করে মোট দশজন বিশেষজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে অভিনেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ভারতের মুম্বাই বা দক্ষিণ ভারত সিনেমা নিয়ে নানা আওয়ার্ড অনুষ্ঠান করে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই মানসিকতা এতদিন ছিল না। এখন সময় হয়েছে যৌথভাবে বাঙালি তারকাদের সম্মাননা জানানোর। বিবিএফএ বাংলা সিনেমার প্রথম অ্যওয়ার্ড অনুষ্ঠান করতে চলেছে ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ। এরপর হবে লন্ডনে, তারপর সিঙ্গাপুরে পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি দু’দেশের সিনেমা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করলে আসলে লাভ হবে বাংলা সিনেমার। আমি একথা বাংলাদেশে বললে অনেকেই এখনও নিতে পারে না। কিন্তু আমি মনে করি যৌথভাবে কাজ করলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকা বেশি উন্নত হবে। একটা সময় গোটা বাংলাদেশে ১২শ সিনেমা হল ছিল, আজ ১৫০টিতে এসে ঠেকেছে। কষ্ট হয় ঢাকায় রাজমনির মতন সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেলো।  

‘কলকাতারও একই অবস্থা। কিন্তু কলকাতার একটা অ্যাডভান্টেজ আছে। এখানে হলগুলোতে হিন্দি সিনেমা চলে। এটা বাংলাদেশে সম্ভব না, আমরা করতেও চাই না। কারণ বঙ্গবন্ধুর এ বিষয়ে নির্দেশ ছিল বাংলা সিনেমা ছাড়া হিন্দি বা উর্দু কোনো সিনেমা হলে যাতে না চলে বাংলাদেশে। ’

অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আলমগীর হোসেনের মতো বড় মাপের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে। সিনেমার নাম ছিল 'আমি সেই মেয়ে'। আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে ছিল ঋতুপর্ণা সেন। ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড আমার স্বপ্ন দশ বছর আগের। এই স্বপ্ন নিয়ে অনেক লড়াই করেছি। আজ তা স্বার্থক হওয়ার পথে। হয়তো আমরা দেখে যেতে পারবো না কাঁটাতার ভেঙে দুই বাংলা একসঙ্গে সিনেমা বানাচ্ছে। তবে এরকম হলে দুই বাংলার সিনেমা বলবো না, বাংলা অর্থাৎ বাঙালির সিনেমার উন্নতি হবে।

অরোরা ফিল্মের কর্ণধার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুটো দেশ হলেও আমাদের নৈকট্যের কারণ আমরা বাঙালি। দুই দেশের বাঙালি যৌথভাবে কাজ করলে সে কাজের উন্নতি হবেই।

অভিনেত্রী তনুশ্রী বলেন, বিবিএফএ বাঙালির এমন এক উদ্যোগ যা শুরু হলো এবছর। এটা আমাদের সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এতে দুই বাংলারই লাভ হবে। জুরিদের মধ্যে আমি অভিজ্ঞতা ও বয়সে কনিষ্ঠ। আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। অনেক বাঙালি অভিনেতা-অভিনেত্রী ভালো ভালো কাজ করছেন। যারা অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার যোগ্যতা রাখে কিন্তু সেভাবে বাঙালির নির্দিষ্ট কোনো অ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা ছিল না। আগামীতে এই অ্যাওয়ার্ড তারকাদের ভালো কাজের উদ্যোগ বাড়িয়ে আরও বাড়িয়ে দেবে।

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন বলেন, আমি দুই দেশেই কাজ করি এবং দুই দেশ আমাকে একইভাবে আদর ও সমাদর করে। দুই বাংলা যৌথভাবে কাজ করলে আসলে দুই বাংলারই লাভ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
ভিএস/এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।