বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হন স্মৃতি ইরানি। সেখানে দীপিকার সমালোচনা করে ইরানি বলেন, দীপিকা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, যারা এই দেশটাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলতে চাইছেন।
তিনি আরও বলেন, দীপিকা কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক, সেটি ২০১১ সালেই বোঝা গিয়েছিল (২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে সমর্থন জানিয়েছিলেন দীপিকা)। তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন।
দীপিকাকে কটাক্ষ করে ইরানি বলেন, আপনি তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, যারা প্রতিটি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুকে উদযাপন করেন।
দীপিকাকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, দীপিকার অধিকার রয়েছে এমন মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর, যারা স্লোগান দেন- ভারতকে টুকরো করে ফেলার।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে মুখে কাপড় বাঁধা এক দল যুবক নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরমতি ছাত্রাবাসে ঢুকে লোহার রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে। ওই হামলায় অন্তত ৩৪ জন আহত হন।
নিন্দনীয় এই ঘটনায়র পরই বলিউড তারকাদের একাংশ জেএনইউ’র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে ক্যাম্পাসে যান দীপিকা। এরপরই বিজেপি নেতাদের একাংশের রোষের মুখে পড়েন দীপিকা। সমালোচকদের একাংশ তার ‘ছপাক’ বয়কটের ঘোষণা দেয়।
অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভডেকর বলেন, এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ। যেকোনো শিল্পীর যেখানে খুশি গিয়ে তার মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে দীপিকা অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘ছপাক’। প্রথম দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ৪ কোটি ৫০ লাখ রুপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ওএফবি