মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) জি-সিরিজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দীর্ঘ দিনের সাফল্যমণ্ডিত পথচলা উদযাপন করে নিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের।
প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন- কিংবদন্তি সংগীত তারকা প্রিন্স মাহমুদ, সংগীতশিল্পী তপু, বেলাল খান, শেখ শাহেদ, ব্ল্যাক ব্যান্ডের সদস্য ও জি-সিরিজের সিইও খাদেমুল জাহান, সংগীত পরিচালক নমন, মেহেদী, হাবলু, কিশোর পলাশ, সংগীত পরিচালক রাজন সাহা, সচী শামস প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ।
এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারকা কিংবা অতিথিদের বক্তব্য নয়, অনুষ্ঠানে প্রাধান্য পেয়েছে জি-সিরিজের সঙ্গে বহু দিন ধরে যারা যুক্ত, সেই সব কর্মকর্তাদের কথা। যারা নিজেদের জীবনের স্বর্ণালী সময় জি-সিরিজকে দিয়ে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।
এর ফাঁকেও কয়েকজন তারকা জি-সিরিজকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সংগীতশিল্পী তপু বলেন, জি-সিরিজ আসলে আমারই পরিবার। এ জি-সিরিজের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জি টেকনোলজির সঙ্গে আমি অনেক বছর ধরে যুক্ত। জি-সিরিজ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক, এ শুভকামনা থাকলো। শেখ শাহেদ বলেছেন, আমাদের একটা নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা আছে। সেটা হচ্ছে জি-সিরিজ। যেখানে এসে আমরা আনন্দ-আড্ডায় নিজেদের সুন্দর সময়গুলো কাটাতে পারি। আমি জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদের কাছে অনুরোধ করবো, এ ব্রিথিং স্পেসটা যেন সবসময় থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি সরোজ বলেছেন, আপনারা সবসময় আমাদের যেই ভালোবাসা ও সহযোগিতা দিয়ে এসেছেন, সেটা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
তাদের বক্তব্যের পরে কেক কেটে উদযাপন করা হয় জি-সিরিজের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর। কেক কাটেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ ও প্রিন্স মাহমুদসহ প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোরসালিন আলিফ জিয়ন।
শিল্প অনুরাগী নাজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ ১৯৮৩ সালে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন। তার মেধা, মনন এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জি-সিরিজ এখন দেশের প্রথম সারির একটি প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে সুনামের সঙ্গে এগিয়ে চলছে। শুরু থেকেই দেশজ শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দেশসেরা নন্দিত সংগীতশিল্পীসহ নতুন প্রজন্মের প্রতিভা বিকাশেও অনন্য অবদান রেখে চলেছে জি-সিরিজ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
ওএফবি/