সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আহ্বান করা হয়েছে এই আবেদনপত্র। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান কমিটির জুরি বোর্ডের সদস্য সচিব নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড অফিস ও ওয়েবসাইট থেকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯’-এর আবেদনপত্র সংগ্রহ করে ৫ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে হবে। এতে সিনেমার উন্নতমানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবছরেও ২৮টি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হবে। চলচ্চিত্র জমা দেয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে।
আবেদনের শর্তগুলো:
১। কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন।
২। আজীবন সম্মাননার জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে।
৩। যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে সেই সিনেমায় বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীরা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না।
৪। পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য অবশ্যই ছবিটিকে সেন্সর সনদ পেতে হবে এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্যচিত্রের জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদ পেতে হবে।
৫। কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের কপিরাইট বা অনুমতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
৬। বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী পুরস্কারে বিবেচিত হবে না।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিসেবে আঠার ক্যারেট মানের পনের গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজককে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এমকেআর