হঠাৎ করেই জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে ‘কনটাজিওন’র। তার কারণ করোনা ভাইরাস।
স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত ওই সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার ছিলেন স্কট জেড বার্নস। সত্যিই তাদের কল্পনাশক্তিতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।
সিনেমাটিতে একঝাঁক তারকা অভিনয় করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ম্যারিয়ন কটিলার্ড, ম্যাট ড্যামন, লরেন্স ফিশবার্ন, জুড ল, গুইনেথ প্যালট্রো এবং কেট উইন্সলেট।
নয় বছর পর এখন যারা সিনেমাটি দেখছেন তারা বিস্ময়ে অভিভূত হচ্ছেন। সিনেমার কাহিনি আর বর্তমানের বাস্তবতা একদম অস্বাভাবিক সমান্তরালভাবে এগিয়ে গেছে।
‘কনটাজিয়ন’ সিনেমায় দেখা যায়, একটি ভয়াবহ ভাইরাস দ্রুতগতিতে মানুষের স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, সেই ভাইরাসটিও চীন থেকেই প্রথম সংক্রমিত হওয়া শুরু করে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। সেই দেশগুলোর তালিকাতেও অনেকটাই মিল দেখা গেছে। ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর মানুষের মৃত্যু ছিল অবধারিত। কোনো চিকিৎসা ছিল না, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাও ছিল না দেশগুলোতে। অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তারপর একসময় বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আবিষ্কৃত হয় ভ্যাকসিন। এই ভাইরাসটির হাত থেকে রক্ষা পায় পৃথিবী। কিন্তু গল্পের শেষ এখানেই নয়। আবারও এক বাদুড় থেকে শূকর, শূকর থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে নতুন ভাইরাস।
‘কনটাজিয়ন’ মুক্তির পর থেকেই প্রশংসা কুড়িয়েছে সমালোচক ও দর্শক সবার কাছ থেকেই। ৬০ মিলিয়ন ডলারে নির্মিত সিনেমাটি আয় করেছিল ১৩৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আর এতদিন পর আবারও মানুষ অনলাইনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন এই বিস্ময়কর সিনেমাটি আরেকবার দেখার জন্য।
দেখুন ‘কনটাজিয়ন’ (২০১১) ট্রেলার:
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এমকেআর