পণ্ডিত হরিপ্রসাদের বাঁশি শুধু সুর সৃষ্টি করে না, এর এক বিস্ময়কর ক্ষমতাও রয়েছে। এটি মনের অবস্থার রূপান্তর ঘটাতে পারে, আর চিত্তকে করে তুলতে পারে আরও শান্ত ও প্রশান্তিময়।
মুম্বাইয়ে তার গুরুকুল বৃন্দাবনেই থাকতে ভালোবাসেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, আমাদের জীবনে নানা ধরণের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। এটা আরেকটি নতুন চ্যালেঞ্জ। অবশ্যই এটা খুব বিপজ্জনক, কিন্তু তাই বলে এর সঙ্গে যুদ্ধ করতে আমাদের মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেললে চলবে না। ।
বাইরে যখন কোনো অনুষ্ঠানের কাজ থাকে না, তখন পণ্ডিতজি তার গুরুকুলে থাকতেই ভালোবাসেন। করোনা সঙ্কটের মধ্যেও তার গুরুকুলে বিদ্যার্থীরা বাঁশী শিক্ষা করছেন। এর মধ্যেই পণ্ডিতজি বলেন, রেওয়াজ করার সময় ওদের সঙ্গে আমিও যোগ দিই। এই শিক্ষার্থীরাই আমার পরিবার। দুযোগমুহূর্তেও এরাই আমার যত্ন নিচ্ছে। গুরুকুলের সব কাজ, রান্নাবান্না থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সবই এরাই করে। কোন শিক্ষাই শুধু গুটিকয়েক বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। শিক্ষার উচিত প্রত্যেককে জীবনের উত্থান-পতন ও আগামীদিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলা। আর সনাতন গুরুকুল শিক্ষাব্যবস্থা এমনটাই শিখিয়ে থাকে।
রোগনিরাময়ে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের ক্ষমতা যুগ যুগ ধরে চর্চা হয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে পণ্ডিতজি বলেন, সংগীতের রাগসমূহের এমন কিছু সহজাত বৈশিষ্ট্য আছে যা আমাদের মনোভাব ও আবেগের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এজন্যই দিনের একেক সময়ে একেক রাগ গাওয়া হয়।
‘মানুষ এখন যে যার ঘরে আবদ্ধ রয়েছেন এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন। এই লকডাউন সময়ে মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই রাগসংগীত দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে,’ বলেন এই বর্ষীয়ান সংগীত পরিচালক।
পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশীতে রাগ বৃন্দাবনি সরং:
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
এমকেআর