শুধু গানে বা চলচ্চিত্রে নয়, বাস্তব সমাজেও নারীকে নিয়ে বিরূপ চিন্তাধারা বেড়ে যাচ্ছে, নারীর বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতাও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এমনকি নারীর প্রতি নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারাও অনেকের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে।
কিছুদিন আগে নন্দিত মঞ্চাভিনেতা ঋদ্ধি সেন সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ তুলে লেখেন, ‘নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দিয়ে কিছু বদলে গেল কি? না, বদলায়নি কিছুই! আমাদের সমাজে এখনও অসংখ্য এমন লোক রয়েছেন যারা ‘সামাজিক মুখোশে’র পিছনে ধর্ষণ-গণধর্ষণের মতো চিন্তাধারা পোষণ করেন। এটা একপ্রকার রোগ! খুব শিগগিরই এর নিষ্পত্তি প্রয়োজন। স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে যেখানেই হোক না কেন, সবারই উচিত এর বিরুদ্ধে সরব হওয়া।
কোনও পণ্য বিক্রি করার জন্যেও মেয়েদের খোলামেলা চেহারার আশ্রয় নিতে হয়। মেয়েদের দেখলেই তার সঙ্গে একটা ‘হট’ কিংবা ‘সেক্সি’ তকমা জুড়ে দেওয়া হয়। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ তো বটেই, এমনকী কর্মস্থলেও ছাড় নেই। আজও ধর্ষণের জন্য যে দেশে মেয়েদের পোশাককে দায়ী করা হয়, সে দেশের সমাজে আর যাই হোক নারীদের অবস্থান কিংবা সম্মান কোনওটাই যে সুরক্ষিত নয়, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। আট মাসের খুদে থেকে আশি বছরের বৃদ্ধাকেও লালসার শিকার হতে হয়।
এবার সমাজের সেই ঘুণেধরা মানসিকতার দিকেই আঙুল তুলেছেন ঋদ্ধি সেন। তিনি বলেন, বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশও এর জন্যে দায়ী! অনেক সিনেমা, ওয়েব সিরিজে অযৌক্তিকভাবে মহিলাদের আপত্তিকরভাবে দেখানো হয়। এমনকী, সিনেমাতেও নিদেনপক্ষে একটা আইটেম নম্বর বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে! বাদশার মতো লোকেরা মেয়েদের নিয়ে নির্বোধ-নির্লজ্জের মতো গান বাঁধছেন! সেই গানগুলো আবার লক্ষ লক্ষ শ্রোতারা দেখছেন। আর পছন্দও যে করছেন, তা কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলেই বোঝা যায়! সেখানেই লোকের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। তাদের আসল মন-মানসিকতা ঠিকরে বেরিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
এমকেআর