অন্যান্য বছর ঈদুল ফিতরে প্রায় ৭শ থেকে ৮শ নাটক টেলিভিশন ও অনলাইনে প্রকাশ পেত। কিন্তু এবার করোনার কারণে সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র একশতে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গত ২২ মার্চ থেকে দেশে বন্ধ রয়েছে সকল নাটকের শুটিং। যার ফলে এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য ১শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন প্রযোজক নেতারা।
এ প্রসঙ্গে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির মামুন সাজু বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত শুটিং চলাকালে প্রতিদিন আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় এক কোটি টাকার মত আয় রয়েছে। এছাড়া শুধু ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের সাত থেকে আটশ নাটক নির্মিত হয়। কিন্তু শুটিং বন্ধ থাকায় সব মিলিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো আমাদের ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক না হলে দিন দিন এর পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।
ঈদের আগে শুটিং শুরুর ঘোষণা দিয়েও তা একদিনেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তারা আবার নিজ পদে বহাল হন।
ঈদ পরবর্তী শুটিং শুরু এবং ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া বিষয়ে মুনতাসির মামুন সাজু বলেন, আমরা শুটিং শুরু করার জন্য একেবারে প্রস্তুত। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেটা করা যাচ্ছে না। ঈদের পর সবকিছু বিবেচনা করে আমরা আবার সিদ্ধান্ত নেব।
শুটিং বন্ধ হওয়ায় সঙ্কটে দিন পার করছেন নাট্যনির্মাতারা। শুধুমাত্র যারা নাটক পরিচালনা পেশার সঙ্গে জড়িত, তাদের আয় এখন একেবারে বন্ধ। তবে সার্বক্ষণিক সংগঠনের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা পায় নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ঈদের মত ঈদ আমরা কখনো দেখিনি। আগে ঈদে নাটক প্রচারের হিড়িক লেগে যেত। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় সাতশ নাটক প্রচার হতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে শুটিং বন্ধ হাওয়ায় তা আর হচ্ছে না। শুটিং বন্ধের আগে এবং যে নাটকগুলোর নির্মাণ করে রাখা হয়েছিল শুধুমাত্র সেই নাটকগুলোই এবার প্রচার হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি।
তিনি আরো বলেন, নাট্যপরিচালকরা সঙ্কটে দিন পার করছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে নিয়মিত সদস্যদের খোঁজ রাখা হচ্ছে। কারো পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়ানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
জেআইএম