কুমারের কথায় বলিউডের অন্যতম সংগীত জুটি মিট ব্রসের সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী-সুরকার কৌশিক হোসেন তাপস।
বিশুদ্ধ অক্ষয় প্রেমের গানটির ভিডিও চিত্রে তাপসের বিপরীতে অংশ নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন নারগিস ফাখরি।
গানটিতে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে নারগিস ফাখরি বলেন, কাপ্পডোসিয়ায় (তুরস্কের একটি দর্শনীয় শহর) শুটিং আমার জন্য মনোমুগ্ধকর একটি অভিজ্ঞতা। গানটি শোনার পর থেকেই আমি এটির প্রেমে বুঁদ হয়ে ছিলাম। তাপসের কন্ঠের গভীরতা আমার খুবই পছন্দ। অন্যদিকে মিট ব্রসের গান আপনাকে সবসময় অস্থির করে তুলবে। তাদের ধরণের একটি যৌথ প্রয়াসে ভূমিকা রাখতে পারা যে কোন শিল্পীর জন্য দারুণ সম্মান ও ভালোলাগার।
গত ৫ মে একাধিক আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয় গানটির অডিও। এরমধ্যে রয়েছে স্পটিফাই, আই টিউনস, গানা, জিও সাওয়ান প্রভৃতি। অডিও রিলিজেই দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে গানটি। অবশেষে ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হলো গানটির ভিডিওচিত্র।
গানটির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন মিট ব্রোস এবং নারগিস ফাখরিও। তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজসহ অন্যান্য সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলোতেও নিয়মিতই প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
করোনা দুর্যোগে মানুষকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখতে নিয়মিতই ফেসবুক লাইভ ও কনসার্ট করছেন সংগীত পরিচালক যুগল মানমিট সিং ও হারমিট সিং। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে গানটির প্রকাশকেও তারা তারই ধারাবাহিক অংশ বলে মনে করছেন।
এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, এই সময়ে গানটি মুক্তির উদ্দেশ্য মানুষের মনকে উজ্জীবিত করা। মহামারির এই দুর্যোগে মানুষের বিষণ্নতার বিপরীতে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিতেই এ গান প্রকাশ।
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় মিউজিক প্লাটফর্ম ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এর মাধ্যমে সংগীত পরিচালক হিসেবে ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তাপস।
কণ্ঠশিল্পী হিসেবে এ গানে তার উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গান আমার প্রাণশক্তির উৎস। মিট ব্রসের মতো সংগীত পরিচালকের দারুণ সংগীতায়োজনে পাঞ্জাব ভাষায় গানটি করা খুব একটা সহজ ছিলো না। আমি মনে প্রাণে এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আশা করি গানটির প্রতি আমি সুবিচার করতে পেরেছি।
তাপস জানান, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এমবি মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে ২৪ মে প্রকাশিত হয় গানটি।
প্রসঙ্গত, নার্গিস ফাখরি আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী হলেও মূলত কাজ করেন বলিউডে। আমেরিকার নেক্স টপ মডেল হওয়ার মাধ্যমে মিডিয়াতে কাজ শুরু করেন তিনি। তবে বলিউডে তার সূচনা হয় ২০১১ সালে ‘রকস্টার’ সিনেমার মাধ্যমে।
এছাড়াও তার ২০১৩ সালের ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ ও ২০১৪ সালের সিনেমা ‘মে তেরা হিরো’ তাকে অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত করে তোলে। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রে মধ্যে রয়েছে, ‘কিক’, ‘স্পাই’, ‘হাউসফুল ৩’, ‘ডিসুম’ প্রভৃতি। বাংলাদেশে টিএম ফিল্মসের প্রযোজনায় শাকিব খানের বিপরীতেও তার একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা রয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের দুই সংগীত পরিচালক মানমিট সিং ও হারমিট সিং ‘মিট ব্রোস’ হিসেবেই সকলের নিকট পরিচিত। তাদের অনেক জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি গান হলো ‘বেবি ডল’। হাল আমলে ভারত ছাড়াও দেশের বাইরেও মিট ব্রোসের জনপ্রিয়তা তরুণদের মধ্যে অনেক বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
ওএফবি/এমকেআর