ইতোমধ্যে ওয়াংচুকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে টিকটক ছেড়েছেন ভারতের প্রথম পুরুষ সুপারমডেল মিলিন্দ সোমন। এ আহ্বানে সুর মিলিয়েছেন বলিউড অভিনেতা রণবীর শোরে, আরশাদ ওয়ারসি-সহ অনেকেই।
জম্মু-কাশ্মীর সংলগ্ন লাদাখে চীনা আগ্রাসনের পাল্টা জবাব হিসেবে সে দেশের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত সোনম ওয়াংচুক।
চীনা পণ্য বয়কট প্রসঙ্গে বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘আমি সচেতনভাবেই চীনা পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি। যেহেতু আমরা যা কিছু ব্যবহার করি, তার বেশিরভাগ পণ্যই চীনা, তাই এগুলি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে একটু সময় লাগবে। তবে আমি নিশ্চিত একদিন আমাদের দেশ সম্পূর্ণভাবে চাইনিজ পণ্যমুক্ত হয়ে উঠবে। আপনাদের সকলেরই এবিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ’
ওয়াংচুকের এই ডাকে সাড়া দিয়েছেন অভিনেতা রণবীর শোরে। তিনি ‘বয়কট চায়না’ হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, ‘অবশ্যই ভাইসাব’।
এই আহ্বানে ইতোমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন টেলি অভিনেত্রী কাম্যা পাঞ্জাবি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার ফোনে এধরনের অ্যাপ ব্যবহারই করি না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো বাণিজ্যিকভাবে জড়িত সমস্ত চীনা পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করুন। ভারতীয় হিসাবে ভারতীয় পণ্য কেনা উচিত। ’
এই ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত ‘ড্রিম গার্ল’খ্যাত পরিচালক রাজ শাণ্ডিল্য। তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুরা আমি আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ করবো, যদি আপনারা দায়িত্ববান নাগরিক হোন, তাহলে চীনা পণ্য বয়কট করুন। এই পদক্ষেপে অংশ নিয়ে আপনাদের দেশের অগ্রগতিতে সামিল হোন। ’
‘চীনা সংস্থাগুলি ব্যবসা করছে ভারতে। তাদের পরিষেবা ব্যবহার করছে দেশটির কোটি কোটি নাগরিক। সেই টাকাই ঘুরে চলে যাচ্ছে চীনের সেনাবাহিনীর কাছে। ’ এ কথা উল্লেখ করে শিক্ষা সংস্কারক সোনম ওয়াংচুক তার ভিডিওবার্তায় আহ্বান জানান, চীনের সেনা বুলেটে জবাব দিচ্ছে। নাগরিকরা দেবেন ওয়ালেটে। ’
ওই ভিডিওটি টুইট করে সুপারমডেল মিলিন্দ সোমন লিখেছেন, টিকটক ছাড়লাম। সঙ্গে হ্যাশট্যাগে লেখেন, চীনা পণ্য বয়কট করুন।
গত বছরের জুনে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, চীনা অ্যাপ টিকটকের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী ভারতীয়রাই। ১২ কোটি মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করেন ভারতে। এই ধরনের অ্যাপগুলি বাতিলের খাতায় ফেলার আহ্বান করেছেন সোনম ওয়াংচুক। তার দাবি, চীনা পণ্য বয়কট করলে সে দেশের অর্থনীতির উপরে চাপ বাড়বে। আর এটাই হবে চীনের ছোড়া বুলেটের জবাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এমকেআর