সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক অজ্ঞাত নারী ড্যানিয়েল নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শনিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় এই অভিযোগ তোলেন। তার দাবি, তাকে ও তার এক বন্ধুকে ২০১৪ সালে টেক্সাসের অস্টিনে বিবারের কক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এই অভিযোগ তোলার পর টুইটার থেকে ওই অ্যাকাউন্ট ও টুইট মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাপারটাকে একেবারে উড়িয়ে দেননি জাস্টিন বিবার। এ ঘটনা নিয়ে রোববার (২১ জুন) রাতে পরপর কয়েকটি টুইট করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।
জাস্টিন বিবার বলেন, আমি সাধারণত এসব বিষয়ে কথা বলি না। আমার ক্যারিয়ারে অনেক অভিযোগের শিকারই হয়েছি। কিন্তু আমার স্ত্রী ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টাতে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিই।
তিনি বলেন, গুজব তো গুজবই। কিন্তু যৌননিগ্রহ এমন একটা ব্যাপার যা আমি হালকাভাবে দেখি না। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন একটা টুইটারে এক গল্পে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ অস্টিনের ফোর সিজনস হোটেলে আমি নাকি যৌননিগ্রহ করেছিলাম। আমি বিষয়টাতে পরিষ্কার হতে চাই। এই গল্পে সত্যতার কোনই বালাই নেই। বাস্তবে আমি ওখানে ছিলামই না। এর প্রমাণও আমি দেব।
‘যৌননিগ্রহের প্রতিটি অভিযোগই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। এ কারণেই এ বিষয়ে আমার কথা বলা প্রয়োজন ছিল। এটা প্রকৃতপক্ষেই অসম্ভব গল্প। এজন্য আমি টুইটার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইনি পদক্ষেপ নেব,’ বলেন বিবার।
এরপর ২০১৪ সালের ১০ মার্চ ইউএসম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি সংবাদের লিংক শেয়ার করেন জাস্টিন। ‘মাই বেবি’ শিরোনামের একটি গান বিবার তার বান্ধবী সেলেনা গোমেজকে উৎসর্গ করে সারপ্রাইজড করেছিলেন। এটাই ছিল সংবাদটির বিষয়।
অর্থাৎ অভিযোগকারীর উল্লিখিত সময়ে বিবারের সঙ্গে তখন সেলেনা গোমেজ ছিলেন। এছাড়াও একের পর এক টুইটে সেসময়ের নানান ঘটনা ও তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বিবার নিজের জায়গাটা পরিষ্কার করে বোঝান, অভিযোগে সঙ্গে তার সত্যিই কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
এমকেআর