গীতিকবিদের হয়ে দাবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। তার সেই পোস্টে সংগীত সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ একমত, সহমত পোষণ করেছেন।
সাধুবাদ জানাই, শতাধিক কণ্ঠশিল্পী ঘোষণা দিয়েছেন- তারা সম্মানি ছাড়া কোনো ধরনের শো করবেন না! আমি আশা করি, তারা এও ঘোষণা দেবেন-
এক. এখন থেকে সম্মানির বিনিময়ে তারা যেসব গান পারফর্ম করবেন, তার একটা ভাগ গীতিকবি, আরেকভাগ সুরস্রষ্টা এবং আরেকভাগ সহশিল্পীদের জন্যেও রাখবেন! শিল্পীরা নিজেরাও জানেন গানটা হাওয়া থেকে ভেসে আসেনি!
দুই. এখন থেকে যথাযথ সম্মানি গ্রহণ না করে কোনো গান কোম্পানিকে দেবেন না! যথাযথ সম্মানি না দিয়ে কোনো লিরিক বা সুর ব্যবহার করবেন না! (অনেক নতুন গীতিকবি বা সুরস্রষ্টা একটি গান প্রকাশের আশায় আপনার কাছে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক! কিন্তু নৈতিক মূল্যবোধ থেকে আপনারা যথাযথ সম্মানি প্রদান করবেন! কেননা ভবিষ্যতে এই গান আপনি বিভিন্ন শোতে সম্মানির বিনিময়ে পারফর্ম করবেন!)
তিন. গান গাওয়ার সময় নিজের গান বলে চালিয়ে দেবেন না! আপনি কণ্ঠ দিয়েছেন! গানটা লিখেছেন এবং সুর করেছেন হয়তো অন্য আরেকজন! দয়া করে তাদের নাম সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করবেন!
চার. যন্ত্রশিল্পীদের কথাও ভাববেন! তারাও যেন যথাযথ সম্মানি পেতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করবেন! যেখানে এটা সম্ভব হবে না, সেই শো করবেন না! এই নীতিতে অটল থাকবেন!
পাঁচ. এখন যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা সারাজীবন মনে রাখবেন!
জুলফিকার রাসেলের এই পাঁচ মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন দেশের অধিকাংশ গীতকবি। এ তালিকায় রয়েছেন- গীতিকবি ও সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ, শফিক তুহিন, মিলন খান, শেখ রানা, রবিউল ইসলাম জীবন, সোমেশ্বর অলি, মাহমুদ মানজুর, জনি হক, সাকি আহমেদ, লুৎফর হাসান, সাগর চৌধুরী, এ মিজান, ফয়সাল রাব্বিকীন, তারেক আনন্দ, ওমর ফারুক বিশাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
ওএফবি