বুধবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় প্রযোজক সমিতির কার্যালয়ে ১৭ সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কোনো সদস্য।
মূলত, প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ‘সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ পেয়েছে।
অতঃপর জায়েদ খানের বক্তব্য সন্তোষজনক না পাওয়া পর্যন্ত তাকে বয়কট করা হবে এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকেও সাবধান করে চিঠি দেওয়া হবে- এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৭ সংগঠনের নেতারা।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, সবার জন্য প্রযোজক সমিতি একটি নীতিমালা করেছে। সেটা যারা মানবে না, তাদের বয়কট করা হবে। শুধু জায়েদ খান নয়, এটা সবার জন্যও প্রযোজ্য। বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১টায় আমরা একটি সংবাদ সম্মেলন করছি। এরপর এ বিষয়ে সবাইকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এদিকে ১৩ জুলাই জায়েদ খানকে পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে ও নির্মাণ ব্যয় কমাতে গত অক্টোবরে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সমিতি। এটি বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র নির্মাণের খরচ ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা কমে যাবে। কিন্তু এই কাজে অসহযোগিতা করতে জায়েদ খান বিভিন্ন শিল্পীকে উৎসাহিত করছেন।
এমনকি মুঠোফোনে এসএমএস পাঠিয়ে তিনি এটা করেছেন। একই অভিযোগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগরকে সতর্ক করে ১৫ জুলাই চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে প্রযোজক ও পরিচালক সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
ওএফবি