ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত: উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২০
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত: উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইতোমধ্যে এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের চলে যাওয়ার। তবুও তার চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না ভক্ত-অনুরাগীরা।

তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাগাতার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন সুশান্তের ভক্তকূল। এতদিন এই দাবিতে সুশান্ত ভক্তদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি অভিনেতা পরিবার বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের।

এখন তারাও সরব হয়েছেন।  

সেই ধারাবাহিকতায় সুশান্তের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত জারি রেখেছে মুম্বাই পুলিশ। শুক্রবার (১৭ জুলাই) এই মামলায় পুলিশের জেরার মুখে পড়লেন সুশান্তের সাইকিয়াট্রিস্ট (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ)।  

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে মৃত্যুর মাস ছয়েক আগে থেকেই ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সুশান্ত। সেই সময় একাধিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম মুম্বাইয়ের প্রখ্যাত মনোবিদ করসি চাবরা।  

শুক্রবার (১৭ জুলাই) বান্দ্রা থানায় তলব করা হয়েছিল তাকে। সুশান্তের মানসিক অবস্থা, তার ডিপ্রেশন সম্পর্কে খোঁজ নিতেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলো করসি চাবরাকে। এদিন আরও এক চিকিৎসককে জেরা করে মুম্বাই পুলিশ। তবে তার পরিচয় প্রকাশ্যে আসেনি।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রে জানা গেছে, পুলিশি জেরায় ওঠে এসেছে গত বছর অক্টোবর মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে মানসিক অবসাদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন সুশান্ত। গত এক বছরে প্রায় ৫ জন মনোবিদের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি।  

জেরায় চিকিৎকরা জানিয়েছেন, মানসিকভাবে ভীষণ বিধ্বস্ত ছিলেন সুশান্ত। রাতে ঘুম হতো না তার। সবসময় তার ভেতর সংশয় ও দোটানা ভাব কাজ করতো এবং কোনো বিষয় নিয়ে প্রায়ই সন্দেহ কাজ করত তার মনে।  

মনোবিদদের সঙ্গে কাউন্সিলিংয়ের সময় সঙ্গে থাকতেন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীও। সুশান্তের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পুলিশকে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে তা এখনও যথাযথ মনে করছেন না মুম্বাই পুলিশ।

প্রধান চিকিৎসকের পাশাপাশি সুশান্তের আরও তিন চিকিৎসকের বয়ানও রেকর্ড করবে পুলিশ। সেইসব তথ্য যাচাই করে দেখা হবে, ফের কথা বলা হবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।  

অন্যদিকে সুশান্তের আত্মহত্যার তদন্তে শনিবার (১৮ জুলাই) বয়ান রেকর্ড করা হলো নির্মাতা আদিত্য চোপড়ার।

গত ১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রয়াত অভিনেতার দেহ। মৃত্যুর আগের ছয়মাস ধরে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সুশান্ত। এখন পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে যা তথ্য উঠে এসেছে- আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেতা। কিন্তু মেলেনি কোনও সুইসাইড নোট। আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টেই মাস কয়েক ধরে থাকছিলেন রিয়া। কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই সেখান থেকে চলে যান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগের রাতে এবং মৃত্যুর দিন দুইবার রিয়াকে ফোন করেছিলেন সুশান্ত। তবে দুবারই ফোনের ওপার থেকে কোনও জবাব মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।