আসন্ন ঈদুল আযহায় টেলিভিশনের পর্দায় আসছে শিশুদের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের বিশেষ আয়োজন। ৩ পর্বের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের নাম ‘হৈ-হুল্লোড় ঈদে, থাকি নিরাপদে’।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদ অনুষ্ঠানমালায় ঈদের দিন সকাল ১১টা ২০মিনিট, ঈদের দ্বিতীয় দিন এবং ঈদের তৃতীয় দিন সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে এই অনুষ্ঠান প্রচার হবে। সিসিমপুর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সিসিমপুর সূত্রে জানা গেছে, সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্রগুলো তাদের বাড়িতে থেকেই অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেবে। কারণ করোনা ভাইরাসের কারণে তারা সবাই ঘরেই থাকছে। কিন্তু ঘরে থেকেও কীভাবে ঈদের আনন্দ করা যায়, কীভাবে বাইরের পৃথিবীটাকে ঘরে নিয়ে আসা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা বলবে হালুম-টুকটুকি আর ইকরিরা।
ঈদের বিশেষ এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, করোনা মহামারির এই বিশেষ সময়ে শিশুদের শিক্ষা ও নিরাপত্তায় আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। ঈদের বিশেষ এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে শিশুদের প্রিয় চরিত্রগুলো বিনোদনের মধ্য দিয়ে তাদের জানাবে কীভাবে ঘরে থেকেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করা যায় এবং নিজেদের নিরাপদ রাখা যায়।
তিনি জানান, সিসিমপুরের চরিত্রগুলো কল্পনায় পার্কে হাঁটে-বেড়ায়, কল্পনায় ঘুড়ি ওড়ায়। ওরা জানে, সব স্বাভাবিক হলে আবারও বটতলায় যাবে খেলতে। তার আগ পর্যন্ত ওরা ঘরেই বসে গান গাইবে আর ঈদের মজা করবে। তবে ঘরে থাকা সময়ে ওদের মনও খারাপ হয়। মন খারাপ হলে কী করতে হবে, সেগুলোও উঠে এসেছে এই তিন পর্বের অনুষ্ঠানে।
করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস পালন করছে হালুমরা। ওরা বাইরে যায় না। তবে যদি কাউকে কোনো জরুরি কাজে বাইরে যেতে হয়, তাহলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে। আর মাস্ক তো অবশ্যই অবশ্যই পরে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢাকে। প্রতিদিন সাবান মেখে গোসল করে, ঘরে থেকেই করে নানান রকম ব্যায়াম, ঘরেই খেলে আর ঘুমায় পর্যাপ্ত পরিমাণে।
আর তারপরেও যদি কেউ অসুস্থ হয়েও যায়, তাহলেও, ওরা জানে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পুষ্টিকর খাবার আর বড়দের কথামতো বিশ্রাম আর চিকিৎসা নিয়ে ওরা সুস্থ হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
জেআইএম