ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হলেন আলাউদ্দিন আলী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হলেন আলাউদ্দিন আলী

রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হলেন কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে সেখানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে এদিন দুপুরে দ্বিতীয় জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) থেকে আলাউদ্দিন আলীর মরদেহ দফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

রোববার (০৯ আগস্ট) বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিটে মারা যান আলাউদ্দিন আলী। এরপর রাতভর তার মরদেহ ছিল বারডেম হাসপাতালে শীতল হিমঘরে। সেখান থেকে সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে বের করা হয় তার মরদেহ। পরিবারের সদস্য অশ্রু, কর্মমুগ্ধদের শ্রদ্ধা নিয়ে বিকেলে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।

বিদায়যাত্রায় নিজের প্রিয় সব স্থান ঘুরেছেন আলাউদ্দিন আলী। হিমঘর থেকে সকাল সাড়ে ১১টায় ক্ষণিকের জন্য ঢুঁ মারেন বনশ্রীর বাসায়। এরপরের যাত্রা ছিল খিলগাঁওয়ের আপন আলয়ে। দুই স্থানেই কেঁদেছিল স্বজন। কান্না আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা ছিল শুভানুধ্যায়ীদের।

বাদ যোহর খিলগাঁও তালতলা মোড়ে নুর-এ-বাগ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে নিয়ে আসা হয় এফডিসিতে। এখানে কর্মমুগ্ধদের শ্রদ্ধায় সিক্ত হন তিনি।
১৯৬৮ সালে আলাউদ্দিন আলী যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন।

'গোলাপী এখন ট্রেনে', 'সুন্দরী', 'কসাই' ও 'যোগাযোগ' চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।