সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী এখন জেল হাজতে রয়েছেন মাদককাণ্ডে সম্পৃক্ততায়। সঙ্গে রয়েছেন তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় মাদক সম্পৃক্ততায় পুরো বলিউডে এখন থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতীয় প্রশাসনের মুখোমুখি হতে হবে বলিউডের অনেক তারকাকে।
এদিকে মাদকের তালিকায় দীপিকার নাম আসার পর থেকে পুরো ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কারণ, মুখরোচক আলোচনাও জমে উঠেছে তাকে ঘিরেই। যদিও এখন পর্যন্ত দীপিকা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে, দীপিকার স্বামী রণবীর সিং গণমাধ্যমে এটাকে টুইস্ট নিউজ বলেছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, এসব ঘটনার আড়ালে যেন সুশান্তর প্রকৃত ঘটনা ঢেকে না যায়। আর এসব ঘটনায় মোটেও বিচলিত নন দীপিকা পাড়ুকোন।
এদিকে, ভারতে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোতে (এনসিবি) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখী হয়ে ‘ড্রাগ চ্যাট’র বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে দীপিকা তার ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশের সঙ্গে মাদক-সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে দীপিকা ও কারিশমাকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা দু’জনেই ২০১৭ সালে সংঘটিত আলোচিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করেন। তবে দীপিকার উত্তরে এনসিবি সন্তুষ্ট নয় বলে জানা যাচ্ছে। এনসিবি অফিসার কেপিএস মালহোত্রার নেতৃত্বে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর একটি দল দীপিকার মাদক-সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করছে।
এনসিবি বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার মাদক সংগ্রহ করা, গ্রহণ করা এবং কোথায় কোথায় পাচার হয় সেসব বিষয়ে আরও জেরা করা হবে। এনসিবির পাঁচ সদস্যের একটি দল একযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করে দীপিকা পাড়ুকোনকে। জেরাকারী দলে এনসিবির নারী সদস্যরাও ছিলেন। এসময় দীপিকার ফোন দূরে সরিয়ে রাখা হয়।
২০১৭ সালে কোকো ক্লাবের একটি পার্টি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে দীপিকাকে। চ্যাট গ্রুপটির অধিকারী এবং এডমিন ছিলেন জয়া সাহা। সেখানে কারিশমা ছিলেন অন্যতম সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
ওএফবি