বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাড়ে তিন মাস পার হলেও এখনও তদন্তের কোনো কূল-কিনারা পাওয়া যায়নি। তাই দৃষ্টি অন্য দিক থেকে ফিরিয়ে সুশান্তের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবিতে দিল্লির বিখ্যাত যন্তর-মন্তরে অনশনে বসেছেন প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু ও ভক্তরা।
কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের? ১৪ জুনের পর এই একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে মরিয়া সবাই। গত ১৪ জুন দেহ উদ্ধারের পর মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গেই সুশান্তের ময়নাতদন্ত হয়। ১৫ জুন কুপার হাসপাতালের ৫ চিকিৎসকের একটি টিম জানান, অ্যাসফ্যাক্সিয়া অর্থাৎ বেশিক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু পুলিশের এহেন দাবি মেনে নেননি সুশান্তের পরিবার, অনুরাগীরা। বারবার সামনে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি।
অবশেষে সবার দাবির মুখে সুপ্রিম কোর্টের চৌহদ্দি পেরিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কিন্তু ৩ মাসের বেশি সময় কেটে গেছে, এখন পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট উপসংহারে আসতে পারেনি সিবিআই। তাই ন্যায়বিচারের দাবিতে অবশেষে গান্ধীজির ‘সত্যগ্রহ’র পথ অবলম্বন করলেন সুশান্তের বন্ধুরা। ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শুরু হলো তাদের অনশন কর্মসূচি। ৩ দিন ধরে চলবে এই অনশন।
অনশন শুরু করেন সুশান্তের বন্ধু, পেশায় কোরিওগ্রাফার গণেশ হিবরকর ও অভিনেতার এক সময়ের সহকারি অঙ্কিত আচার্য। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অগণিত সুশান্ত অনুরাগী। হাতে প্ল্যাকার্ড, গলায় চিৎকার, ‘সামনে আসুক সত্য! সুশান্তের খুনিদের ফাঁসি দেওয়া হোক!’
সুশান্তের বন্ধু ও অনুরাগীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রয়াত অভিনেতা সুবিচার পাবেন না, ততক্ষণ এই মুভমেন্ট বন্ধ হবে না! প্রসঙ্গত, দিল্লির আগে মুম্বাইতেও এই অনশন চালানো হয়।
অন্যদিকে জানা গেছে, প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি ও রাঁধুনী নীরজকে রাজসাক্ষী করতে পারে সিবিআই, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁদের স্টেটমেন্ট ফাইল করা হবে। এছাড়াও সুশান্ত মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রুজু করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবার ০৩, ২০২০
এমকেআর