নানামুখী মন্তব্য আর বিভিন্ন ধরনের বির্তকে জড়িয়ে বছর জুড়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত।
এবার ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিলেন মুম্বাইয়ের একটি আদালত।
ওই ডিরেক্টরের অভিযোগ, ‘বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে ক্রমাগত অপমান করে চলেছেন কঙ্গনা। তারই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মনে দুটি ধর্মের বিভাজন টেনে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছেন। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ ধরনের উত্তেজনার মন্তব্য করছেন কুইন নায়িকা। ’
প্যারিসের একটি হত্যার ঘটনায় সরব হয়ে একটি সম্প্রদায়কে দায়ী করে অত্যন্ত কড়া ভাষায় টুইট করেন কঙ্গনা।
বলা হচ্ছে, সরাসরি ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী। শুক্রবার প্যারিসের রাস্তায় এক শিক্ষকের মাথা কেটে ফেলেন এক মুসলিম যুবক। ঘটনার বয়ানে বলা হচ্ছে, বাকস্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর একটি কার্টুন দেখিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। সে কারণে তিনি হত্যার শিকার হন।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার টুইটে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কঙ্গনা। নাম উল্লেখ না করেই সেখানে ইসলাম ধর্মকে আক্রমণ করেন তিনি। সঙ্গে নিজ দেশের বুদ্ধিজীবীদের এক হাত নেন।
বিজেপি-ঘনিষ্ঠ এই অভিনেত্রী লেখেন, একটি কার্টুনের জন্য এক শিক্ষকের মাথা কেটে ফেলা হল। আমি শুধু কল্পনা করতে পারি, অতীতে আমাদের লোকজনের কী অবস্থা করেছিল এই হানাদাররা। আজকের ডিজিটাল যুগে শিক্ষিত হয়েও এদের আচরণ রাক্ষসের মতো। যাযাবর অবস্থায় তারা ভারতের কী দশা করেছিল।
অভিনেত্রী আরও লেখেন, আমি ভেবে অবাক হই, এই ধর্ম এতো অসহিষ্ণু। পুরুষতান্ত্রিক এই ধর্মে নারী, পশু, প্রকৃতি কারোরই উপাসনা করা হয় না। অথচ আজকের দিনে এটাই সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা ধর্ম। বুদ্ধিজীবীরাও এই ধর্মকেই সমর্থন করেন। এমনটা কী করে হয়!
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২০
ওএফবি