সংগীতে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি বয়ে আনলেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক জাহিদ বাশার পংকজ। আন্তর্জাতিক এক থিম সং প্রতিযোগিতায় জাহিদ বাশার পংকজের ‘সেল্ফলেস লাভ’ গানটি দশম স্থান অর্জন করেছে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সকাল ১১টায় ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটি (আইডব্লিউএস)’র বাংলাদেশ শাখার একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই গৌরবময় অর্জনের সংবাদটি জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটি’ আয়োজিত থিম সং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০০টি দেশের প্রতিযোগীদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানানো হয়। প্রতিযোগিতায় হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, বুলগেরিয়া, বলিভিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক-যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ মিলিয়ে ১০ জনকে বিজয়ী হিসাবে ঘোষনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইকুয়েডর, মেক্সিকো, রাশিয়া, ইউক্রেন, বুলগেরিয়া, হংকং, বলিভিয়া, পোল্যেন্ড, মোনাকো-চীন, জাপান, তুরস্ক, কোস্টারিকা, ফিলিপাইন, হন্ডুরাস, কসোভো, আলবেনিয়া, ইন্দেনেশিয়া, ইতালি, আজার বাইজান, মিশর, সুদান, বেলারুস, তাতারস্তান এবং বাংলাদেশের গুণীজনদের নিয়ে গঠিত হয় ৩২ সদস্যের জুরি বোর্ড। বোর্ডের বিচারে দশম স্থান অর্জন করে জাহিদ বাশার পংকজ’র ‘সেল্ফলেস লাভ’ গানটি। গানটির কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ নিজেই।
বাংলাদেশ থেকে সানি জুবায়ের ও আবিদ আনোয়ার জুরি প্যানেলের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবশ্য বিচারকগণ নিজ দেশের প্রতিযোগীদের ভোট দেওয়ার নিয়ম নেই এই প্রতিযোগিতায়।
এ অর্জন প্রসঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তায় ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটির মিউজিক কো-অর্ডিনেটর রাসিম ডুরান, কান্ট্রিহেড বাংলাদেশ কাওসার হোসেন মাসুদ, ইভেন্টস কো-অর্ডিনেটর ঝুমি রহমান ও জুরি প্যানেলের সম্মানিত সদস্য সানি জুবায়ের অভিনন্দন জানান জাহিদ বাশার পংকজকে।
এ প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত জাহিদ বাশার পংকজ বলেন, ‘এ অর্জন আমার কাছে অনেক আনন্দের। কৃতজ্ঞতা মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইডব্লিউএস’র প্রেসিডেন্ট আতানুর দোগানকে এবং পৃথিবীর ১০০টি দেশে আইডব্লিউএস’র ১১০টি শাখার সকল সদস্যদের। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সম্মানিত জুরি বোর্ডকে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি- আমার ভক্ত, পরিবার, বন্ধু এবং দেশের সংগীতাঙ্গনের সবার প্রতি।
জাহিদ বাশার পংকজ প্রায় দুই যুগ ধরে দেশের সংগীত অঙ্গনে একজন সফল সুরকার এবং সংগীত পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন। তার বহু কাজ বানিজ্যিকভাবে অত্যন্ত ব্যবসা সফল।
সংগীতে মানাম আহমেদের কাছে হাতেখড়ি, সাউন্ড ডিজাইন শিখেছেন পান্না আজম এবং আজম বাবুর কাছে। কী-বোর্ডিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যন্ড আর্ক এবং দলছুট’- এ। এছাড়াও কাজ করেছেন বিজ্ঞাপণ, চলচিত্র, ডকুমেন্টারি, রেডিও, টেলিভিশনসহ সংগীতের সবমাধ্যমেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
ওএফবি