করোনা মহামারিতে আর্ত মানুষের সেবা করে যে পরিমাণ জনপ্রিয়তা ও মানুষের হৃদয়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেতা সোনু সুদ, সম্ভবত তার অভিনয় দিয়েই এতটা অর্জন করেননি। এজন্যই হয়ত তার ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তার ভাস্কর্য স্থান করে নিয়েছে কলকাতায় দুর্গাপূজার অঙ্গনে।
বাংলাকে ভালবাসেন সোনু সুদ। বাংলার রসগোল্লাও দারুণ প্রিয় তার। কিন্তু দুর্গাপূজার সঙ্গে এভাবে জড়িয়ে যাবেন, কল্পনাও করেননি তিনি। তাইতো মহামারির মধ্যে পূজা মণ্ডপে নিজের ভাস্কর্য দেখতে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়লেন বলিউড অভিনেতা।
পশ্চিমবঙ্গের কেষ্টপুর প্রফুল্লকাননে পূজার অঙ্গনে নির্মিত হয়েছে সোনু সুদের ভাস্কর্য। অভিনেতার প্রতি এই ভালোবাসার নিদর্শন দেখে উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেতা।
ভারতজুড়ে লকডাউনে অগণিত পরিযায়ী শ্রমিকের অনন্ত পথ হাঁটা সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। কাজ খুইয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে ভিনরাজ্য থেকে সেই সব শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার তাগিদ নাড়িয়ে দিয়েছিল সবাইকে। শুধু শ্রমিকই নয়, করোনার জেরে আচমকা লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় অন্য রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন বহু চাকরিজীবী, পড়ুয়া কিংবা রোগীর পরিবার। আর ঠিক সেই সময় দেবদূত হিসেবেই যেন আবির্ভাব ঘটেছিল সোনু সুদের। সর্বহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুসকিল আসান করেছিলেন। রিল লাইফ নয়, রিয়েল লাইফেই হয়ে ওঠেন গরিবের পরিত্রাতা। আর সেই সোনু সুদকেই এবার অনন্য সম্মান জানিয়েছে প্রফুল্লকাননের পূজা আয়োজকরা। এবার এই পূজার থিম ‘আঁধার থেকে আলোর সন্ধানে’। যেখানে লকডাউনে মানুষের হাহাকারের পাশাপাশি ধরা পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা। তবে সুখ-দুঃখের বৃত্তের মতোই আঁধার পেরিয়ে আলোর সন্ধানই দেওয়া হয়েছে এখানে। আর সেই থিমেই শোভা পাচ্ছেন সোনু। যিনি সংক্রমণের পরোয়া না করেই গরিবদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ভিনরাজ্যে আটকে পড়াদের ফেরাতে বাস, গাড়ি এমনকি বিমানের ব্যবস্থাও করেছিলেন সোনু সুদ। মণ্ডপে তেমনই একটি বাসের সামনে দাঁড়িয়ে অভিনেতা। আর দুর্গাপূজার থিমে নিজেকে খুঁজে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সোনু।
একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘খবরটা পেয়ে দারুণ লাগলো। শিল্পীকে অনেক ধন্যবাদ। কলকাতা গেলে মিষ্টি, দই আর রসগোল্লা খাবই। আর আপনাদের ক্লাবে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসব। আমাকে আপনারা এত ভালবাসা দিয়েছেন দেখে খুব আনন্দ হলো। সবাইকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
এমকেআর
