‘আমি কবি, প্রজন্মের লালা। আমাকে ভিক্ষুক ভাবার কোনো কারণ নেই।
চিত্রনাট্য-সংলাপ ও নাটক নির্মাণ করে হয়েছেন প্রশংসিত। গান লেখেন, সুর করেন এবং গাওয়ার পাশাপাশি সংগীতায়োজনও করেন। প্রকাশ্যের অপেক্ষায় মুক্তির দুয়ারে থাকা তার প্রথম সিনেমা। মানে, শিল্পী-সংস্কৃতির সব জায়গাতেই নিজ প্রতিভা ও যোগ্যতার জানান দিয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তিনি ইতোমধ্যে পেয়েছেন সব্যসাচী হিসেবে পরিচিতি।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিকভাবেই এর মুক্তি স্থগিত করা হয়। এখন পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হয়েছে। এবার মানুষের মানসিক অবস্থার অগ্রগতি জরুরি। সেই বিবেচনা থেকে সিনেমাটির মুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন বলে নির্মাতার যুক্তি। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সসহ চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।
রেড অক্টোবরের ব্যানারে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ প্রযোজনা করেছেন আসিফ হানিফ। নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে আছেন সৈয়দা শাওন। সিনেমাটির জন্য সামাজিক মাধ্যমে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলকে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই শুভকামনা-অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন- নির্মাতা নুরুল আলম আতিক, অমিতাভ রেজা, দীপঙ্কর দীপন, সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান, আজমেরি হক বাঁধন প্রমুখ।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) মুক্তি পেতে যাওয়া মাসুদ হাসান উজ্জ্বল’র বহুল প্রতীক্ষিত প্রথম সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে বাংলানিউজের। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
বাংলানিউজ: ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস' নামে সিনেমা বানানোর চিন্তা কখন-কিভাবে এলো?
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল: এটা একটা পাগলামী। মাথায় ভর করলো এই পাগলামী দিয়ে সিনেমা বানাবো। অতঃপর, পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করি এবং চেষ্টা করেছি ভালোভাবে সম্পন্ন করার।
বাংলানিউজ: বিষয়টি পরিষ্কার হলো না। একটু খোলাসা করে যদি বলতেন....।
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল: আমাদের প্রচলিত একটা বাগধারা আছে ‘ঊনপঞ্চাশ বায়ু’। এর আবিধানিক অর্থ হলো ‘পাগলামী’। ঋগবেদে এর নিদর্শন রয়েছে। এটি একটি অদম্য ব্যাপার। অর্থাৎ, কোনোভাবেই আটকে রাখা যায় না, এমন কিছুই হলো ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।
বাংলানিউজ: পয়সা খরচ করে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে কেনো মানুষ আপনার এই সিনেমা দেখবে বা দেখা উচিত বলে মনে করেন?
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল: এখানে একটা ঘোরলাগা ব্যাপার আছে। সিনেমাটির একটা পর্যায়ে গিয়ে দর্শকরা ঘোরের ভেতর ডুবে যাবে, তখন তাদের মধ্যে অনেক জিজ্ঞাসার জন্ম নেবে। আর সেই জিজ্ঞাসাগুলোই হবে দর্শকের ভালোলাগা ও আনন্দের উপলক্ষ। তাই, আমি প্রত্যাশা করবো- সবাই যেনো প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখে।
বাংলানিউজ: অভিনয়শিল্পীরা কি আপনার প্রত্যাশানুরূপ কাজ করতে পেরেছেন? তাদের সম্পর্কে কিছু শুনতে চাই-
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল: এখানে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও শার্লিন ফারজানা। বর্ষণ ‘অয়ন’ নামে এবং শার্লিন ‘নীরা’ নামে অভিনয় করেছেন। তাদের কাজে আমি ভীষণ মুগ্ধ। তারা নিজেকে একেবারে শতভাগ ঢেলে দিয়ে কাজ করেছেন। অবশ্য কাজ শুরুর আগে আমরা ৬ মাসের দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, যা আমাদের কঠিন এই কাজটি অনেকাংশে সহজ করে দিয়েছে।
বাংলানিউজ: এই সিনেমাতে কারা কারা গান করেছেন?
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল: দীর্ঘ বিরতির পর সিনেমাটিতে একটি গান গেয়েছেন অর্থহীন ব্যান্ডের ভোকাল সুমন। বাকি গানগুলো আমিসহ গেয়েছেন- সৌরিন, ভারতের সিধু ও সোমলতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
ওএফবি