দেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও প্রথম শিশু চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পরিচালক ফজলুল হকের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (২৬ অক্টোবর)। এই দিনে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’২০ দেওয়া হলো নন্দিত চিত্রনায়ক ও চলচ্চিত্র পরিচালক এমএ আলমগীকে।
সোমবার চ্যানেল আই স্টুডিওতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মাননা পুরস্কারের ক্রেস্ট, পত্র ও অর্থমূল্য আলমগীরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় একই সম্মাননা পান শামীম আলম দীপেন।
অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং নাসির উদ্দিন ইউসুফ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সদন ও অর্থমূল্য তুলে দেন।
আলমগীর বলেন, অনেকেই জানেন না আমি চলচ্চিত্র পরিচালনা করি। জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি, কিন্তু এ পুরস্কারটি আমার জন্য বিরাট স্মৃতি। আমি সকলের আশীর্বাদ চাই যতদিন বেঁচে থাকবো অভিনয়ও করবো এবং চলচ্চিত্রও বানাবো।
২০০৪ থেকে প্রবর্তিত এই পুরষ্কার ইতিমধ্যে পেয়েছেন আহমদ জামান চৌধুরী, চাষী নজরুল ইসলাম, হুমায়ূন আহমেদ, সাইদুল আনাম টুটুল, রফিকুজ্জামান, সুভাষ দত্ত, সৈয়দ শামসুল হক, আমজাদ হোসেন, মোরশেদুল ইসলাম, অনুপম হায়াৎ, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, নায়করাজ রাজ্জাক, সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী, মাসুদ পারভেজ, আজিজুর রহমান, মোস্তফা জব্বার, আবদুল লতিফ বাচ্চু, নরেশ ভুঁইয়া, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শফিউজ্জামান খান লোদী, কোহিনূর আক্তার সুচন্দাসহ অনেকে।
দীর্ঘ ৪৮ বছরের অভিনয় জীবনে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালে সরকার কর্তৃক লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান চিত্রনায়ক আলমগীর। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি বাচসাস থেকেও তাকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
জেআইএম