বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেতা তাসকিন রহমান আপাতত শুটিং কিংবা অন্য কাজ বন্ধ রেখেছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।
গত মাসে তাসকিন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। কোভিড-১৯ পরীক্ষা করালে তা নেগেটিভ আসে। এরপর মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে ভারতের হায়দ্রাবাদে চেকআপের জন্য যান তিনি। সেখানে আরও তিনবার করোনা পরীক্ষা করান, সেগুলোর রিপোর্টও নেগেটিভ।
পরে হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক তাসকিনের আরও কিছু শারীরিক পরীক্ষা করে জানান, তার পালস রেট ও হার্টবিটের মধ্যে তারতম্য রয়েছে। যেটা স্বাভাবিক করতে মাসখানেক বিশ্রাম নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তাসকিন রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টানা সপ্তাহের পর সপ্তাহ দিনরাত এক করে শুটিং করেছি। এমন বহুদিন কেটেছে, যে দিনগুলোতে সকাল ৭টা থেকে শুরু করে পরদিন ভোর পর্যন্ত টানা বিরতিহীন শুটিং করতে হয়েছে। ফলে আমার শরীরের উপর ব্যাপক চাপ পড়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
ডিসেম্বরের আগে আপাতত কোনো শুটিং করবেন না বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা। এই সময়টুকু তিনি পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবেন। নিজের যত্ন নেবেন।
‘যদি একদিন’খ্যাত এই তারকা বলেন, আমার সমস্যাটা বড় ধরনের কিছু না। সাধারণত এটা খেলোয়াড় কিংবা যারা বিশ্রামহীন নিয়মিত প্রচুর চাপ নিয়ে কাজ করেন, তাদের দেখা দেয়। সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হয়। তা না হলে বিষয়টি জটিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্যই আমি বিশ্রামে আছি। আশা করছি সবার দোয়ায় খুব শিগগিরই ফের শুটিংয়ে ফিরবো।
কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে পরবর্তীতে যাতে সুস্থভাবে কাজ করতে পারেন, সেজন্য এক মাসের বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাসকিনের। তার কয়েকটি সিনেমার কাজ বাকি রয়েছে, আবার নতুন কয়েকটি প্রজেক্টের শুটিং শুরু করতে তার অপেক্ষায়। সবাই তার শারীরিক বিষয়টি চিন্তা করে এই অভিনেতাকে যাতে ভুল না বোঝেন সে অনুরোধ জানান তাসকিন রহমান।
২০১৭ সালে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তাসকিন রহমানের বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে। প্রথম সিনেমাতেই দুর্দান্ত অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর তার অভিনীত ‘বয়ফ্রেন্ড’ও ‘যদি একদিন’সিনেমা মুক্তি পায়।
এছাড়া তাসকিনের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘শান’, ‘ক্যাসিনো’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘ঢাকা ২০৪০’, ‘ওস্তাদ’ ও ‘গিরগিটি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
জেআইএম