১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা করেছিল পশ্চিম পাকিস্তান। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীর প্রাক্কালে এ শোকাবহ দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণ করছে বাঙালি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। মুক্তিযুদ্ধ ঘিরে রয়েছে তার আবেগ ও চেতনা। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে তিনি বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেছেন অগণিত শহীদের আত্মত্যাগকে।
সামাজিকমাধ্যমে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘চরমতম নিষ্ঠুরতায় ঠিক আজকের দিন থেকে পাকিস্তানিরা শুরু করেছিল গণহত্যা, বাঙালিদের বিরুদ্ধে, ঠিক ৫০ বছর আগে।
২৫ মার্চের সেই হত্যাযজ্ঞের নাম ওরা দিয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’, কিন্তু দেশজুড়ে ঢেলে দিয়েছিল মৃত্যুর ঘন অন্ধকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরা হত্যা করলো শিক্ষক আর ছাত্রদের, অগুনতি নিরস্ত্রকে মারলো সারা দেশে।
এর পর নয়টি মাস ধরে চলল গুলি, অগ্নিকাণ্ড, ধ্বংসযজ্ঞ, ধর্ষণ।
দেশের আনাচে–কানাচে ওরা গঠন করল শান্তি কমিটি। কে মুক্তির জন্য তৃষ্ণার্ত, কে বাঙালির জন্য স্বাধীন মাটির স্বপ্ন দেখে, কে মাকে বাঁচাতে হাতে অস্ত্র নিয়েছে, কে আমার ধর্মের নয়—তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাড়ায়–পাড়ায়, গ্রামে–গ্রামে হন্যে হয়ে ঘুরতে লাগলো ওরা।
আর একাত্তরের শেষে পাকিস্তানিরা যখন বুঝলো ওদের নিয়তি পরাজয়, জেনারেল রাও ফরমান আলী তালিকা করলো এ দেশের সেরা মানুষদের। স্বাধীন বাংলাদেশকে নক্ষত্রহারা করার জন্য তালিকা ধরে ধরে হত্যা করলো বুদ্ধিজীবীদের।
আজ গণহত্যা দিবস। গণহত্যার রক্তাক্ত ধাপ পেরিয়ে মাথা উঁচু করে আছে বাংলাদেশ।
যে জনতা মুক্তির স্বপ্নে মৃত্যুকে পেরিয়ে যাওয়ার সাহস দেখায়, গণহত্যার কী সাধ্য তাকে নিশ্চিহ্ন করে?
শহীদদের অনন্ত শ্রদ্ধা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এমকেআর