ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সিনেমা হল এখন ভাতের হোটেল!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২১
সিনেমা হল এখন ভাতের হোটেল!

দিনাজপুর: একসময় সিনেমা হল ছিল বিনোদনের একটি মাধ্যম। বিশেষ কোনো উপলক্ষে বা বিশেষ ছবি মুক্তি পেলে মানুষ সিনেমা হলে লাইন ধরত।

টিকিট পেতেও অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। বিশেষ কোনো দৃশ্য পর্দায় ভেসে উঠলে করতালিতে ভরে যেত পুরো হল। সেই দিন ফুরিয়েছে কবেই। এখন সিনেমা হলের নামই যেন মুখে নেয় না মানুষ। সিনেমার সেই রমরমা দিনগুলো এবং সিনেমা হলের বর্তমান অবস্থার ভেতর-বাহির নিয়ে চারমাত্রার বিশেষ আয়োজন।

২০১৯ সালের মাঝামাঝি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের বৃহৎ সিনেমা হল ‘উত্তরা টকিজ’ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেটি একেবারের ভেঙে ফেলা হয়। পুরো সিনেমা হল ভাঙলেও এখনো অক্ষত রয়েছে মেশিনঘরটি। অক্ষত রয়েছে নিচতলার প্রবেশদ্বার ও টিকিট কাউন্টার। সামনের এই অংশটি এখন খাবারের হোটেল হিসেবে চলছে।  

সিনেমা হলের নাম অনুসারে এর নামও দেওয়া হয়েছে উত্তরা হোটেল। মূল মালিকরা নন, একজন নারী জায়গাটি ভাড়া নিয়ে এই রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন।  

১৯৮৫ সালে পার্বতীপুর পৌর শহরের নতুন বাজারে যৌথ মালিকানায় নির্মাণ করা হয় ‘উত্তরা টকিজ’ নামে এই সিনেমা হলটি। একসময় সিনেমা হলটি ছবি প্রদর্শনে জৌলুস ছড়াত শহর থেকে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত। পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলা থেকেও ছবি উপভোগের জন্য দর্শকের সমাগম ঘটত হলটিতে।

আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে সিনেমা হলে ছবি দেখার কদর ছিল বছর কয়েক আগেও। সাধারণ দর্শকের ভিড় ছিল। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার উৎসব ছিল কাউন্টারের সামনে। অনেকে অগ্রিম টিকিট বুক করত কাউন্টার থেকে। ঘাম ঝরিয়ে টিকিট কাটা কষ্টসাধ্য হলেও ভালো ছবি উপভোগ করে তা পুষিয়ে নিত দর্শক।

উত্তরা টকিজ ছাড়াও পার্বতীপুর ক্যান্টনমেন্টের গ্যারিসন সিনেমা ও সাগর টকিজ নামের দুটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাই ছিল পার্বতীপুরের একমাত্র সিনেমা হল। সেটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন সেখানকার কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।