ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন তাহসান খান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন তাহসান খান

ঢাকা: বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর’র বাংলাদেশে নিযুক্ত শুভেচ্ছা দূত জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।  

রোববার (২০ জুন) শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।

ইউএনএইচসিআর জানায়, এ বছরের বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সুস্থ হই একসাথে, শিখি আর আলো ছড়াই’। দিনটি উদযাপন করতে ইউএনএইচসিআর-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত শুভেচ্ছাদূত তাহসান খান কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে তাদের জীবন সম্পর্কে জানতে পারেন।

কোভিড-১৯ মহামারির শুরু থেকেই কক্সবাজার জেলায় গড়ে তোলা বিভিন্ন করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণ সমানভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছে। আজকের শরণার্থী দিবসে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইউএনএইচসিআর-এর সহায়তায় নির্মিত প্রথম আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র)-এর এক বছর পূর্ণ হয়েছে। গত এক বছরে এই আইসিইউতে মোট ৬শ ষাটেরও বেশি বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থী রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এই আইসিইউর রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেবা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টাব্যাপী একটি ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন তাহসান খান।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাহসান বলেন, এই আইসিইউটি কক্সবাজারের প্রথম। শুধু এক বছরেই এটি অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। আজকের এই ল্যাবরেটরি সেবা যোগ করার মাধ্যমে আরও অনেক শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে। এটি সারা বিশ্বের জন্যই একটি দারুণ উদাহরণ।

পরিদর্শনকালে শুভেচ্ছাদূত তাহসান রোহিঙ্গা মিউজিশিয়ান ও ফিল্মমেকারদের সঙ্গে দেখা করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তারা একসঙ্গে একটি গান গান।

তাহসান বলেন, তরুণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তৈরি ‘ওমর’স ফিল্ম স্কুল’ এর তরুণ ফিল্মমেকাররা এবং এর পাশাপাশি মেধাবী রোহিঙ্গা মিউজিশিয়ানরা অসাধারণ কাজ করছে। তারা গান, মিউজিক, ফটোগ্রাফি ও ফিল্মের মাধ্যমে নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরছে। কোভিড-১৯ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে তারা অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা অসাধারণ।

‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যতদিন পর্যন্ত মিয়ানমারে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও টেকসইভাবে ফিরে যেতে না পারছে, ততদিন আমরা তাদের পাশে থাকবো, যেন তারা বাংলাদেশে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে পারেন। তাদের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমরা কাজ করে যাবো, যেন তারা এখানে একটি অর্থবহ জীবনযাপন করতে পারে। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।