ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

সৃজিতের ‘রে’ দেখে মুগ্ধ তসলিমা নাসরিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২১
সৃজিতের ‘রে’ দেখে মুগ্ধ তসলিমা নাসরিন 'রে'র পোস্টার ও তাসলিমা নাসরিন

কলকাতা: নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘রে’। যা নিয়ে সম্প্রতি প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও হচ্ছে।

সত্যজিৎ রায়ের গল্প নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য ক্ষুব্ধ সত্যজিৎ প্রেমীদের একাংশ।  

কিন্তু সৃজিতের ‘ফরগেট মি নট’ মন কেড়েছে সকল সিনেপ্রেমীর। এমন কি সিনেমাটি দেখে পরিচালকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ লেখিকা তসলিমা নাসরিন! সামাজিক মাধ্যমে তার পোস্ট দেখে আপ্লুত সৃজিতও।

তসলিমা তার পোস্টে লেখেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের গল্পের উপর ভিত্তি করে যে চারটি ছোট সিনেমা দেখাচ্ছে নেটফ্লিক্স, শুনেছি, কিন্তু সত্যি বলতে কী দেখার তেমন ইচ্ছে ছিল না, কারণ দেখলে ভালো লাগবে এমন বিশ্বাস ছিল না। আতেলদের নিন্দে শুনেই দেখার ইচ্ছে জাগলো। দেখে তো রীতিমত মুগ্ধ আমি। কয়েক দশক পুরনো গল্পের এমন অবিশ্বাস্য আধুনিকরণ করতে সাহস তো দরকারই, কল্পনাশক্তি আর শিল্পবোধও প্রচণ্ড দরকার। ছক ভাঙা সোজা ব্যাপার নয়। তুখোড় শিল্পী হলেই পারেন। সত্যজিৎ রায়কে বয়স্ক আঁতেলদের বুক পকেট থেকে বের করে এনে পুরো ভারতবর্ষের, এমন কী পুরো বিশ্বের নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিলেন ওরা। অভিষেক চৌবে চমৎকার, ভাসান বালাও ভালো। আর আমাদের সৃজিত মুখার্জী যত সিনেমা বানিয়েছেন, মনে তো হচ্ছে তার এ দু’টিই সেরা। ’

মূলত, সত্যজিৎ রায়ের ছোট গল্প ‘বিপিন চৌধুরীর স্মৃতিভ্রম’, ‘বহুরূপী’, ‘বারীন ভৌমিকের ব্যারাম’ আর ‘স্পটলাইট- এই চারটি গল্পকেই আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় সবটাই বদলে ফেলেছে নেটফ্লিক্সে। ‘রে’ সিরিজের মধ্যে যে চারটি সিনেমা রয়েছে, তার পরিচালক তিনজন। সৃজিত মুখার্জী, অভিষেক চৌবে এবং ভাসান বালা। এরমধ্যে সৃজিত পরিচালনা করেছেন দুটি।

সত্যজিৎ রায় যখন এ গল্প লেখেন, সে সময় এবং ভাবনা একেবারেই আলাদা ছিল। নতুন যুগকে ধরতে সিনেমাতে বিস্তর পরিবর্তন আনা হয়েছে। ‘রে’ সিরিজে গল্পগুলির নাম যথাক্রমে ‘ফরগেট মি নট’, ‘বহুরূপীয়া’, ‘হাঙ্গামা হ্যায় কিউ বরপা’ এবং ‘স্পটলাইট’।

প্রথমেই দেখানো হচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ফরগেট মি নট’। এই সিরিজে অভিনয় করেছেন আলি ফজল। ইপ্সিতের চরিত্রে আছেন তিনি। ইপ্সিত কম্পিউটার ম্যান। সে কিছুই ভোলে না। আর এটাই তার সাফল্যের চাবিকাঠি। কিন্তু অহংকার এবং তার যৌনজীবন তাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে দাড় করায়, যেখানে সে সব হারায়। এই গল্পে যৌনতার ব্যবহার যেভাবে হয়েছে, তার সঙ্গে অনেকটাই তফাত সত্যজিতের গল্প ‘বিপিন চৌধুরীর স্মৃতিভ্রম’ গল্পটির। সৃজিতের পরিচালনা আধুনিকতার ছোঁয়া সকলের নজর কাড়বেই। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে গল্পের গতি খুব দ্রুত এগিয়েছে।

সৃজিত পরিচালিত দ্বিতীয় গল্পটি হল ‘বহুরূপী’ বা ‘বহুরূপীয়া’। এই গল্পে প্রধান চরিত্র রয়েছেন কেকে মেনন। কেকে মেনন অর্থাৎ ইন্দ্রজিতের জীবন সত্যজিতের গল্পের থেকে আলাদা। তবে যতটা সম্ভব গল্পের সঙ্গে সংযোগ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টিস্ট যখন নিজেকে সৃষ্টিকর্তা ভাবতে থাকেন এবং তারপর তার জীবন যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, এ গল্পে তাই দেখানো হয়েছে।

পাশাপাশি নজর কাড়বে পরিচালক অভিষেক চৌবের সিনেমা ‘হাঙ্গামা হ্যায় কিউ বরপা’। সত্যজিতের গল্পের নাম ‘বারীন ভৌমিকের ব্যারাম’। এছাড়া সর্বশেষ গল্প ‘স্পটলাইট’। মনে পড়ে যেতে পারে ‘নায়ক’ সিনেমার দৃশ্যের কথা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২১
ভিএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad