কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন পপশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। ১৯৭৩ সালে তাদের পরিচয়।
প্রিয় বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ফেরদৌস ওয়াহিদ। ফকির আলমগীরের মৃত্যু যেন মেনেই নিতে পারছেন না তিনি।
শোক প্রকাশ করে বাংলানিউজকে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে শুনেছি ওর (ফকির আলমগীর) অবস্থার উন্নতি হয়েছে। হঠাৎ রাত ১০টায় প্রথমে শুনলাম স্টোক করেছে, কিছুক্ষণ পরে ওর মৃত্যুর খবরটি এলো। এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি একজন বন্ধুকে হারালাম। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ফকির আলমগীরকে চেনে না এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকে এই নামটির সঙ্গে পরিচিত। শিল্পী সত্ত্বার বাইরে মানুষ হিসেবে ও খুব ভালো ছিল। যে কোনো মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যেত। ’
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘ওর গানগুলো মানুষের চেতনা জাগিয়ে তুলতো, শক্তি জোগাতো। ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে সংগীতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। বাংলাদেশ গণসংগীতহীন হয়ে গেল। এই ঘাটতি কবে পূরণ হবে তা জানি না। ’
শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর আর নেই। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২১
জেআইএম