পার্থিব জীবন শেষে সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে, কিন্তু থেকে যাবে মানুষের কর্ম ও অর্জন।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) দেহত্যাগ করেছেন গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর।
জীবদ্দশায় অগণিত গানে কণ্ঠে দিয়েছেন ফকির আলমগীর। প্রায় অর্ধশত বছর ধরে শ্রোতাদের মাতিয়েছেন এই শিল্পী। প্রকাশ পেয়েছে তার ৩০টির মতো অ্যালবাম।
ফকির আলমগীরের গাওয়া বিখ্যাত কিছু গান সবসময় শ্রোতাদের মনকে আন্দোলিত করে…
ও সখিনা
ফকির আলমগীরের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের একটি ‘ও সখিনা গেছোস কী-না ভুইলা আমারে…’। এই গানটি দিয়ে সকল শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। সখিনা আবহমান বাংলার প্রেমিকা ও বধূ। কারও কাছে দুঃখিনী পল্লীবালা আবার কারও কাছে আহ্লাদী বোন। এই সখিনা কখনো রিকশাওয়ালার প্রিয়তমা স্ত্রী। কখনও কারখানার শ্রমজীবী নারী, কখনও বা ফুটপাতের ইটভাঙা শ্রমিক।
মায়ের এক ধার দুধের দাম
‘মায়ের এক ধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম/ পাপোশ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না/ এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা আমার মা গো’- ফকির আলমগীরের কণ্ঠে আরেকটি কালজয়ী গান এটি। মাকে নিয়ে তার এই গান সকল সন্তানের বুকে নাড়া দেয়। ১৯৭৭ সালে আরিচা ঘাটে এক অন্ধ বাউলের কণ্ঠে প্রথম তিনি এই গানটি শোনেন। তখন তিনি এতটাই আপ্লুত হয়েছিলেন যে, ঢাকায় ফিরে নিজের মতো করে গানটি তৈরি করেন। পরে বিটিভির এক অনুষ্ঠানে সেটি পরিবেশিত হওয়ার পরপরই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
নেলসন ম্যান্ডেলা
পৃথিবীর বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে ১৯৮৯ সালে এই অসাধারণ কথা-সুরের গানটি কণ্ঠে করেন ফকির আলমগীর। গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়, এমনকি প্রায় দুই দশক আগে বাংলাদেশ সফরে আসার পর স্বয়ং নেলসন ম্যান্ডেলাও গানটি শুনে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
কাইন্দো না রহমতের মা
এক দুঃখী মাকে সান্ত্বনার দেওয়ার অন্যরকম এক গান ‘কাইন্দো না রহমতের মা’। এই গানটি দিয়ে ভিন্নরকম এক বার্তা দিয়ে গেছেন ফকির আলমগীর। তার কণ্ঠে গানটি বেশ জনপ্রিয়। নানা সময় মঞ্চ ও টেলিভিশনে গানটি গাইতে দেখা গেছে তাকে।
জন হেনরি
শ্রমিকদের আত্মদান আর দাবি আদায়ের দিন হিসেবে পহেলা মে পালিত হয় বিশ্বব্যাপী। এই মে দিবসে বাংলা ভাষায় শ্রমিকদের নিয়ে কোনো গানের কথা এলেই সবার আগেই আসে ‘জন হেনরি’ গানটির কথা। গানটি নিজের কণ্ঠে তুলে সবার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ফকির আলমগীর।
ফকির আলমগীরের আরও কিছু বিখ্যাত গান-
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২১
জেআইএম