ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

টিভি চ্যানেলের ঈদ আয়োজন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০
টিভি চ্যানেলের ঈদ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদন

প্রতি ঈদে টিভি চ্যানেলগুলো চেষ্টা করে বিনোদনের পসরা সাজিয়ে দর্শকদের ধরে রাখতে। সব চ্যানেলেরই ঈদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় একমাস আগে থেকেই।

নির্মাতা-কলাকুশলী আর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উঠে মধ্যে সাজ সাজ রব। এবারের ঈদ-উল-আযহাতেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। বিটিভি সহ ১০টি চ্যানেলে এবার ঈদ উপলক্ষে প্রচার হচ্ছে পাঁচ থেকে সাতদিন ব্যাপি ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান। আসুন, হাইলাইটস দেখে বেছে নিন ঈদে কখন কোন চ্যানেলে চোখ রাখবেন।

এটিএন বাংলার ছয়দিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের আগের দিন ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার

বাংল ছায়াছবি :  বধু বরণ ॥ দুপুর ২টা ৪৫ ॥ নজরুল ইসলাম খানের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, মৌসুমী, আমিন খান প্রমূখ ॥

নাটক : হাজার রজনীর গল্প ॥ রাত ৭টা ৪৫ ॥  রূপান্তর ও পরিচালনায় : মঈন খান রূপি ॥ অভিনয়ে : আনিসুর রহমান মিলন, নাদিয়া আহমেদ, কাজী উজ্জ্বল, হাসানুজ্জামান মাসুদ, আল হেলাল আহম্মেদ প্রমুখ ॥  আরব্য উপন্যাসের হাজার রজনীর গল্পগুলির ভেতর থেকে দর্জি কুঁজো হেকিম মাতাল এবং নাপিতের গল্প নিয়ে এই নাটক ॥

নাটক : ঈদের রং ॥ রাত ১০টা ৫৫ ॥ রচনা ও পরিচালনা : মামুনুর রশীদ ॥  অভিনয়ে: মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, তমালিকা, ডলি জহুর প্রমুখ ॥ গল্প :  মিলন বংশানুক্রমিক ভাবে পোষ্টম্যান।   বাবা আনু মিয়া ১৯৭১ সালে সরকারী চাকরীর বাইরে মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি, টাকা পৌছে দিত। ঈদের আগে এরকম বেসরকারী কাজ করতে গিয়ে সে ধরা পড়ে। রাজাকার কমান্ডার তাকে জবাই করে হত্যার নির্দেশ দেয়।   বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মিলন চাকরী পায়। কিন্তু ঈদের আগের দিন থেকে বিষন্ন হয়ে যায়। তার বাবার হন্তারক সেই রাজাকার এখনও জীবিত। কোরবানীর সময় সে কয়েকটি গরু জবাই করে গ্রামবাসীকে খাওয়ায়। প্রতিটি ঈদেই তার কাছে পৃথিবীটা কালো হয়ে যেত। কিন্তু সে এবার ঈদে নতুন রং খুঁজে পেয়েছে ॥

ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার

বাংলা ছায়াছবি : চিরদিন আমি তোমার ॥ বিকাল ৩টা ৩০ ॥ পরিচালনায় : এফ আই মানিক ॥ অভিনে : রিয়াজ, পূর্ণিমা, অমিত হাসান, রোমানা প্রমুখ ॥

নাটক : গণিত মানব ॥  রাত ৭টা ৪৫ ॥ রচনা : অমিয় সদনম, পরিচালনায় : অনিমেষ আইচ ॥ অভিনয়ে :  আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর এবং অন্যান্য ॥  গল্প : গণিতবিদ জহিরুল হক গণিতের জগতে এক অপ্রতিদ্বন্দী নাম। অংকের জন্য তিনি সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ইউকিড প্রাইজে’ও ভুষিত হয়েছেন। নিজের এই যশ, এই সুনামকে যখন তিনি আকন্ঠ উপভোগ করছেন ঠিক তখন এক অদ্ভূত আগন্তুকের অবতারণা ঘটে তার জীবনে; তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেন জানতে কে এই গণিত মানব? কি তার পরিচয়? নাকি এই আগন্তুক ড. জহিরের গাণিতিক মনের শুধুই একটা কল্পনা!

ঈদের পরের দিন ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার

বাংলা ছায়াছবি : ঢাকাইয়া পোলা বরিশালের মাইয়া ॥ দুপুর ১২টা ১৫ ॥ পরিচালনায় : উত্তম আকাশ অভিনয় : শাকিব খান, শাবনুর, হুমায়ুন ফরিদী, সুচরিতা প্রমুখ ॥  

টেলিফিল্ম : ভ্যাজাল মন্ডল ॥  বিকাল ৩টা ৪৫ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস  ও পরিচালনায় : সালাহউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয়ে :  মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শামীম জামান, আলভী, স্বাগতা, আমিরুল হক চৌধুরী প্রমুখ ॥ গল্প : গ্রামের এক প্রভাবশালী লোক ভ্যাজাল মন্ডল ভ্যাজাল বাধাতে তার কোন জুড়ি নেই। গ্রামের প্রত্যেকটা লোকের সাথে ভ্যাজাল বাধানো তার অভ্যাসে দাড়িয়ে গেছে। শেষে দেখা যায় ভ্যাজাল মন্ডল এক ভ্যাজালে নিজেই জড়িয়ে যায়। তারপর থেকে তার শিা হয়। এইভাবে নানান রকমারী ভ্যাজাল নিয়ে ধীরে ধীরে এগুতে থাকে নাটকের কাহিনী ॥

বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান : টিউন ক্যাফে ॥ সন্ধ্যা ৬টা ১০॥ পরিচালনায় : রুমানা আফরোজ  ও উপস্থাপনায় : শিল্পী বাপ্পা মজুমদার ॥ সঙ্গীত পরিবেশন : কিংবদন্তী শিল্পী কুমার বিশ্বজীৎ ॥  অনুষ্ঠানটিতে সঙ্গীত পরিবেশনার পাশাপাশি কুমার বিশ্বজীৎ ও বাপ্পা মজুমদার একে অপরের অভিজ্ঞতা, মজার স্মৃতিচারন, সঙ্গীতকে নিয়ে তাদের স্বপ্ন। বিভিন্ন আলাপচারিতার ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে গান ॥

নাটক : মায়া ম্যাডাম ॥ রাত ৭টা ৪৫॥ রচনা : মাসুম রেজা , পরিচালনায় : সৈয়দ আওলাদ ॥ অভিনয়ে : তৌকীর, তারিন, আবুল হায়াত, তারিক স্বপন, ওয়াসিম, সুজন ও সাবেরি আলম ॥ গল্প : এটি শায়লা-ফারুক সিক্যুয়ালের ১৬তম নাটক। মায়া ম্যাডাম কলেজের ইংরেজী অধ্যাপক। বেশ রাবীন্দ্রিক ধরনের। চাঁদ আর নত্র পেয়ে ঘর বেঁধেছিলেন। স্বামী, যাকে চাঁদ বলে ডাকতেন, রোড এ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। একমাত্র ছেলে নত্রের চারপাশে তখন কালো মেঘের লুকোচুরি। ইউনিভার্সিটি থেকে ছুটিতেও নত্র বাড়ি ফেরে না। হল ছেড়ে মেসে থাকে। মায়া ম্যাডাম ছেলেকে খুঁজতে ওঠেন নাট্যকার ও অভিনেত্রী দম্পতি শায়লা-ফারুকের বাড়িতে। কালো নেকাব পড়ে ছেলেকে ফলো করে খুঁজতে থাকেন ঢাকা শহরের অলিগলি। খুঁজতে খুঁজতে সন্ধান পায়। সন্ধান পাবেন দর্শকেরাও, অন্য এক অন্ধকারের।

ঈদের তৃতীয় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

বাংলা ছায়াছবি : চাঁদের মত বউ ॥ দুপুর ১২টা ৪৫ ॥ পরিচালনায় : মোহাম্মদ হোসেন ॥ অভিনয় : রিয়াজ, শাবনুর, নিপুণ, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ ॥

নাটক : ভরসা কোচিং সেন্টার ॥ রাত ৭টা ৪৫ ॥ রচনা : মানস পাল, পরিচালনায় : সাইদুল আনাম টুটুল ॥ অভিনয়ে : নাদিয়া, মীর সাব্বির, হাসান ইমাম, লায়লা হাসান,শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ ॥ গল্প : চন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিক সাহেব যেমন সৎ মানুষ তেমনি শিানুরাগী। ইভ টিজিং এর বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। অর্থবিত্তের অভাব না থাকলেও শফিক সাহেবের একটাই দুঃখ তার একমাত্র মেয়ে বিজলী লেখাপড়ায় একটুও ভাল না। চারবার এসএসসি পরীাতে ফেল করে পঞ্চম বারে উতীর্ণ হওয়ার জন্য সে গ্রামের ছেলে প্রাইমারী স্কুলের টিচার ইয়াকুবের কাছে জোর করে অধ্যয়ন করতে থাকে। ইয়াকুব তাকে ভালবাসে জানালেও বিজলী শর্ত দেয় যদি ইয়াকুব তাকে এবার পরীায় পাশ করাতে পারে তাহলেই তাকে সে ভালবাসবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ইয়াকুব প্রাণপণ ঝাপিয়ে পড়ে।

বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান : গল্প গানে সাবিনা ইয়াসমিন ॥ রাত ১০টা ৪০॥ পরিচালনা : আরিফ খান ॥ অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ চিত্রায়িত হয়েছে সিঙ্গাপুরে। সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া ৮টি জনপ্রিয় গান আর একান্ত আলাপচারিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি ॥

ঈদের চতুর্থ দিন ২০ অক্টোবর শনিবার

বাংলা ছায়াছবি : বধু তুমি কার ॥ দুপুর ১২টা ৪৫॥  পরিচালনায় : বজলুর রহমান ॥ অভিনয় : রিয়াজ, শাবনুর, হুমায়ুন ফরিদী প্রমুখ ॥

টেলিছবি : ইস্টার সানডে ইন দার্জিলিং ॥ বিকেল ৪টা ৪০॥ রচনা ও পরিচালনায় : উত্তম গুহ ॥ অভিনয় : চম্পা, বাবুল আহমেদ, আলী অনুভব রজত, অর্নিলা গুহ নোলক, উত্তম গুহ ও অন্যান্য ॥ গল্প : মাউন্ট হারমোন স্কুল এন্ড কলেজ, দার্জিলিং। ইস্টার সানডে উপলে চারদিনের ছুটি। ছুটির সময় অভিভাবকরা সন্তানদের কাছে ভালবাসার তাগিদে ছুটে আসে। বাংলাদেশেরও জনাকয়েক ছাত্রছাত্রী মাউন্ট হারমোনে অধ্যয়নরত। মাউন্ট হারমোনের শেষ বর্ষের স্টুডেন্ট আকাশ ও আর্নিলা একে অন্যের ভাল বন্ধু। দুজনের বাড়ী বাংলাদেশে। এখানেই দেখা হয়ে যায় আকাশের বাবা আশিক এবং আর্নিলার মা রোদেলার সাথে। মনের অজান্তে স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে অনেক পাওয়া আর না পাওয়ার দৃশ্যের কথা। তাদের ছেলেমেয়েদের বন্ধনের মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন দেখে নিজেদের না পাওয়ার কষ্টের কথা। নাটকীয় দৃশ্য আর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে প্রতিফলন রয়েছে এই নাটকে।

বিশেষ নাটক : ব-কলম ॥ রাত ৭টা ৪৫ ॥ রচনা ও পরিচালনায় : আমজাদ হোসেন ॥ অভিনয় : ফেরদৌসী মজুমদার, চিত্রলেখা গুহ, এস এ হক অলীক, আফজাল শরীফ, সোহেল আরমান প্রমুখ ॥  গল্প : হাজরা বাড়ি ইউনিয়নের পেশকার বাড়ির গল্প  ‘ব-কলম’। এই বাড়ির চার ভাইয়ের মধ্যে বিধু নামের ভাইটি শুধুমাত্র বকলমই নয় বুদ্ধিও আর সবার চেয়ে বেশ কম। সবাই ওকে বকলম ডাকতে ডাকতে একসময় তার বিধু নামটা মুছে যায়। সারাদিন সংসারের সবার লাঞ্ছনা গঞ্জনা আর নির্যাতনে অসহ্য হয়ে একদিন বাড়ি থেকে অভিমান করে বের হয়ে যায় ব-কলম। এরপর একে একে ঘটতে থাকে সব নাটকীয় ঘটনা।

নাটক : ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে॥ রাত ৮টা ৫০ ॥রচনায় : আনিসুল হক , পরিচালনায় : আশরাফী মিঠু ॥  অভিনয় : সুমাইয়া সিমু, আনিসুর রহমান মিলন প্রমুখ ॥

নাটক : প্রপোজাল ॥ রাত ১১টা ৪৫ ॥ রচনা ও পরিচালনায় : মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ॥ অভিনয় : সুমাইয়া শিমু, হাসান মাসুদ, ডেইজী আহমেদ, বিলু, রাজু প্রমুখ ॥ গল্প : সালাম নামের এক যুবক ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস। এখন সে নাটকের পান্ডুলিপি লিখে। তাই ঢাকায় আসে ফুপুর বাসায় এক বা বস্তা পান্ডুলিপি নিয়ে। সালাম এর ধারণা তার পান্ডলিপি দিয়ে ভালো টিভি নাটক বানানো সম্ভব। সালামের ফুপু, ফুপা এবং ফুপাতো ভাই বিরক্ত হয় সালামের কার্যকলাপে। তবে সালামের ফুপাতো বোন সালামের আগ্রহকে মূল্যায়ন করে। এদিকে সালাম বিভিন্ন নাট্য পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করে হতাশ হয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখন সালামের ফুপা একজন নামী পরিচালকের সাথে সালামকে পরিচয় করিয়ে দেন। এভাবেই এগুতে থাকে নাটকের কাহিনী ॥

ঈদের পঞ্চম দিন ২১ নভেম্বর রোববার

টেলিছবি : স্বপ্নের দ্বীপ ॥ দুপুর ১টা ১৫ ॥  রচনা ও পরিচালনায় : মোশারেফ হোসেন শাহজাহান ॥ অভিনয় : তমালিকা, ফারজানা ছবি, মম মোর্শেদ, আলতাফ, লিটন মলিক, আহাদ বাবু দীপালী, শাহজাহান প্রমুখ ॥ গল্প :  বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা চর, ঢালদ্বীপ। সুবজ গাছাগাছালিতে ভরা জনহীন এই ঢালদ্বীপে বাস করে ছোট ছোট কিছু বুনো প্রাণী আর হাজারো পাখ পাখালী। নিবিড় প্রশান্তির এই দ্বীপে একদিন আশ্রয় খোজে বাগান আলী। জমিদারের হয়ে প্রতিপরে কাছ থেকে েেতর ধানের দখল আদায় করতে গিয়ে পুলিশ খুন করে লাঠিয়াল বাগান আলী। এর পরই ফাঁসি থেকেন বাচার জন্য আশ্রয় নেয় নতুন পাওয়া অনেক দুরের এই ঢালদ্বীপে। ঢালদ্বীপে যেমন শুভ সুন্দরের আবির্ভাব ঘটেছে তেমনি ঘটেছে অশুভ অসুন্দরের আবির্ভাব। এমনি একজন হল বন্দকী ব্যবসা আর সুদের কারবারী হরেন্দ্র। হরেন্দ্র আর তার সহযোগীদের লোভের আগুনে উজাড় হয়ে যায় ঢালদ্বীপের সবুজ বৃরাজি। প্রকৃতি মানুষের এই অনাচার সহ্য করে না। একদিন দ্বীপে আঘাত করে প্রলংঙ্করী বন্যা।  

টেলিফিল্ম :  বাড়ি থেকে পালিয়ে ॥ বিকাল ৪টা ৩০ ॥  রচনা ও পরিচালনায় : নূরুল আলম আতিক ॥ অভিনয় :  মীম, লিটু, মিতা চৌধুরী এবং আরও অনেকে। পাঁচ বন্ধু। তারা স্কুলবন্ধু। এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, নতুন নতুন বন্ধু হয়েছে, তবু তাদের টান কমেনি। কোথাও গেলে একসাথেই যাওয়া চাই। তাদের এবারের কাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বন্ধুতা, সন্দেহ আর দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চারের গল্প ॥

নাটক : এ্যান্টিকক ॥ রাত ৭টা ৪৫ ॥ রচনা : বিপাশা হায়াত, পরিচালনায় : তৌকীর আহমেদ ॥ অভিনয়ে : তৌকির আহমেদ, রুমানা রশিদ ঈশিতা, হাবীব মাসুদ, রনজিৎ প্রমুখ ॥ গল্প : মামুনের সাথে রেণুর বিয়ের রাতেই মামুন জানতে চেয়েছিল রেণুর জীবনে কখনও প্রেম এসেছিল কিনা। রেণু সরল বিশ্বাসে দীপুর সাথে তার পুরোনো প্রেমের কথা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে মামুনের আর শান্তি নেই। রেণুর প্রতি তার বিশ্বাসও প্রায় শূণ্যের কোঠায়। অবিশ্বাস আর সন্দেহে রেণুর দম আটকে আসে। কোনভাবেই মামুনকে সে বোঝাতে পারেনি এখন তার জীবনে শুধুমাত্র মামনুই সত্য। মামুন চলে অ্যান্টিকক ওয়াইজ। এক পর্যায়ে রেণু এই অবিশ্বাসের প্রতিশোধ নেয়। ফিরিয়ে আনে দীপুকে। সত্যটা স্বীকার করে মামুনের কাছে। আর তারপরই ঘটে ভয়াবহ ঘটনা ॥

নাটক :  ছুটি ॥ রাত ৮টা ৫০ ॥ রচনা : আহসান হাবীব, পরিচালনায় : এস এ হক অলিক ॥  অভিনয় : শহীদুজ্জ্মান সেলিম, মৌসুমী বিশ্বাস, ডলি জহুর, মিলন, নাসিমা খান এবং প্রমুখ ॥  গল্প : বাবা নেই সংসারের দায়িত্ব বড় ছেলের। ধনী পরিবার। বড় ছেলে হঠাৎ বাড়ির লোকজনের উপর এক আইন জারি করলো। সে আইন বাড়ির লোকজনের পছন্দ হলো না । এই নিয়ে শুরু হলো নানান ধরণের ঝামেলা। পরে বড় ছেলে বিদেশ যাত্রার কারণে সেই আইন বাতিল হলো। যথারীতি পারিবারিক বিদ্রোহ এবং মোড় নতুন ঘটনার ॥

চ্যানেল আইয়ের সাতদিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের আগের দিন ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার
    
নাটক : হোয়াইটওয়াশ ॥ রাত ৭টা ৫০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : রেজানুর রহমান ॥ অভিনয়ে : রওনক হাসান, নাদিয়া আহমেদ, মাহবুবা রেজানুর, নাজমুল হুদা বাচ্চু, প্যারিস, নাজমা বেগম প্রমুখ ॥ গল্প : হোয়াইটওয়াশ শব্দটি শুনলেই অতি সম্প্রতি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিজয়ের কথা মনে পড়বে সবার। এ ঘটনায় একদিকে বইছে আনন্দের বন্যা। অন্যদিকে ইভটিজিং এর ভয়ার্ত থাবায় সন্ত্রস্থ, বিধ্বস্থ, দ্বিধাগ্রস্থ দেশের অসংখ্য পরিবার। সমসাময়িক ঘটনা দুটিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এ নাটকের কাহিনী ॥

ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার

পূরবী ঈদ আনন্দ (ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান)॥ সকাল ১০টা ৪০॥ উপস্থাপনা ও পরিচালনা কেকা ফেরদৌসী ॥ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে অংশ নিয়েছেন প্রতীক হাসান, রিংকু, সেরাকণ্ঠ কোণাল ও আশিক, রুমা, রাজিব, ন্যান্সি প্রমুখ।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : গহীনে শব্দ (প্রথম টেলিভিশনে প্রদর্শণ)॥ বেলা ১টা ৩০॥    চিত্রগ্রহণ ও পরিচালনা খালিদ মাহমুদ মিঠ্ু ॥ অভিনয়ে : কুসুম সিকদার, ইমন, শামস সুমন, জুই, শামীম, আরিফুল হক, আবুল হায়াত, শামীম ভিস্তি, খালেদা আক্তার কল্পনা, হায়দার হোসেন, মনিরা মিঠু, আহাসানুল হক ইনু, শিশুশিল্পী শিরোপা পূর্ণা প্রমুখ। গল্প : প্রেমের সঠিক কোন সঙ্গা নেই যা দিয়ে সুনিষ্টি ভাবে এর রূপ রেখা দেয়া যায়। গহীনের শব্দ-তে প্রেম আছে, বেষম্য আছে, দেশ প্রেম আছে। আবার এক অদ্ভুত প্রেমও দেখা যাবে। যার দুই হাত নেই এবং হত দরিদ্র তার প্রেম। কেমন তার প্রেমের ধরণ। এমনি প্রেমের বিশ্লেষন এবং সুখকে খোঁজার এ অদম্য চেষ্টা। সুখ কী শিা দিয়ে অর্জন করা যায়, না কি অর্থের মধ্যে রয়েছে সুখ, না কি সুখ অন্য জায়গায়?। পঙ্গু এক মুক্তিযোদ্ধা নুরা। সে গরীব; একেবারে রাস্তার ভিখারী। কিন্তু মানুষটার মনের শক্তি অনেক। ফলে তার কন্যা সস্তান ‘স্বপ্ন’ সুশিায় শিতি হয়ে উঠে। পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাভাবিক নিয়মে তার জীবনে প্রেম আসে কিন্তু তার পর নানান  সামাজিক ট্র্যাজেডি নিয়ে গল্পর নানান ডালপালা বিস্তার করে। এই জটিল জীবন সমস্যাকে জনপ্রিয় শিল্পী হায়দার হোসেনের অসাধারন একটি গানের মধ্য দিয়ে ইতি টানা হয় ছবিটির গল্পের।

নাটক : মীরার দিন-রাত্রি ॥ ৭টা ৫০॥ রচনা ও পরিচালনা হুমায়ূন আহমেদ। অভিনয়ে : মেহের আফরোজ শাওন, গাজী রাকায়েত, শামীম শাহেদ, আবদুল্লাহ রানা প্রমুখ। গল্প : বিয়ের পরেও মীরার স্বভাব-চরিত্রের কোন কোনো পরিবর্তন হয় না। যেখানে যায় সেখানেই তিনি কোন না কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটান। যা সমাজে খুবই লজ্জাকর। এমনই একটি ঘটনায় তার স্বামী তার ওপর একেবারেই আস্থা হারিয়ে ফেলেন। যার ফলশ্র“তিতে তিনি কঠিন সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। আর তখনি মীরার স্বপ্ন লালিত ঘটনার আর্বিভাব ঘটে।

নাটক : আলাপী ॥ রাত ৯টা ৩৫ ॥ মূল গল্প : রাবেয়া খাতুন ॥ নাট্যরূপ ও পরিচালনা : আবুল হায়াত ॥ অভিনয়ে : সুমাইয়া শিমু, চিত্রলেখা গুহ, মনিরা মিঠু, মোহাম্মদ বারী ও নাফা। গল্প : জৈন্তাবুড়ি শহরের বাড়ি বাড়ি কাজের মেয়ে সরবরাহ করে। গ্রাম থেকে দরিদ্র অসহায় মেয়েদের নিয়ে এসে কাজের মেয়ের চাকরী দেয়। সেখানে থেকে পারসেন্টেজ নিয়ে, যাতায়াত ভাড়া, কাপড়চোপড়, বকশিসের টাকা নিয়ে চলে তার ব্যবসা। একবাড়িতে ছয়মাসের বেশি রাখে না কাউকে। এভাবেই তার চলে মানুষ কেনার ব্যবসা। কারণ এই অসহায় মানুষগুলো তার কেনা হয়ে যায় একসময়। আলাপী এক তরুণী। সৎ মা আর দরিদ্রতা, দুই শক্রর সাথে লড়ে জৈন্তার কবলে নিপাতিত। একসময় পরিণত হয়েছে তার কেনা এক মানুষে। বেশি টাকা লাভের আশায় জৈন্তাবুড়ি তাকে শিখিয়ে পড়িয়ে এনে গছিয়ে দেয় এক পরিবারের কাছে। শুধু একটা দায়িত্ব ছিল তার উপর, নিজেকে গ্রামের ভোলাভালা নারী হিসেবে পরিচয় দিতে হবে। অভিনয় ভালই করছিল সে কিন্তু একসময় ধরা পড়ে, আর গৃহকত্রী তাকে বহিস্কার করে গভীর রাত্রে।
    
ঈদের দ্বিতীয় দিন ১৮ নভেম্বর  বৃহস্পতিবার

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (বিশ্বপরিবেশনা): ডুবসাঁতার ॥ সকাল ১০টা ৩০॥ কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : নূরুল আলম আতিক ॥ অভিনয়ে : জয়া আহসান, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি, স্বাধীন খসরু, স্বাগতা, শাহরিয়ার শুভ প্রমুখ ॥ ৯২ মিনিট দৈর্ঘ্যর এটি ডিজিটাল চলচ্চিত্র। গল্প : রেনু নামের এক লড়াকু মেয়ের জীবন-সংগ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠেছে ছবির কাহিনী। রেনুর স্বপ্নময়তা, তার সংবেদনশীলতা, ঢাকা পড়ে আছে সংসারের কষ্টকর বাস্তবতায়। পরিবারের দায়দায়িত্ব পালন করতে যেমন তাকে বাইরে বেরোতে হয়, তেমনি তাকে হতে হয় অন্ধ ভাইয়ের চোখটিও। নিজের প্রাণের দিকে চোখ ফেরালে জোটে সনাতন সমাজের চোখ রাঙানি। তবু রেনুর জীবনে আবারো প্রেম আসে, যেই প্রেম তাকে সর্বনাশের পথে টেনে নেয়। রেনু হাল ছাড়ে না, অনেক বিপন্নতার মাঝেও তাকে দেখি প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম করে যেতে। রেনু ভেঙে পড়ে, কিন্তু শেষ হয়ে যায় না। আমাদের রেনুদের ফের পথচলা শুরু করতে হয় সংসারের প্রয়োজনে। জীবনের দিকে মুচকি হেসে, অন্তর্গত ছোট্ট কিছু অর্জনকেই পাথেয় করে তাদের এই নিরন্তর পথচলা। জয় হোক সবহারা রেনুদের, ডুবজলে এতটুকু প্রশ্বাস মিলুক, এতটুকু শান্তি পাক ব্যথিত প্রাণ।  

টেলিফিল্ম : নিউইয়র্ক ॥ বিকাল ৩টা ০৫ ॥     রচনা ও পরিচালনা : ওয়াহিদ আনাম। অভিনয়ে নওশিন, চঞ্চল চৌধুরী, নাহিয়ান প্রমুখ।

নাটক : হৃদয়ের ছবি ॥ বিকেল ৫টা ৩০॥ রচনা ও পরিচালনা : খালিদ মাহমুদ মিঠু ॥ অভিনয়ে : রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহিদুল আলম সাচ্চু, তরু মোস্তফা, শিরিন বকুল, শাহীন হাসান, শামীম প্রমুখ। গল্প : মনের কথা যদি ছবি হয়ে প্রিন্টি হয়ে যেতো তথন সমাজের কতটাইনা উপকার হতো। তবে এ কথাও সত্য যে মাঝে মাঝে এ সব ছবি অনেক কুৎসিত হয়ে দেখা দেখা। যার ফলে কারো কারো জীবনটা যেন হয়ে ওঠে বিড়ম্বনার। এমনই একটি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এ নাটকটি।

নাটক : গন্তব্যের পথে ॥ রাত ৭টা ৫০ ॥ রচনা : ফারুখ হোসেন, পরিচালনা : সালাহউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয়ে মোর্শারফ করিম, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীম জামান প্রমুখ ॥

নাটক : লাভ ষ্টোরী ২০২০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : ফেরদৌস হাসান। অভিনয়ে অপূর্ব, তানজিকা আমিন, শখ প্রমুখ।

ঈদের তৃতীয় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

টেলিফিল্ম : নায়িকার মা ॥ দুপুর ১২টা ৩৫॥ রচনা: মাহবুবা শাহীন, পরিচালনা ডি এ তায়েব ॥ অভিনয়ে : আজিজুল হাকিম, সোহেল খান, মবিনা আহম্মেদ কাজল, নূপুর, লারা লোটাস, ফাহমিদা শান্তা, নাফিজা জাহান এবং ডি এ তায়েব। গল্প : একটি স্যুটিং ইউনিটকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে টেলিফিল্ম নায়িকার মা। হালে দেখা যায় স্যুটিংয়ের বিভিন্ন ইউনিটে অনাকাঙ্খিত মানুষগুলো নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি করে। এর মধ্যে নায়িকার মায়েরা নিজেদের সংসারে সময় না দিয়ে মেয়েদের সাথে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায়। স্যুটিং স্পটে তারা একের পর এক সৃষ্টি করে অপ্রয়োজনীয় কথপোকথন। যার ফলে বিভিন্ন সময়ে ঘটে অন্যজনের সাথে বাধাবাধি। কোনো কোনো সময় এক জনের গসিপ এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তারের ল্েয নিজেদেরকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে আসে, কিন্তু এতে স্যুটিং যথেষ্ট তিগ্রস্থ হয়। আমাদের দেশের স্যুটিংয়ে নায়িকার মায়েদের জ্বালাতন চরমে উঠেছে, এর প্রতিকার তো হচ্ছেই না বরং নতুন নতুন অভিনেত্রীদের হাত ধরে নায়িকার মায়েরা প্রবেশ করছেন এই অঙ্গণে, মূলত তিন জন নায়িকার মায়েদের হাস্যরসাতœক চরিত্রকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে টেলিফিল্ম নায়িকার মা।  

টেলিফিল্ম : এক প্রেম দুই গল্প ॥ দুপুর ১টা ৩০ ॥ রচনা : মাসুম রেজা, পরিচালনা : আলভী আহম্মেদ॥ অভিনয়ে ইরেশ যাকের, কুসুম শিকদার, জিতু আহসান প্রমুখ।

গেম শো : কৃষকের ঈদ আনন্দ ॥ বিকাল ৪টা ৩০॥ পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা : শাইখ সিরাজ। এবার এই অনুষ্ঠান ধারণ করা হয়েছে চাঁদপুর সদরের মেঘনা পাড়ে। ভাঙন কবলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবন জীবিকা, দুঃখ দুর্দশার গল্পও থাকছে এবারের আয়োজনে। অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়েছে জেলে পল্লীর নিবিড় জীবন গাঁথা। এবার কৃষকের ঈদ আনন্দের প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে বালিশ লড়াই, কলাগাছে ওঠা, বাঁশের ওপর হাঁটা, শিশুদের ঝটপট পোশাক পরা, মহিলাদের মার্বেল দৌড়, দ্বিমুখি দৌড়, ঈদের বধু সাজ ও ইলিশ ভাজা। চাঁদপুর ইলিশের জন্য বিখ্যাত। মেঘনা পাড়ের জনগোষ্ঠির বড় গর্বের জায়গাটি দখল করে আছে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এখানকার নারীরা ইলিশ সংশ্লিষ্ট রান্নাতেও দারুণ তৎপর ও পারদর্শী। এ কারণেই এবারের আয়োজেন বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ইলিশ ভাজা। স্থানীয় পাঁচ নারী অংশ নেন এই প্রতিযোগিতায়। সামান্য সময়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতার মাঠে তারা ইলিশ কেটে-ধুয়ে তাতে মশলা মাখিয়ে, ভেজে পরিবেশন করেন বিচারকদের সামনে। এর মধ্যেই পুরস্কৃত হন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী।

নাটক : কমিশনার ॥ রাত ৭টা ৫০ ॥ রচনা : ফারুখ হোসেন, পরিচালনা লুৎফুন নাহার মৌসুমী ॥ অভিনয়ে : আবুল হায়াত, বিপাশা হায়াত, আ খ ম হাসান, নাজমুল হুদা বাচ্চু, মিশু সাব্বির প্রমুখ।     
নাটক : বাতাস যখন খুঁজে পেল কাঁশবন ॥ রাত ৯টা ৩৫॥ রচনা ও পরিচালনা : রোমানা রশিদ ঈশিতা ॥ অভিনয়ে : কুসুম সিকদার, হিল্লোল, নাঈম ও শিহাব। গল্প : তারা চারজনই খুব কাছের বন্ধু। মাস্টার্স শেষ পরীার আগের দিন মারা যান নাঈমের বাবা। সেজন্যই শেষ পরীাটা না দিয়ে তাকে চলে যেতে হয় গ্রামে। গত ছয় বছরে এই প্রথম নাঈমকে ছেড়ে বাকী তিনজন পার করল এতটা সময়। নাঈমের এই অনুপস্থিতি নতুন এক উপলব্ধির জন্ম দেয় তাদের সবার মনে। এই উপলব্ধিকে কেন্দ্র করে নাটকটির গল্প এগুতে থাকে।      

ঈদের চতুর্থ দিন ২০ নভেম্বর শনিবার

টেলিফিল্ম : প্রেম এসে যাচ্ছে ॥ বেলা ১২টা ১৫॥ রচনা : ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, পরিচালনা মাহফুজ আহমেদ ॥ অভিনয়ে : সুমাইয়া সিমু, আরেফিন শুভ, মোনালিসা, হাসান মাসুদ, মাহফুজ আহমেদ প্রমুখ। গল্প : মফিজুর রহমান এবং সাদিয়া মাহবুব মাঝবয়সী দম্পতি। মিড লাইফ ক্রাইসিসে ভুগছেন স্বামী মফিজুর। স্ত্রীর প্রতি সন্দেহবাতিকস্থ তিনি। তার ধারনা, তরুণ সুদর্শন কারও সঙ্গে প্রেম  করছেন তাঁর স্ত্রী। এরমধ্যেই আচমকা টিনএজ বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে ‘ভাব’ হয়ে যায় মফিজুরের। মেয়েটির নাম তানিশা। তানিশা স্মার্ট। এ প্রজšে§র প্রতিনিধি। তানিশার সঙ্গ মফিজুরের ভালো লাগে। তানিশার দিক থেকে সাড়া না থাকলেও সব ভুলে তানিশার প্রেমে হাবুডুব খেতে থাকেন মফিজুর। মাঝ বয়সী থেকে পোশাকে-আশাকে ‘তরুণ’ হওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। হাল ফ্যাশনের জিন্স পড়েন। চুল স্পাইক করার চেষ্টা করেন। ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন। নিয়মিত ক্যাফে-লাউঞ্জে তাকে দেখা যায়। পোলাপানদের সঙ্গে মিলে  ডিজে পার্টিতেও হাজরিা দিয়ে আসেন একদিন। স্ত্রী সাদিয়া স্বামীর এই পরিবর্তনের কোন কারণ খুঁজে পান না।

টেলিফিল্ম :স্বর্ণলতা ও শঙ্খচিল ॥ বিকাল ৪টা ০৫ ॥ রচনা : বিপাশা হায়াত, পরিচালনা : তৌকির আহমেদ ॥ অভিনয়ে : রোমানা রশিদ ঈশিতা, তৌকির আহমেদ প্রমুখ।

নাটক : চা অথবা কফি ॥ রাত ৭টা ৫০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : মেজবাউর রহমান সুমন, চিত্রনাট্য: শিবু কুমার শীল ॥ অভিনয়ে:  ইন্তেখাব দিনার, ফারহানা মিলি, কান্তা মাসুদ প্রমুখ॥ গল্প : কমলের জীবনের পুরোটাই দ্বিধা-দন্দ্বে কাটে। কারণ সে যাই করতে যায় একটা দানব এসে হাজির হয় তার সামনে। তখন সে যেন সিদ্ধান্তহীনতার প্রতিক। সে চা না কফি খাবে সেই সিন্ধান্তও নিতে পারে না। প্রিসিলা দারুন স্মার্ট মেয়ে। কোন এক অলৌকিক কারণে একই দিনে একই স্থান থেকে প্রিসিলা আর কমল একই গন্তব্যের সিএনজি খুঁজছিল। সেই সূত্রেই প্রেম। বাসা খুঁজতে গিয়ে দিপান্বিতার দেখ পায় কমল ।
দিপান্বিতাকে দেখে বুকের ভেতর একটা মোচড় দেয় কমলের। তার সামনে আবার দ্বিধা-দ্বন্দ নামক দানব এসে হাজির হয়। তার কেন জানি মনে হয় এই নারীই তার জীবনকে মুখরিত করে তুলতে পারবে। দিপান্বিতা তাকে ভেতরে এনে বসিয়েছিল। অনেক কথা হয় ওদের মধ্যে। কারণ দিপান্বিতার মা স্কুল মাস্টার। তখনও বাড়ি ফেরেনি। দিপান্বিতা তাকে খালি ঘরটা ঘুরে দেখায়। ভীষন অস্বস্তি আর উত্তেজনা নিয়ে কমল অপো করতে থাকে দিপান্বিতার মায়ের আসার জন্য। সেইদিনই কমল দিপান্বিতার প্রেমে পড়ে। ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়॥


নাটক : সেই এক সন্ধ্যা ॥ রাত ৯টা ৩৫ ॥ মূল গল্প : রাবেয়া খাতুন, নাট্যরূপ : লিটু সাখাওয়াত, পরিচালনা মাজহারুল ইসলাম ॥ অভিনয়ে : পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, তিশা, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শিরিন আলম, মীর সাব্বির প্রমুখ॥ গল্প : একটি দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক আবু কায়সার। মধ্যবয়সী এ মানুষটি দাম্পত্য জীবনে অসুখী। তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে লেখালেখিতে যশপ্রত্যাশী এক তরুণী প্রাচী ইসলামের। আবু কায়সারের বদৌলতে পত্রিকায় প্রাচীর কবিতা প্রকাশিত হয়; তার সুপারিশে চাকরিও হয় প্রাচীর। বিকেলে ভোরের ফুলের মতোই আবু কায়সারের জীবনে প্রাচীর আবির্ভাব। তারপর প্রাচীর অজান্তে আবু কায়সারের স্বপ্ন, ধ্যান-জ্ঞানে শুধুই প্রাচী। প্রাচীকে নিয়ে কায়সার সাহেবের নতুন নতুন উদ্যোগের শেষ নেই। একদিন প্রাচীর আমন্ত্রণে কায়সার সাহেব তার বাসায় যায়। সেখানে গিয়েই কায়সার সাহেব খুঁজে পায় আসল প্রাচীকে।

ঈদের পঞ্চম দিন ২১ নভেম্বর রবিবার

টেলিফিল্ম : রিং ॥ দুপুর ১২টা ৩৫ ॥ রচনা : আনিসুল হক, পরিচালনা : ইফতেখার আহমেদ ফাহমী ॥ অভিনয়ে : সোহেল খান, মারজুক রাসেল, মেহজাবিন প্রমুখ।      

টেলিফিল্ম : হামার লালু ॥ বেলা ৩টা ১৫ ॥     রচনা ও পরিচালনা : শাহ্নেওয়াজ কাকলী ॥ অভিনয়ে : জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, দিলারা জামান, নার্গিস, বিপ্লব প্রসাদ, নার্গিস বেগম, মোস্তাফিজ, জয়িতা, শিশুশিল্পী মামুন প্রমুখ। গল্প দরিদ্র রমিজ মিয়ার দুধ বেচে সংসার চলে। হঠাৎ রমিজ মিয়ার পরিবার গভীর সংকটে পড়ে। কিছুদিন পর শোক স্তিমিত হয়ে আসে। তখন সংকট শুরু হয় লালুকে নিয়ে। জন্মের পর থেকেই লালুকে নিয়ে চলতো নানান বিড়ম্বনা। একসময় লালুকে বিক্রি করতে চায়। কিন্ত এতোটুকু বাছুর কেউ কিনেনা, তাই বাধ্য হয়েই লালুকে পালন করতে হয়। একদিন রমিজউদ্দিনের সংসারে অভাবে লালুর খাদ্যের যোগাড়ে বিরক্ত হয়ে অপয়া বলে লালুকে অনেক গালিগালাজ করে। গালিগালাজ শুনে লালু দড়ি ছিড়ে এ বাড়ি থেকে চলে যায়। অবলা প্রাণী কিছু বলতে পারেনা কিন্ত সবই বুঝে। প্রকৃতি ও মানুষ একে অপরের জন্য সৃষ্টি হলেও সেটা কি মানুষ মনে রাখে।

নাটক : ধূসর সময় ॥ রাত ৭টা ৫০॥ রচনা সাগর জাহান, পরিচালনা শামীমা আক্তার বেবী ॥ অভিনয়ে অপূর্ব, সোহানা সাবা, সিলভী প্রমুখ। গল্প : জাহার ইচ্ছে তার স্বামী রানা তাকে অনেক ভালবাসবে.. অনেক কাছে আসবে... তাকে নিয়ে সব সামাজিক অনুষ্ঠানে যাবে। সেখানে রানা জাহার জন্মদিনটাই ভুলে যায় বা মনে থাকলেও আসতে পারেনা। ব্যস্ততা তাকে সব সময় জাহার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। কিন্তু দেখা যায় রাত বারোটা বাজার আগেই রানা চলে আসে, সারপ্রাইজ দেয়। জাহা বোকা হয়ে যায়.. বিশ্বাসই করতে পারেনা। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।

নাটক : সংখ্যাতত্ত্ব ॥ রাত ৯টা ৩৫    ॥ রচনা ও পরিচালনা মাসুদ সেজান। অভিনয়ে : মোশাররফ করিম, নওশীন, রিফাত চৌধুরী, তারিক স্বপন প্রমুখ ॥ গল্প : শামীম হোসেন রাশিফলে বিশ্বাসী এক তরুণ। রাশিফলের চর্চা করতে গিয়ে সংখ্যাতত্ত্বের প্রতিও সে ঝুঁকে পড়েছে মারাত্বকভাবে। জন্মতারিখের সাথে জন্মসাল মিলিয়ে সে আবিষ্কার করেছে তার অশুভ সংখ্যাটি হচ্ছে ‘২’। এই আবিষ্কারই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু ‘২’ কেন, সংখ্যাতত্ত্বের নিয়মে ‘২’ এর পাশাপাশি প্রতি মাসের ৪, ৮, ১১, ১৩ জাতীয় তারিখগুলোতে সে কিছু করার সাহস পায় না। তার কেবলই মনে হয় এই তারিখগুলোতে কোনও কনফার্ম কাজও ভেস্তে যেতে পারে। শুধু ধারণা থেকে নয়, দুই এক সময় সে পরীা করেও দেখেছে ‘২’ সংখ্যাটি আসলেই তার জীবনের একটি অভিশাপ। অনেক পাওয়া জিনিস শুধুমাত্র ‘২’ এর জন্য সে হারিয়েছে...। এক পর্যায়ে শামীম ‘২’ বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। কোনও কিছুতেই সে ‘২’ দেখতে পারে না। তার বদ্ধমূল ধারণা- প্রেমিকার জন্মতারিখ ২ হওয়ার কারণে তার প্রেম ভেঙ্গে গেছে। ২ তারিখে চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার জন্যে তা চাকুরী হয়নি। এক কথায় ২ এর খপ্পরে পড়ে তার জীবনের আজ বেহাল দশা...। কিন্তু শামীম এই বেহাল দশা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। সে প্রাণপণে চেষ্টা করে ২ থেকে বের হয়ে আসতে। রীতিমতো সে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। আগে যা করত এখন ঠিক তার বিপরীত আচরণ করতে শুরু করে। শুভ কাজগুলো করার জন্য সে শুধুমাত্র ২ কেই বেছে নেয়...।

ঈদের ৬ষ্ঠ দিন ২২ নভেম্বর সোমবার

নাটক : চেনা মানুষ অচেনা মন॥ রাত ৭টা ৫০॥  রচনা : ফারিয়া হোসেন, পরিচালনা : মাহবুবা ইসলাম সুমি ॥
নাটক : মেয়ে তোমার জন্য ॥ রাত ৯টা ৩৫    ॥ রচনা : গীতালি হাসান, পরিচালনা: তন্ময় তানসেন ॥ অভিনয়ে :  ইরেশ যাকের, মেহজাবীন প্রমুখ ॥

এনটিভির ছয় দিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার

বাংলা ছায়াছবি : লুটতরাজ॥  সকাল ১০টা ০৫ ॥ পরিচালনা : কাজী হায়াত ॥ অভিনয়ে : মান্না, মৌসুমী, দিতি প্রমুখ।

টেলিফিল্ম : অ্যাংকর মফিজ ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : শিহাব শাহীন ॥ অভিনয়ে : ইরেশ যাকের, ফারাহ রুমা, আবদুন নুর তুষার প্রমুখ ॥
                
ঈদ আড্ডা : একটি ভুবন দুটি তারা ॥ বিকাল ৫:৩০    ॥ অতিথি : পূর্ণিমা ও আমিন খান; উপস্থাপনা : দিতি ॥
নাটক : চন্দ্রাহত ॥ রাত  ৮টা ১৫ ॥ রচনা: ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, পরিচালনায় : মাহফুজ আহমেদ ॥ অভিনয়ে : মাহফুজ, সুমাইয়া শিমু, হাসান মাসুদ প্রমুখ॥

অ্যাডভেঞ্চার গেম শো : জি-ফ্যাক্টর ॥  রাত ৯টা ১৫     ॥ প্রযোজনা : জোনায়েদ বিন জিয়া ॥ উপস্থাপনা : নীরব ॥
নাটক : ৫.৫ ॥ রাত ১১:৩০ ॥ রচনা-পরিচালনা : এজাজ মুন্না, অভিনয়ে : মীর সাব্বির, মোনালিসা, প্রিসিলা পারভীন প্রমূখ ॥

ঈদের ২য় দিন ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার

বাংলা ছায়াছবি : মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি ॥ সকাল ১০টা ০৫ ॥ পরিচালক : এফ আই মানিক ॥ অভিনয়ে : শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, ডিপজল, আনোয়ারা ॥

টেলিফিল্ম : ইনসমোনিয়া ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ রচনা : পান্থ শাহরিয়ার, পরিচালনা : অনিমেষ আইচ ॥ অভিনয়ে : বিপাশা হায়াত, তারিন, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমূখ ॥
                    
সঙ্গীতানুষ্ঠান : মনে লাগে দোলা ॥  বিকাল ৫টা ৩০     ॥ অংশগ্রহণে : শাফিন আহমেদ, কানিজ সুবর্ণা, হৃদয় খান, নির্ঝর, শফিক তুহিন ॥

নাটক : ভালবাসি তোমাকেই ॥ রাত  ৮টা ১৫ ॥ রচনা : কামরুল হাসান, পরিচালনায় : চয়নিকা চৌধুরী ॥ অভিনয়ে : মাহফুজ, তিন্নি, শর্মিলী ও মাসুদ আলী খান ॥

সঙ্গীতানুষ্ঠান : দুজনে মিলে ॥ রাত ৯টা ১৫     ॥ স্বীকৃতি প্রসাদ বড়–য়ার প্রযোজনায় অনুষ্ঠানে গান গাইবেন শিল্পী সন্দীপন, অনুপমা মুক্তি, তনিমা হাদী, তানভীর আলম সজীব, আতিক হাসান, আরেফিন রুমি ও ন্যান্সি।   উপস্থাপনা করবেন শিল্পী তপন মাহমুদ ॥

নাটক : দ্বিধা ॥ রাত ১১টা ৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ॥ অভিনয়ে : মোশাররফ করিম, মৌসুমী, তিশা, সিদ্দিক ॥

ঈদের ৩য় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

টেলিফিল্ম : ছবিওয়ালা ॥ দুপুর ২ টা ৩০॥ রচনা ও পরিচালনায় : দীপংকর দীপন ॥ অভিনয়ে : মোনালিসা, চঞ্চল চৌধুরী ॥

বিনোদন মূলক টকশো : ঈদের নাটক - একাল সেকাল ॥ বিকাল ৬টা ১৫ ॥ নাট্যকার : ১. বৃন্দাবন দাস ২. পান্থ শাহরিয়ার ৩. ফারিয়া হোসেন ॥ নাট্যনির্মাতা : ১. আমজাদ হোসেন ২. অনিমেষ আইচ  ॥

নাটক : চোখ ॥ রাত  ৮টা ১৫ ॥ রচনা : শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনায় : হুমায়ূন ফরীদি ॥ অভিনয়ে : হুমায়ূন ফরিদী, সাদিয়া ইসলাম মৌ, লিটু আনাম, জিতু আহসান প্রমুখ।
সঙ্গীতানুষ্ঠান  : মন পবনের ঘুড়ি ॥ রাত ৯টা ১৫ ॥ শিল্পী : জুয়েল ও কনক চাঁপা, বালাম ও জুলি, হাবিব ও কনা ॥

নাটক : স্বপ্ন ॥ রাত ১১টা ৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : এস এ হক অলীক ॥ অভিনয়ে : পূর্ণিমা, মিলন, শর্মিলী আহমেদ, মাসুদ আলী খান॥

ঈদের ৪র্থ দিন ২০ নভেম্বর শনিবার

বাংলা ছায়াছবি : মনে প্রাণে আছো তুমি ॥ সকাল ১০টা ০৫ ॥ অভিনয়ে : শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, রাজ্জাক, আহমেদ শরীফ, মিশা সওদাগর প্রমুখ ॥

টেলিফিল্ম : অপরাহ্নের গল্প ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ গল্প : সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, পরিচালনা : সাজ্জাদ সুমন ॥  অভিনয়ে : হুমায়ুন ফরীদি, রিয়াজ, ফারহানা মিলি, আরমান পারভেজ মুরাদ
                
নাটক : স্নেহ ॥ রাত  ৮টা ১৫ ॥ রচনা : আনিসুল হক, পরিচালনায় : হিমেল আশরাফ ॥অভিনয়ে : জিতু আহসান, তিশা ॥

ঈদের ৫ম দিন ২১ নভেম্বর রবিবার

বাংলা ছায়াছবি : শঙ্খনীল কারাগার ॥ সকাল ১০টা ০৫ ॥ রচনা : হুমায়ূন আহমেদ, পরিচালনা: মোস্তাফিজুর রহমান ॥ অভিনয়ে : সুবর্ণা মুস্তাফা, আসাদুজ্জামান নুর, চম্পা, জাফর ইকবাল, শাওন, মমতাজ উদদীন আহমদ প্রমূখ।

টেলিফিল্ম : আলেয়ার ফুল ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : নুরুল আলম আতিক ॥ অভিনয়ে : আহমেদ রুবেল, মীর সাব্বির, সারিকা, শুভ, মোসুমী বিশ্বাস প্রমুখ॥

নাটক : প্রজাবতী ॥ রাত  ৮টা ১৫     ॥ রচনা-পরিচালনা : গোলাম মোস্তফা শিমূল ॥অভিনয়ে : জয়া আহসান ও ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ ॥

রম্য ম্যাগাজিন : রঙ্গশালা ॥ রাত ৯ টা ১৫      ॥ অংশগ্রহণে : আবদুল কাদের, কামাল বায়েজীদ, হাসান মাসুদ, শাফিন আহমেদ, যাদুকর শাহীন শাহ, দীপা খন্দকার প্রমূখ  ॥

নাটক : টক ঝাল মিষ্টি ॥ রাত ১১:৩০ ॥ রচনা : রুম্মান রশীদ খান, পরিচালনা : নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল ॥ অভিনয়ে : বাঁধন, মোনালিসা, ইমন, নোবেল প্রমূখ ॥

ঈদের ৬ষ্ঠ দিন ২২ নভেম্বর সোমবার

বাংলা ছায়াছবি : দাদীমা ॥ সকাল ১০টা ০৫ ॥ পরিচালনা : এফ আই মানিক ॥ অভিনয়ে : শাকিব খান, অপু বিশ্বাস প্রমুখ॥

টেলিফিল্ম : চোরকাঁটা ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ রচনা-পরিচালনা : ফেরদৌস হাসান ॥ অভিনয়ে : সজল, বিন্দু, কে এস ফিরোজ প্রমূখ॥

নাটক : বিরুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন ॥  রাত  ৮টা ১৫     ॥ রচনা ও পরিচালনা: অঞ্জন আইচ, অভিনয়ে : সুমাইয়া শিমু, ইন্তেখাব দিনার, স্বাধীন প্রমূখ॥
নাটক : নুর চাঁন পাঠাগার ॥ রাত ১১:৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনায় : তুহিন অবন্ত ॥ অভিনয়ে : আবুল হায়াত, ইরেশ যাকের, শশী, ফেরদৌসী লীনা প্রমূখ ॥

বাংলাভিশনের ছয় দিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার

বাংলা সিনেমা : সুন্দরী বধূ ॥ সকাল ১০টা ১০ ॥ পরিচালক: আমজাদ হোসেন॥ অভিনয়ে: শাবনূর, রিয়াজ প্রমুখ।

টেলিফিল্ম : বেহালা ॥ দুপুর ২টা ৪০ ॥ রেদওয়ান রনির রচনা ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, মাহফুজ আহমেদ প্রমুখ ॥ গল্প : এক নব দম্পতিকে নিয়ে টেলিফিল্মটির কাহিনী । স্ত্রী নুপুর আর মা-বাবাকে নিয়ে নাহিদের নির্ঝঞ্ঝাট সংসার। কিন্তু তিন বছর হয়ে গ্যালো তাদের ঘরে কোনও সন্তান-সন্ততি আসছে না। তারা ডাক্তারের সরণাপন্ন হয়ে জানতে পারে, সমস্যাটা নাহিদের। হঠাৎ তার স্ত্রী বুঝতে পারে, সে সন্তানসম্ভবা। এরমধ্যে নাহিদ ব্যবসার কাজে কিছুদিনের জন্য দেশের বাইরে যায়। নুপুর সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য ভাবে, নাহিদ দেশে ফিরলেই তাকে সে এই শুভ সংবাদটা জানাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সময়ের ফাঁকে নুপুর ধর্ষিত হয়। পরিবারের সবাই প্রথমে বিষয়টা সহজভাবে নিলেও পরে শুরু হয় বিপত্তি। নুপুরের অনাগত সন্তানের আসল বাবা কেÑতা নিয়ে আর সবার মত নাহিদের মনেও সংশয় জাগে। কোথা থেকে যেন ভেসে আসে এক ধোয়া ধোয়া বেহালার সুর।

নাটক : চাঁদের বুড়া ॥  রাত ৮টা ১০॥ রচনা ও পরিচালনা : ফেরদৌস হাসান ॥ অভিনয়ে : করেছেন বিন্দু, সজল প্রমুখ।
        
নাটক :হাইওয়ে টু হেভেন ॥  রাত ১১টা ১৫ ॥ রচনা ও পরিচালনা : ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ॥ অভিনয়ে পার্থ বড়–য়া, সুজানা, চাষী, বাবর প্রমুখ। গল্প :  মিলি নামের এক মেয়েকে কেন্দ্র করে নাটকের কাহিনী। শুরুতেই দেখা যায় এক রাতে মিলি বেশকিছু ঘুমের ওষুধ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। বেরোনোর পর পথে হাঁটতে হাঁটতে রাসেল নামের এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। রাসেল কথাবার্তার এক পর্যায়ে বুঝতে পারেÑমেয়েটি আতœহত্যা করতে চায়। তাই সে আর কিছুতেই মেয়েটির পিছু ছাড়ে না। নানাভাবে তাকে বিরক্ত করতে থাকে। চলতে চলতে ঘটতে থাকে অনেক চমকপ্রদ ঘটনা। মেয়েটি এক সময় অনুভব করে পৃথিবীটা সত্যিই অনেক সুন্দর। তার মধ্যে আবার নতুন করে বেঁচে থাকার উপলব্ধি আসে। কাহিনী এগিয়ে যায় পরিণতির দিকে।

ঈদের দ্বিতীয় দিন ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার

টেলিফিল্ম : চিকেন টিক্কামাসালা ॥ দুপুর ২টা ৪০॥ রচনা: মাসুম রেজা; পরিচালনা: এস এ হক অলিক।
অভিনয়ে: চিত্রনায়ক রিয়াজ, সারিকা প্রমুখ।

নাটক: সোনার ডিম ॥ রাত ৮টা ১০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস, পরিচালনা : সালাউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয়ে : ফেরদৌসি মজুমদার, চঞ্চল চৌধুরী, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি, তাহসিনা, বৃন্দাবন দাসসহ আরও অনেকে। গল্প : নাটকটিতে ফেরদৌসি মজুমদারের চরিত্রটি এক বৃদ্ধ দাদির। যে বহু বছর আগে নোয়াখালি থেকে নর্থ বেঙ্গলে এসে স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন। এখন তাঁর সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ১১। কিন্তু বড় ছেলে ছাড়া কেউই তাঁর কাছে থাকে না। ভদ্রমহিলা সব সময় দরোজা আটকে একটা সিন্ধুক খুলে খুলে দেখেন। আবার তালা বন্ধ করে রাখেন। ভীষণ যতেœ আগলে রাখেন তিনি এই সিন্ধুকটাকে। ঘটনার এক পর্যায়ে সবাই মনে করেÑএতে বোধ হয় সোনার ডিম আছে। যা তিনি কাউকে দিতে চায় না। এ নিয়ে চলতে থাকে নানা ঘটনা।

তারার পানে চেয়ে : রুনা লায়লার মুখোমুখি শাকিলা জাফর ॥ রাত ৯টা ৪০॥ এই অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার মুখোমুখি বসেছেন শাকিলা জাফর। রুনা লায়লার গুরু এবং গানের পথে যাত্রা নিয়ে তার সাাৎকার নিয়েছেন শাকিলা জাফর।

নাটক: আছে নাকি নাই ॥ রাত ১১টা ১৫॥ রচনা ও পরিচালনা: আশুতোষ সুজন ॥ অভিনয়ে: তিশা, আরেফিন শুভ, ডেইজি আহমেদ, রিফাত চৌধুরী, ইসমাইল প্রমুখ।

ঈদের তৃতীয় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

বাংলা সিনেমা : সবার উপরে প্রেম ॥ সকাল ১০টা ১০
পরিচালক: আজাদী হাসনাত ফিরোজ ॥ অভিনয় শিল্পী: শাকিব খান, ফেরদৌস, শাবনূর প্রমুখ।

টেলিফিল্ম : সাম্পান ॥ দুপুর ২টা ৪০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : নুরুল আলম আতিক ॥ অভিনয়ে : তানিয়া, দিহান, সজল, ইকবাল, অশোক ব্যাপারী প্রমুখ।

নাটক : আরমান ভাই ফাইস্যা গেছে ॥ রাত ৮টা ১০॥ রচনা ও পরিচালনা : সাগর জাহান ॥ নাটকে আরমান ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান আর তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিশা ॥
গল্প : শুরুতেই আরমান ভাইকে বাসর ঘরে দেখা যায়। সাথে তার বহু আকাঙ্খিত প্রেমিকা আনিকা। এখন সে একাধারে তার প্রেমিকা ও স্ত্রী। কিন্তু বিয়ের পরদিন প্রথম সকাল থেকেই শুরু হয় বিড়ম্বনা। স্ত্রী আনিকা আরমান ভাইকে কুসুম ছাড়া ডিম আর শুকনো রুটি দেয় নাস্তা হিসেবে। এই দৃশ্য দেখে আরমান ভাই আকাশ থেকে পড়ে। বিরিয়ানি ছাড়া যে সকালের নাস্তা হতে পারে, এই কথা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। এই নিয়ে স্ত্রীর সাথে শুরু হয় মনোমালিন্য। এভাবে চলতে চলতে আরমান ভাই অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়, বউকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে। এরপর সে মনের সুখে যা খুশি তাই করবে। যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। স্ত্রীর সাথে নানা খুনসুটিপূর্ণ ঘটনার মধ্য দিয়ে নাটকটি পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।

সেলিব্রিটি শো : নায়ক মহানায়ক ॥ রাত ৯টা ৪০ ॥ চাষী নজরুল ইসলামের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানের অতিথি সোহেল রানা ও ফারুক ॥ এক সময়কার এই দুই জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবার অতিথি হয়ে এসেছেন নায়ক মহানায়ক অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অতিথিদের আলোচনায় তাঁদের চলচ্চিত্র জীবনের শুরুর দিকের কথা, সহ-শিল্পী সর্ম্পকে মূল্যায়ণ, চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা-সংকট ও উত্তরনের পথ, ব্যক্তি জীবনসহ নানা অজানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পাশাপাশি তাঁরা আগেকার ঈদ ও এখনকার ঈদ নিয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথাও বলেছেন।

নাটক : এক কোটি পনেরশ ষাট টাকা ॥ রাত ১১ টা ১৫ ॥ সাগর জাহানের রচনা ও সকাল আহমেদের পরিচালনায় নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑআনিসুর রহমান মিলন ও মোনালিসা ॥ গল্প :
নাটকটির কাহিনি গড়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে। এখানকার একদল প্রতিশ্র“তিশীল তরুণ-তরুণি মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। নাম ‘এসো সবে’। মানুষের জন্য ভালো কিছু করাই এই সংগঠনের মূল ল্য। ‘এসো সবে’-তে দুটি বিশেষ চরিত্র রয়েছে। এরমধ্যে গল্প নামের মেয়েটি ভীষণ চটপটে। অস্থিরচিত্তের। আর রনি নামের ছেলেটি খুব অলস। পড়ে পড়ে ঘুমানোটাই তার মূল কাজ। ভালো কাজের উদ্যোগস্বরূপ একবার তারা সবাই মিলে উত্তরবঙ্গের বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সাহায্য তহবিল গড়ে তোলে। সাহায্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে গল্প নামের মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে আবিস্কার হয় যে, গল্পের একটি কিডনি নষ্ট। নাটকের নাটকীয়তা অন্য দিকে মোড় নেয়।

ঈদের চতুর্থ দিন ২০ নভেম্বর শনিবার

টেলিফিল্ম : সবুজ বনের হলদে প্রেম ॥ দুপুর ২টা ৪০ ॥ রচনা ও পরিচালনা: তুহিন অবন্ত॥ অভিনয়ে:   তৌকীর আহমেদ, সুমাইয়া শিমু, আজাদ আবুল কালাম, মাজনুন মিজান প্রমুখ। গল্প : ভ্রমনপিয়াসী মুজিব বউয়ের আবদার রা করতে বউকে নিয়ে এসেছেন সুন্দরবনে। এক বন্ধু বন কর্মকর্তাসহ নৌকা ভাড়া করে মুজিব দম্পতি সুন্দরবন দেখতে বের হয়। বনের প্রবেশ পথেই এক পাগলা যুবককে দেখে থমকে যায় তারা। একটি বন্দুক তাক করে সে জানতে চায় তারা বনের বন্ধু নাকি শত্র“। মুজিবরা এই পাগলামির কোন কারণ খুজে পায় না। সুন্দরবনের পানি, কাদা আর গহীন অঞ্চল বলে মনে মনে স্ত্রী মাধবীর প্রতি বিরক্ত হয় মুজিব। বিদেশের এত ভাল ভাল যায়গা বেড়ানোর পর কেন যে মাধবী এই দুর্গম এলাকায় আসতে চাইলো তা ভেবে নিজেরই মেজাজ খারাপ হতে থাকে। এদিকে বন্ধু বন কর্মকর্তা সমানে বলে যেতে থাকে সুন্দরবনের মাহাত্ম্যকীর্তন। মুজিব রীতিমতো তর্ক জুড়ে দেয়। এরই ফাঁকে জঙ্গলের এক কোনে মাধবী আবার আবিষ্কার করে সেই পাগলা যুবককে। এগিয়ে যায় গল্প।

নাটক : অতিপ্রাকৃতিক ॥ রাত ৮টা ১০॥ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের রচনা ও আবুল হায়াতের পরিচালনায় বিনাটকটিতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, আবুল হায়াত, তাসনুবা জেনি, মুনতাসির মামুন সাজু, নাঈম, মিঠু প্রমুখ॥ গল্প : সিলেটে নির্মিত এই নাটকটির কাহিনী গড়ে উঠেছে চা বাগানকে ঘিরে। নাটকের শুরুতেই দেখা যাবে, ঢাকার একটি অভিজাত কোম্পানি সেখানে যায় এবং তারা সেখানে ইন্ডাস্ট্রি গড়তে চায়। কিন্তু চা বাগানের কেউই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে না। অনেক প্রচেষ্টার পর একটি মেয়ে এগিয়ে আসে। কোম্পানির ওই লোকগুলিকে ভূত সেজে নানাভাবে ভয় দেখাতে শুরু করে। চলতে থাকে নানা মজার ঘটনা।

নাটক : পরী কিংবা বাবার গল্প ॥ রাত ১১টা ১৫ ॥ রচনা: ফজলুল হক আকাশ; পরিচালনা: নরেশ ভুঁইয়া ॥ অভিনয়ে: সজল, মিম, দিতি প্রমুখ। গল্প : পরীর ইমেইলে একটা জরিপের প্রশ্ন এসেছে- একজন মেয়ের জীবনে অপরিহার্য পুরুষ কে? এই প্রশ্নের বেশিরভাগ মেয়ের উত্তর- বাবা ও স্বামী। কিন্তু পরী তা বিশ্বাস করে না। পরীর জীবনে বাবার কোনো গুরুত্ব নেই। পরীর মার জীবনে নেই স্বামীর ভুমিকা। তাহলে এতো মেয়ে কেনো বলছে- তাদের জীবনে অপরিহার্য়- বাবা ও স্বামী। পরী মানতে পারছে না। মার সাথে বিষয়টা শেয়ার করে- মা‘ও বিশ্বাস করে একজন মেয়ের জীবনে অপরিহার্য পুরুষ-বাবা ও স্বামী। মা‘র কথা শোনে অবাক হয় পরী! পরীর বাবা ১৯ বছর আগে দুই বছরের পরী ও তার মাকে রেখে প্রবাস জীবন যাপন বেছে নিয়েছে। পরী মার মুখ থেকে একটা কাহিনী শোনে কিশোর বেলা থেকেই পরী তার বাবাকে খুনী হিসাবে জানে। বাবা মাঝে মাঝে ঢাকায় আসলেও দেখা করতে চায় না পরী। অথচ মা- বাবা ১৯ বছর আলাদা থাকলেও তারা সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।

ঈদের পঞ্চম দিন ২১ নভেম্বর রবিবার

টেলিফিল্ম : পালিয়ে গিয়ে বিয়ে ॥ দুপুর ২টা ৪০ ॥ রচনা : নজরুল ইসলাম, পরিচালনা : চয়নিকা চৌধুরী ॥ প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব ও প্রভা ॥ গল্প : টেলিফিল্মের শুরুতেই দেখা যায়, দুই তরুণ-তরুণি একে অপরের সাথে গভীর প্রেমে আসক্ত। তারা নিজেদের ভালোবাসার পরিণতি স্বরূপ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই নিয়ে দুই পরিবারের সবার মধ্যে শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুরু হয় নতুন নাটকীয়তা।

নাটক : প্রথম প্রেম ॥ রাত ৮টা ১০ ॥ মাসুদ সেজানের রচনা ও পরিচালনায় বাংলাভিশনের বিশেষ নাটক ‘প্রথম প্রেম’ প্রচার হবে মিনিট। নাটকের তিনটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, বিন্দু ও মাসুদ আলী খান। গল্প : ছেলে বহুদিন পর দেশে ফিরে আসে। আর ফিরে আসে শুধুই ভালোবাসার টানে। বাংলাদেশের এক মেয়ের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। তাকে পাওয়ার উদ্দেশ্যেই তার এই ঘরে ফেরা। মেয়েটি ছবির মানুষ আর বাস্তবিক মানুষটিকে নতুনভাবে আবিস্কার করে। কিন্তু ভালোবাসায় দানা বাঁধে সন্দেহ। ছেলেটি হঠাৎ হঠাৎ কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়। কিন্তু পরণে ফিরে এসে ঠিক ঠিকই মেয়েটিকে ম্যানেজ করে ফেলে। নিজেদের ভালোবাসাকে প্রতিষ্টার ল্েয তারা বিয়ে করতে চায়। মেয়েটি ছেলেটিতে তার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এতেই বাঁধে বিপত্তি। ছেলেটি মেয়েটির প্রথম প্রেম হলেও, মেয়েটি ছেলেটির প্রথম প্রেম কিনাÑতা নিয়ে সৃষ্টি হয় দ্বিধা।

বিশেষ অনুষ্ঠান : আলোকিতজন ॥ রাত ৯টা ৪০ ॥ আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আবু সায়ীদকে নিয়ে অনুষ্ঠান ‘আলোকিতজন’ উপস্থাপনা করেছেন আব্দুন নূর তুষার। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবু সায়ীদ তাঁর দশ বছরের উপস্থাপক জীবন, অধ্যাপনা, লেখালেখিসহ টেলিভিশন মিডিয়ার বর্তমান অবস্থা ও নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন।

নাটক : ফিরেছ কি ফের নাই ॥ রাত ১১টা ১৫ ॥ গল্প: শওকত আলী, পরিচালনা: নাহিদ আহমেদ পিয়াল ॥ অভিনয়ে : রাইসুল ইসরাম আসাদ, সোহানা সাবা, সাবেরি আলম, মাজনুন মিজান প্রমুখ।

ঈদের ৬ষ্ঠ দিন ২১ নভেম্বর সোমবার

নাটক : গানের মাস্টার ॥ রাত ৮টা ১০॥ রচনা: মাসুম রেজা; পরিচালনা: আরিফ খান ॥ অভিনয়ে: আবুল হায়াত, রন্টি, প্রিসিলা পারভীন, সুব্রত, অর্ভিক প্রমুখ। গল্প : মফস্বলের এক গানের শিককে নিয়ে নাটকের কাহিনী । ভদ্রলোক বহু বছর ধরে অঞ্চলের ছেলেমেয়েদেরকে গান শেখায়। কিন্তু প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রিরা দরিদ্র হওয়ার কারণে তিনি তাদের কাছ থেকে কোনও সন্মানি পান না। তবুও তিনি তাঁর কর্মে ব্রত থাকেন। ঘটনার এক পর্যায়ে তাঁর এক ছাত্রি ঢাকায় গিয়ে এক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় ভালো ফল লাভ করে। তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। বিচারকরা যখন তাকে প্রশ্ন করেনÑতার গানের ওস্তাদজি কে? তখন সে তার সেই মফস্বলের গানের শিকের নাম বলে। তখন সেই প্রতিভা অšে¦ষণ প্রতিযোগিতা’র সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই মেয়েটিকে বলেÑসে যেন তার সেই ওস্তাদজিকে ঢাকায় নিয়ে আসে। তারা তাঁর নামে একটি স্কুল গড়বে। এবং তিনি সেখানেই স্থায়িভাবে চাকরি করবেন। কিন্তু ওস্তাদজিকে প্রস্তাব দেয়ার পর তিনি আদৌ ঢাকায় যাবেন কি যাবেন নাÑতাই নিয়ে সৃষ্টি হয় সংশয়। ঘটনা পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।

আরটিভির সাতদিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের আগের দিন ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার

নাটক : দুই লাইন কম বুঝে ॥ রাত ০৯টা ॥ রচনা ও পরিচালনা : শাহরিয়ার নাজিম জয় ॥ অভিনয়ে : শাহরিয়ার নাজিম জয়, শারিকা প্রমুখ।

নাটক : তোমাদের সাগর পারে ॥ রাত ১১টা ৩০ ॥ রচনা : রশিদ নিউটন, পরিচালনা : নজরুল কোরেশী ॥ অভিনয়ে . ডি এ তায়েব, ফাহমিদা শান্তা,স্বাগতা প্রমুখ।         


ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার
        
বাংলা ছায়াছবি : ভাইয়া ॥ সকাল ১০ টা ॥ পরিচালনা. এফ আই মানিক ॥ অভিনয়ে : মান্না, শাবনুর, পূর্নিমা ॥

টেলিফিল্ম : হাট টু ডু ডু ॥ দুপুর ০২টা ৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : নোমান রবিন ॥ অভিনয়ে : জয়রায, রাশেদ মামুন অপু, অহনা, পলাশ, বিনয় ভদ্র, ছবি, রহমতআলি সহ আরও অনেকে

ঈদ ধারাবাহিক : গরিবের বন্ধু  ॥ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস ও পরিচালনা. সালউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয় : আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী. মোশারফ করিম, শাহানাজ খুশি, শিরিন আলম, শামীম জামান, মৌনতা প্রমূখ।

নাটক : সারমেয় ॥ রাত ৯ টা ॥ রচনা ও পরিচলনা. রেদওয়ান রনি ॥ অভিনয় : জয়রাজ, দিহান, নাফা, কচি খন্দকার, রিফাত চৌধুরী,  সোহেল খান প্রমুখ॥

ঈদ শো স্পেশাল : রবি জেগে আছো কি ॥ রাত ১১টা ৩০ ॥ উপস্থাপনা : সায়েম ও নওশীন ॥ প্রযোজনা : তানিফ মাহমুদ॥

ঈদের দ্বিতীয় দিন ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার

বাংলা ছায়াছবি  : জীবন সংসার ॥ সকাল ১০টা ॥ পরিচালনা : জাকির হোসেন রাজু ॥ অভিনয়ে : শাবনুর, সালমান শাহ, ববিতা, ফারুক প্রমুখ॥

টেলিফিল্ম : ফেরার পথ নেই  থাকেনা কোনো কালে ॥ দুপুর ০২টা ৩০ ॥ পরিচালনা. মেজবাউর রহমান সুমন ॥ অভিনয়ে : জয়া আহসান , অনিমেষ আইচ , সেউতি প্রমুখ॥

ঈদ ধারাবাহিক : গরিবের বন্ধু  ॥ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস ও পরিচালনা. সালউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয় : আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী. মোশারফ করিম, শাহানাজ খুশি, শিরিন আলম, শামীম জামান, মৌনতা প্রমূখ।

নাটক : ক্রাইম রিপোর্টার ॥ রাত ৯ টায় ॥ পরিচালনা :মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ॥ অভিনয়ে : মাহফুজ আহমেদ, বিন্দু প্রমুখ।

ঈদের তৃতীয় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

বাংলা ছায়াছবি : ভাইয়ের শত্র“ ভাই ॥ সকাল ১০ টায় ॥ পরিচালনা : মমতাজুর রহমান আকবর॥ অভিনয়ে :মান্না, শাবনুর, অমিত হাসান, ডিপজল

টেলিফিল্ম : সায়াহ্নে ॥ দুপুর ০২টা ৩০॥ রচনা : নজরুল ইসলাম, পরিচালনা : চয়নিকা চৌধুরী ॥ অভিনয়ে: অপুর্ব, তিন্নি সহ অনেকে।

ঈদ ধারাবাহিক : গরিবের বন্ধু  ॥ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস ও পরিচালনা. সালউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয় : আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী. মোশারফ করিম, শাহানাজ খুশি, শিরিন আলম, শামীম জামান, মৌনতা প্রমূখ।

নাটক : ফেলু কাজল ॥ রাত ৯ টায় ॥ পরিচালনা : আলভী আহমেদ ॥ অভিনয় :  সজল, তিশা  সহ অনেকে।

ঈদের চতুর্থ দিন ২০ নভেম্বর শনিবার

বাংলা ছায়াছবি : মহামিলন ॥ সকাল ১০.০০ টায়  ॥ পরিচালনা : দিলীপ সোম ॥ অভিনয়ে. সালমান শাহ, শাবনুর, ববিতা, রাজিব॥

টেলিফিল্ম : তোমাকে পাওয়ার জন্যে ॥ দুপুর ০২টার ৩০ ॥ পরিচালনা : সাইফুল ইসলাম মান্নু ॥ অভিনয়ে : অপূর্ব, শ্রাবন্তি, আলিফ, ডলি জহুর।

ঈদ ধারাবাহিক : গরিবের বন্ধু  ॥ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস ও পরিচালনা. সালউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয় : আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী. মোশারফ করিম, শাহানাজ খুশি, শিরিন আলম, শামীম জামান, মৌনতা প্রমূখ।


নাটক : দ্যা সুজ স্টোরী ॥ রাত ৯ টা ॥ পরিচালনা. সকাল আহমেদ ॥ অভিনয়ে : সজল, তিশা, বিন্দু  সহ অনেকে।

ঈদের পঞ্চম দিন ২১ নভেম্বর রোববার

বাংলা ছায়াছবি : নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে ॥ সকাল ১০টায় ॥ পরিচালনা : জাকির হোসেন রাজু ॥
অভিনয়ে: রিয়াজ, শাবনুর, পুর্নিমা

টেলিফিল্ম : ভালোবাসা আনলিমিটেড ॥ দুপুর ০২টা ৩০॥ পরিচালনা : মোহন খান ॥ অভিনয়ে : শাহরিয়ার নাজিম জয়, সিদ্দিকুর রহমান, রিয়া , মৌসুমী বিশ্বাস, সাবাবা মোহন প্রমুখ॥

ঈদ ধারাবাহিক : গরিবের বন্ধু  ॥ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস ও পরিচালনা. সালউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয় : আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী. মোশারফ করিম, শাহানাজ খুশি, শিরিন আলম, শামীম জামান, মৌনতা প্রমূখ।

নাটক : আই এম সরি ॥ রাত ৯টায় ॥ পরিচালনা : মাসুদ সেজান ॥ অভিনয়ে : হিল্লোল, জেনি, শাহরিয়ার নাজিম জয়, প্রভা, মিশু প্রমুখ।

ঈদের ষষ্ঠ দিন ২২ নভেম্বর  সোমবার

টেলিফিল্ম : ডাক্তার আসিবার পর গুলনাহার উঠিয়া বসিলো ॥ দুপুর ০২টা ৩০ ॥ পরিচালনা : সুস্ময় সুমন॥ অভিনয়ে : জয়রাজ, নাফিজা, তমাল, সিমান্ত আহম্মেদ, রিমু প্রমুখ॥

ঈদ ধারাবাহিক : গরিবের বন্ধু  ॥ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস ও পরিচালনা. সালউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয় : আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী. মোশারফ করিম, শাহানাজ খুশি, শিরিন আলম, শামীম জামান, মৌনতা প্রমূখ।

নাটক : কালো ভ্রমর ॥ রাত ৯টা ৩০ ॥ পরিচালনা. রায়হান খান ॥ অভিনয়ে: মোশারফ করিম, মৌসুমী বিশ্বাস, সালাউদ্দিন লাভলু, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

ঈদের সপ্তম দিন ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার

টেলিফিল্ম : উলট পালট ॥ দুপুর ০২টা ৩০ ॥ রচনা : নুরুল ইসলাম , পরিচালনা : আবু আল সাইদ ॥
অভিনয়ে: আবুল হায়াত, শর্মিলী আহমেদ, আনিসুর রহমান মিলন, পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, বন্যা মির্জা, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ॥

ঈদ ধারাবাহিক : গরিবের বন্ধু  ॥ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ ॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস ও পরিচালনা. সালউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয় : আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী. মোশারফ করিম, শাহানাজ খুশি, শিরিন আলম, শামীম জামান, মৌনতা প্রমূখ।

বৈশাখী টিভির ছয়দিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের আগের দিন ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার

লাইভ মিউজিক্যাল শো : সময় কাটুক গানে গানে ॥ রাত ১২টা ॥ শিল্পী : শাহ মুহাম্মদ সমীর হোসাইন, উপস্থাপনা : ফাতেমাতুজ জোহরা ॥

ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার

টেলিফিল্ম : গেন্দু চোরার প্রেম কাহিনী ॥ বিকাল ৩টা ১০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : এসএহক অলিক ॥ অভিনয়ে : আল মনসুর, মিলন, আজিজুল হাকিম, সারিকা, শ্রাবন্তী প্রমুখ॥

তিন পর্বের ধারাবাহিক নাটক : প্রেমের নাম বেদনা (পর্ব ১)॥  রাত ৭টা ৫০॥ রচনা : আনিসুল হক, পরিচালনা : হিমেল আশরাফ ॥  অভিনয়ে : সজল, চঞ্চল চৌধুরী, সারিকা প্রমুখ॥ গল্প : শরিফ হাসান একজন নাটক নির্মাতা। তিনি একটি নাটক নির্মাণ করতে চঞ্চল চৌধুরীর কাছে যান। অভিনেতা চঞ্চল তাকে একটা মেয়ের কথা বলেন। শরিফ সেই মেয়ে শাশ্বতাকে নিয়ে তার নাটক নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজ করতে গিয়ে শরিফ ল্য করেন শাশ্বতা অনেক বুদ্ধিমতি ও ভালো একটা মেয়ে। একসময় শরিফ হাসান মেয়েটির প্রেমে পরে যায়। মেয়েটিও পরিচালককে পছন্দ করে ফেলেন।
তারা বিয়ে করে সংসার করা শুরু করে। বিয়ের পর কিছুদিন তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় নিয়মিত ঝগড়া করতে থাকে দুজনে। এক সময়ে তাদের সংসার ভাঙার উপক্রম হয়...।

নাটক : মুগ্ধ নীলিমার প্রান্ত ॥ রাত ৮টা ৩০ ॥ রচনা: শারমীন চৌধুরী, পরিচালনা : চয়নিকা চৌধুরী ॥ অভিনয়ে : অনিসুর রহমান মিলন, অপূর্ব, বিন্দু ॥ গল্প : মুগ্ধ আর প্রান্ত আপন ভাইয়ের মত দুই বন্ধু। প্রান্তের মা নাজমা রহমান সব সময়েই বিভেদহীন দৃষ্টিতে দেখেন তার দুই ছেলে মুগ্ধ আর প্রান্তের দিকে। আর এভাবেই ছোট থেকে একসাথে বেড়ে উঠে মুগ্ধ আর প্রান্ত । প্রান্ত এক সময় জানতে পারে মুগ্ধ যাকে ভালবাসে সেই মেয়েটির নাম নীলিমা। সুন্দরী নীলিমা হচ্ছে ধনীর দুলারী। খানিকটা খামখেয়ালি। জীবনটা সে উপভোগ করতে চায়। নীলিমার কাছে জীবন বাধাহীন বন্ধনহীন এক হরিনীর মত। সম্পর্কর কোন গভীরতাই ওকে তেমন স্পর্শ করে না। প্রান্ত মুগ্ধকে জানায় নীলিমার কাছে প্রেম ভালবাসা হচ্ছে টাইম পাছ। কোন কোন ছেলে  ওকে ভালবেসে ওর জন্য নিজেকে কতটা বিকিয়ে দিতে পারে, তা দেখে মজা পায়। প্রান্তর কাছ থেকে মুগ্ধ এসব শুনে..অট্ট হাসি দিয়ে বলে তুই আসলে জেলাস, নীলিমার মত একটি সুন্দরী মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক থাকায়। শুরু হয় দুই বন্ধুর মাঝে ভুল বুঝাবুঝি। তারপরেও প্রান্ত মুগ্ধর ভুল ভাঙ্গানোর জন্য নীলিমার সাথে ফোনে সম্পর্ক করে। এভাবে চলতে চলতে একটা সময়ে নীলিমাও প্রান্তর মাঝেই খুঁজে পায় নিজের অস্তিত্ব। প্রান্ত আটকে যায় নিজের পাতা ফাঁদে..॥

নাটক : জোড়া শালিক ॥ রাত ১০.৩৫ ॥ রচনা ও পরিচালনা : সুমন আনোয়ার ॥ অভিনয়ে : সাব্বির, বিজরী,     ডা. এজাজ, ফারুক আহমেদ ॥ গল্প : মরিয়মের তত্ত্বাবধানে নানান ধান্ধাবাজি করে বেড়ায় জালাল ও মোকসেদ। একজন লোকের কাছ থেকে তারা প্রায় বিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চিন্তা করে এই টাকার ভাগ অন্য কাউকে দেবে না। তাই টাকা নিয়ে জালাল ও মোকসেদ পালানোর পরিকল্পনা করে। উল্লেখ্য যে, দলনেত্রী মরিয়ম জালালের স্ত্রী।

নাটকের ঘটনা শুরু হয় একটি জলসা ঘর থেকে প্রচুর অর্থ প্রাপ্তির পর তারা জীবনের সমস্ত সুখগুলোকে একবার দেখে নিতে চায়। তাই তারা জলসা  ঘরে নর্তকীর সামনে মাতাল হয়ে টাকা ছিটাতে থাকে। হঠাৎ দলবল নিয়ে আগমন মরিয়মের। দুজনকে আটকে ফেলে মরিয়ম। সে সিদ্ধান্ত নেয় জালাল ও মোকসেদকে মেরে ফেলবে। তাই তাদের শেষ ইচ্ছা জানতে চায় মরিয়ম। আর এই সুযোগে জালাল মোকসেদ মরিয়মকে আটকে ফেলে পালিয়ে যায়।

লাইভ মিউজিক্যাল শো : সময় কাটুক গানে গানে ॥ রাত ১২ টা ॥ শিল্পী- ন্যান্সি, উপস্থাপনা- নাবিলা ॥

ঈদের ২য় দিন ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার

টেলিফিল্ম : ভালবাসার উল্টোপিঠ ॥ বিকাল ৩টা ১০॥ রচনা : মেহেদী আশরাফ, পরিচালনা : মিলন ভট্টাচার্য, অভিনয়ে : মাহফুজ আহমেদ, তিশা, সেঁওতি, মেহেদী আশরাফ প্রমুখ॥

তিন পর্বের ধারাবাহিক নাটক : প্রেমের নাম বেদনা (পর্ব ১)॥  রাত ৭টা ৫০॥ রচনা : আনিসুল হক, পরিচালনা : হিমেল আশরাফ ॥  অভিনয়ে : সজল, চঞ্চল চৌধুরী, সারিকা প্রমুখ॥

নাটক : আমাদের ফলো করুন ॥ রাত ৮টা ৩০ ॥ রচনা : এস এ হক অলিক, পরিচালনা : শাহীন কবীর টুটুল ॥ অভিনয়ে- মম, বিন্দু, মিম, শাহরিয়র শুভ প্রমুখ॥ গল্প : আরিফ ও শায়লা দম্পত্তি প্রতি বছর তিন দিনের জন্য ঝগড়া করে আলাদা হয়ে যায়। ঠিক বিবাহ বার্ষিকীর দিন একসাথে হয়। এভাবেই সেলিব্রেট করে তাদের বিবাহ বার্ষিকী। আরিফকে উইস করতে আসে তুলি। খানিকটা খাম-খেয়ালী করেই দুজনের ছবি তুলে এমএমএস করে আরিফকে। এমএমএস টি  পায় শায়লা। শুরু হয় আরিফ ও শায়লার জীবনের সত্যিকারের ঝগড়া। শায়লা বাপের বাড়ী চলে যায়। আরিফ ফিরিয়ে আনতে গেলে তুলিকে নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। এমন সময় আরিফের মোবাইলে ফোন আসে মেঘলার। মেঘলা আরিফের পুরানো বান্ধবী। যাকে মন প্রাণ উজার করে ভালোবাসতো আরিফ। আরিফের জীবনের সত্যিকারের ভালোবাসা তাহলে কি ? এই প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে যায় নাটক আমাদের ফলো করুন।
 
ঈদের ৩য় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

তিন পর্বের ধারাবাহিক নাটক : প্রেমের নাম বেদনা (পর্ব ১)॥  রাত ৭টা ৫০॥ রচনা : আনিসুল হক, পরিচালনা : হিমেল আশরাফ ॥  অভিনয়ে : সজল, চঞ্চল চৌধুরী, সারিকা প্রমুখ॥

নাটক : স্বপ্নওয়ালা রাত ৮টা ৩০ ॥ রচনা : বিপাশা হায়াত, পরিচালনা : তৌকীর আহমেদ ॥ অভিনয়ে- তৌকীর আহমেদ, মৌসুমী বিশ্বাস ॥ গল্প : চানমিঞা সবাইকে স্বপ্ন দেখায়। বিক্রি করে স্বপ্ন। কিন্তু তার বউ তার কাছ থেকে কখনো স্বপ্ন কেনে না। তাই তাদের সংসারে সুখও আসেনা। একদিন রাতে চোর এসে স্বপ্নওয়ালার স্বরপ্নর ঝুড়ি চুরি করে নিয়ে যায়। তাই সংসারে অভাব হয়। অন্যদিকে চোর যখন সেই স্বপ্ন বিক্রি করে, সেগুলো কিনে সবার জীবন দুর্বিষহ হয়। সবাই মিলে চোরকে মারধর করে। একরাতে চোর আবার স্বপ্নগুলো ফেরত দিয়ে যায়। তখন তার বউ নতুন করে বাঁচার আশায় স্বপ্ন কেনে স্বামীর কাছ থেকে। পরদিন থেকে তাদের সুখের দিন শুরু হয়।

নাটক : পূর্ণ দৈর্ঘ্য বাংলা নাটক ॥ রাত ১০টা ৩৫ ॥ রচনা : রুম্মান রশীদ খান, পরিচালনা : কৌশিক শংকর দাস ॥ অভিনয়ে :তিশা, সজল, মুনমুন, রাসেল, লায়লা হাসান প্রমুখ॥ গল্প : আর দশটা ছেলে থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম আরাফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী মিতুর সঙ্গে তার ছয় মাসের প্রেমের সম্পর্ক; কিন্তু লাজুক স্বভাবের কারণে আজ পর্যন্ত ‘ভালোবাসি’ কথাটি বলা হয়নি। মিতু-র ভালোবাসার প্রকাশভঙ্গিটাও অন্যরকম। আরাফের সঙ্গে সারাণ ঝগড়াঝাটি যেন মিতুর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এভাবেই একদিন লঙ্কাকান্ড ঘটে যায়। বিপত্তি আরো ঘনীভূত হয়, যখন সত্যি সত্যিই আরাফের এক সময়ের কলেজ বন্ধু নীতু দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে আসে। দূরত্ব বাড়ে মিতু-আরাফের। নিতু-আরাফের সম্পর্ক গভীর হয়। আরাফ এখন কি করবে? নিতুর সঙ্গেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবে? নাকি বিবাহিত মিতুকে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা নাটক’ স্টাইলে নিজের করে নেয়ার চেষ্টা করবে?

ঈদের ৪র্থ দিন ২০ নভেম্বর শনিবার

টেলিফিল্ম : বংশের বাত্তি ॥  বিকাল ৩টা ১০॥ রচনা ও পরিচালনা : সাদেক সিদ্দিকী॥ অভিনয়ে : মৌসুমী বিশ্বাস, এটিএম শামসুজ্জামান, মুরাদ প্রমুখ॥

নাটক : যে কথাটি বলতেই হলো ॥ রাত ৮টা ৩০ ॥ রচনা :  শৌর্যদীপ্ত সূর্য, পরিচালনা :মিজানুর রহমান লাবু ॥ অভিনয়ে-  তৌকীর আহমেদ, সুমাইয়া শিমু, দীপান্বিতা, খায়রুল আলম টুটুল, সাগরিকা প্রমুখ॥
গল্প : কেয়া (সুমাইয়া শিমু) আর রূপক (তৌকির আহমেদ) দম্পতি ঢাকায় একটা ফ্যাটে বসবাস করে। তারা দুজনে আলাদা আলাদা চাকরি করে। তাদের বিয়ে করার বয়স ৫/৬ বছর হলেও কোন সন্তান নেই। মাজেদা নামে ওদের দূর সর্ম্পকের মোটমুটি সুন্দরী একজন আত্মীয় ওদের বাসায় থাকতো। একদিন সকালে কেয়া দেখতে পায় যে মেয়েটি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ আসে। তদন্ত চলতে থাকে। রূপকের সঙ্গে মাজেদার অবৈধ সম্পর্ক ছিল মর্মে  পত্রিকায় খবর প্রকাশ পায়। কেয়ার বিশ্বাসের ছোট ফাটলটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। কেয়ার মনে হতে থাকে মাজেদার সঙ্গে রূপকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো। একসময় কেয়া অসুস্থ ছিল। সেসময় ডাক্তার তাকে দুমাস সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছিল। সে সময়কার এক রাতে কেয়া রূপককে বাইরে দেখেছিল। এভাবে কেয়া যখন তাদের কাজের মেয়ের মৃত্যুর সম্ভাব্য সম্ভাবনাহুলো মিলাতে চেষ্টা করে তখনই পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা কেয়াকে জানায় যে মৃত্যুর সময় মেয়েটি গর্ভবতী ছিল। কেয়ার বিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে যায় এবং সে রূপককে ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। কেয়া চলে যাবার আগ মুহূর্তে রূপক তার জীবনের সবচেয়ে গোপন কথা- যে কথাটি কোনদিন কেয়াকে না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটা বলে দেয়।

ঈদের ৫ম দিন ২১ নভেম্বর রবিবার

নাটক : ছায়াসঙ্গী ॥ রাত ৮টা ৩০ ॥  রচনা : রিপন রহমান, পরিচালনা: মনিরুল ইসলাম সোহেল ॥ অভিনয়ে : হুমায়রা হিমু, শুভ, রিমু, বিথি প্রমুখ ॥

ঈদের ৬ষ্ঠ দিন ২২ নভেম্বর সোমবার

নাটক : নাটকের নায়ক ॥ বিকাল ৩টা ১০ ॥ অভিনয়ে : হাসান মাসুদ, সোহেল খান, সারিকা, ইলোরা গওহর ॥

বিশেষ নাটক :  মেঘবতী ॥ রাত ৮টা ৩০ ॥ রচনা : অয়ন চৌধুরী, পরিচালনা :শিবলী কাইয়ুম ॥ অভিনয়ে : মামুনুর রশীদ, নাদিয়া, মাসুদ প্রমুখ ॥ গল্প : বুখারী আলাদিন এলাকার বিত্তবান প্রভাবশালী মানুষ। যাত্রা নাচগানের আসর বসান নিয়মিত। আর সেই নাচের দলের মেয়ে মেঘবতী। মেঘবতীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে বুখারীর একমাত্র উচ্চশিতি ছেলে কফিল আলাদিনের। কিন্তু বাবা বুখারী, কফিল- মেঘবতীর প্রেমের সর্ম্পক সহজভাবে গ্রহণ করেননি। রাগের মাথায় খুন করে মেঘবতীকে এবং কলঙ্কের অপবাদ দেয় মেঘবতীর চরিত্রে। একদিকে বাবার অপকর্ম আর অন্যদিকে প্রেমিকা হারানোর বেদনায় মানসিক ভারসাম্য হারায় কফিল। কফিলের বিপ্তি মন আর বেপরোয়া জীবনকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে নাটকটি। বাবা শিকলবন্দী করে রুমে বেঁধে রাখে কফিলকে, যাতে  ছেলে আত্মহনন করতে বা পালাতে না পারে। কিন্তু কফিলের চিন্তায়, কল্পনায় বাস করে মেঘবতী। আর মেঘবতীর আত্মাও আসা শুরু করে কফিলের জীবনে।   একপর্যায়ে কফিল বাড়ি থেকে পলায়ন করে এবং তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত দেখা হতে থাকে মেঘবতীর আত্মার। আর এ সময়ে বুখারীকেও জর্জরিত করা শুরু করে মেঘবতীর আত্মা। মেঘবতীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আশায় পৃথিবী থেকে অকাল বিদায় নেয় কফিল। ছেলেকে হারিয়ে বাবা পাগল হয়ে যায়। আর তাতে বিজয়ের হাসি হাসে মেঘবতীর আত্মা।  

একুশে টিভির ছয়দিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার

বিশেষ অনুষ্ঠান : মজার কিচ্ছা ॥ মিনিটেএকুশে টেলিভিশনে ঈদের ৬দিন সকাল ০৯টা ৩০ প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান মজার কিসসা। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন আবু হাসনাত মনি ও মানিক শিকদার। গোপাল ভাঁড় ও মোল্লা নাসিরউদ্দিন সুপরিচিত দুইটি নাম। এই দুই কিংবদন্তী, তাদের জীবদ্দশায় রঙ্গময় ও ব্যঙ্গময় বুদ্ধিমত্তার জন্য কালোত্তীর্ণ হয়ে আছেন। তাদের প্রতিটি দিনের প্রতিটি ঘটনা যেন অবিস্মরণীয় ও শিনীয় সাবলীল ইতিহাস। এই কৌতুকপূর্ণ ইতিহাস থেকে জানা যায় তখনকার জীবনধারা, সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক চিত্র। তাদের এই বিশাল কৌতুক ভান্ডার থেকে নির্বাচিত কয়েকটি কৌতুকের নাটিকা নিয়ে বিশেষ নাট্য ম্যাগাজিন মজার কিস্সা।

ঈদের রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান : টমি মিয়ার রেসিপি ॥ দুপুর ১২টা ৩০  ॥      
          
বিশেষ অনুষ্ঠান : ঈদ এক্সকুসিভ মোমেন্টস ॥ বিকাল ০৫টা ২৫ ॥ একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন সঙ্গীতশিল্পী বালাম, ফাহমিদা নবী ও শাফিন আহমেদ। আর সাংবাদিক হিসেবে থাকছেন মোরশেদ নাসের টিটো, বিপুল হাসান ও সৈকত সালাউদ্দিন। তানভির তারেকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন ইসরাফিল শাহীন।

নাটক : জিন্নাহ কসাই ॥ রাত ০৭টা ৩০ ॥ রচনা : ফজলুল হক আকাশ ,পরিচালনা : দীপু হাজরা ॥ অভিনয়ে : আনিসুর রহমান মিলন, বিন্দু সহ আরো অনেকে।

চলচ্চিত্র বিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠান  : ঈদ মুভিজ ॥ রাত ০৯ টা ৩০ ॥

নাটক : অপুর্ব’র সঙ্গে তাহাদের মধুচন্দ্রিমা ॥ রাত ১০টা ॥ রচনা ও পরিচালনা অরণ্য আনোয়ার ॥ অভিনয়ে : অপুর্ব,  ফারহা রুমা, সাজু খাদেম, সালাউদ্দিন লাভলু, স্বাগতা সহ আরো অনেকে।

নাটক : তিনটি প্রিয় মানুষ ॥ রাত ১১টা ৩০ ॥  রচনা : সাগর জাহান ও পরিচালনা : সকাল আহমেদ ॥ অভিনয়ে : সজল, তিশা, মৌসুমী বিশ্বাস।

ঈদের ২য় দিন ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার

বাংলা সিনেমা : ফুল নেবো না অশ্র“ নেবো ॥ দুপুর ০১টা ৩০ ॥ পরিচালনা : এফ আই মানিক ॥ অভিনয়ে : শাকিব খান,
শাবনুর ও আরো অনেকে।

নাটক : পুরুষ আশ্রম ॥ রাত ০৭টা ৩০ ॥ রচনা : মাজহার খোকন, পরিচালনা ঃ মাসুদুল হাসান রনি ॥ অভিনয়ে: সোহানা
সাবা, নিশো, তমাল, মহিউদ্দিন বাহার সহ আরো অনেকে।

মিলার একক সঙ্গীতানুষ্ঠান  :  দোলা দে ॥ রাত ০৮টা ৩০ ॥                   

নাটক : অপো ॥ রাত ১০ টা ॥ রচনা : ফারুক হোসেন ও পরিচালনা : সালাউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয়ে : শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নী,
আরেফিন শুভ, সিমানা সহ আরো অনেকে।

নাটক : কনফিডেন্স ॥ রাত ১১টা ৩০ ॥  রচনা ও পরিচালনা : মোস্তফা কামাল রাজ। অভিনয়ে : তিশা, মোশাররফ করিম সহ আরো অনেকে।

ফোনো লাইভ স্টুডিও কনসার্ট :  শিরোনামহীন ॥ রাত ১২টা ৩০॥


ঈদের ৩য় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

বাংলা সিনেমা : মায়ের মত ভাবী ॥ দুপুর ০১টা ৩০॥ পরিচালনা : এফ আই মানিক ॥ অভিনয়ে : ফেরদৌস, রচনা ব্যানার্জি,
শতাব্দী রায় সহ আরো অনেকে।

এক্সকুসিভ ইভেন্টস : আইডল নাইট। বিকাল ০৫টা ২৫॥ অংশ নিবেন শ্রীরাম, ভূমি , রাকেশ।

নাটক : মামার বালিশ কোথায় ॥ রাত ১০টা ॥ রচনা ও পরিচালনা : আতিকুল হক চেীধুরী। গল্প : একদিন ভাগ্না ভাগ্নিদের নিয়ে এক বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পর মামা দেখলেন তার কোল বালিশের ওয়ারটি বিছানার এক কোনে শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়িতে পুলিশের আগমন , হুলুস্তুল কান্ড।

নাটক : মনু মিয়ার মালকা বানু ॥ রাত ১১টা ৩০॥ রচনা : খলিলুর রহমান শাওন, পরিচালনা ॥ কায়সার আহমেদ ॥ অভিনয় আনিসুর রহমান মিলন, প্রভা, ফকরুল ইসলাম বৈরাগী সহ আরো অনেকে।

ফোনো লাইভ স্টুডিও কর্নসার্ট : আরফিন রুমি ॥ রাত ১২টা ৩০।

ঈদের ৪র্থ দিন ২০ নভেম্বর শনিবার

বাংলা সিনেমা : প্রতিবাদী মাস্টার ॥ দুপুর ০১টা ৩০ ॥ পরিচালনা : ছটকু আহমেদ ॥ অভিনয়ে মান্না ও মৌসুমী ॥
নাটক : সেলুলেড ম্যান ॥ রাত ০৭.৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ॥ অভিনয়ে : নওশীন, পার্থ বড়–য়া, জয়রাজ প্রমুখ।

বিশেষ নাটক : পরশ পাথর ॥ রাত ১০টা ॥ রচনা : নজরুল ইসলাম, পরিচালনা : চয়নিকা চেীধুরী। অভিনয়ে : আনিসুর রহমান মিলন, বিন্দু, প্রভা, হিল্লোল সহ আরো অনেকে।

বিশেষ নাটক : সখি আমার সান্ধ্যপাখির দলে ॥ রাত ১১টা ৩০॥ রচনা : দাউদ হোসাইন রনি ও পরিচালনা শামসুদ্দিন খান হিরু ॥ অভিনয়ে তারিন, সজল ও আরো অনেকে। গল্প : পারমিতা চৌধুরী, এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রচন্ড আত্মপ্রত্যয়ী একজন মানুষ। অন্যদিকে বড্ড বেখেয়ালী এক তরুন মুগ্ধ। এই দুজনের মাঝে বয়স ও মানসিকতার পার্থক্য অনেক। তবু তারা কোন এক অদ্ভুত মিলনে আবদ্ধ। দুজনই খুব অহংকারী। একই বাড়িতে থাকলেও দুজনের পরিচয় ঘটে ঝগড়া দিয়েঅ মুগ্ধর অহংকার খুব আঘাত করে পারমিতাকে। পারমিতা তার খ্যাতির মোহ থেকে বেরিয়ে এসে মুগ্ধকে বোঝার চেষ্টা করে। ফলাফলে দুজনে জড়িয়ে পড়ে এক অসম সম্পর্কের বাধঁনে। দুজনে হারিয়ে যায় সম্পূর্ন অন্য একটি জগতে।

ঈদের ৫ম দিন ২১ নভেম্বর রোববার
 
বাংলা সিনেমা : এ বাঁধন যাবেনা ছিড়ে ॥ দুপুর ০১টা ৩০ ॥ পরিচালনা  : এফ আই মানিক ॥ অভিনয়ে রিয়াজ, শাবনুর।

নাটক : ম্যানেজিং ডিরেক্টর ॥ রাত ০৭টা ৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা :  হিমু আকরাম। অভিনয়ে জাহিদ হাসান, জিনিয়া, খাইরুল আলম টুটুল সহ আরো অনেকে। গল্প : ঠাকুর দাস লেনের বাসিন্দারা আনন্দিত প্রেম চাঁদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হবার সংবাদে। গনি চাঁদেও বখে যাওয়া পুত্রধন চান্দু ওরফে প্রেম চাঁদ এখন এলাকাবাসীর গর্ব। তারা মিয়া আর সামছু এই আনন্দে মিষ্টি বিতরনে ব্যস্ত। ব্যস্ত বাসা বাড়ি চা স্টল আর সেলুনের লোকজনও। সবার মুখে একই কথা একই গল্প প্রেম চাঁদের সাফল্য গাঁথা নিয়ে। পুত্র চান্দুর এমন মহা সফলতায় আনন্দিত গনি চাঁদ। কিছুটা চিন্তিতও তিনি। তার চিন্তার কারন একটাই, চান্দু আসলে কিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হয়েছে? কোন কোম্পানীর?প্রশ্নের উত্তরে সিরিয়াস প্রেম চাঁদ। বাবাকে জানায় কোম্পানী কোন বিষয় না, পদটাই বড় বিষয়। পুত্রের উত্তরে খুমী গনি চাঁদ ভাবে আসলেই কোম্পানীর চেয়ে পদবী বড়। অন্যদিকে প্রতিবেশী দিলখুশী বেগমের ভাবনা জুড়েও এখন প্রেম চাঁদ। চান্দুর সাথে প্রেম প্রেম খেলতে গিয়ে এবার সত্যিই সত্যিই প্রেমে পড়ে যায় দিলখুশী। তার কারনও সেই একটাই প্রেমচাঁদ এখন ম্যানেজিং ডিরেক্টর। পাড়ার মাথার যুবকরা সব প্রেমচাঁদকে ঘিরে মানপত্র পাঠ করে।

নাটক :এক ব্যাগ ভালোবাসা ॥ রাত ১০টা ॥ রচনা  : ফজলুল হক আকাশ, পরিচালনা : দীপু হাজরা ॥ অভিনয়ে : হাসান মাসুদ, ফারজানা চুমুক, আ খ ম হাসান সহ আরো অনেকে।

২২ নভেম্বর ঈদের ৬ষ্ঠ দিন সোমবার

বাংলা সিনেমা : তুমি কত সুন্দর ॥ দুপুর ০১টা ৩০ ॥ পরিচালনা : আবিদ হাসান বাদল ॥ অভিনয়ে : রিয়াজ , পূর্নিমা ॥

বিশেষ নাটক : ধান্দা ॥ রাত  ০৭টা ৩০। রচনা : সারোয়ারুল ইসলাম , পরিচালনা : মাসুদুল হাসান রনি ॥ অভিনয়ে সজল, নাফিজা, মহিউদ্দিন বাহার সহ আরো অনেকে। গল্প : ঢাকা শহরের একটি মেস বাড়ি। যেখানে থাকেন একজন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা বেকার যুবক, থাকেন একজন ঘুষখোর ব্যাংক অফিসার বা কেরানী, আদমব্যাপারীর এক দালাল। তাদের মধ্যে একমাত্র ঘুষখোর কেরানীই বিবাহিত। আর বেকার যুবক চাকুরী খুঁজে হয়রান হলেও স্বপ্ন দেখে একদিন তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে সুখের সংসার বাঁধার। আর আদমপাচারের দালাল মিথ্যের প্রলোভনে ফেলে অসংখ্য মানুষকে প্রতারিত করার নানান কৌশল নিয়ে ব্যস্ততার গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ধান্ধা নাটকটির কাহিনী। নাটকের বিভিন্ন পর্যায় হাসি আর কৌতুকে গল্প এগিয়েছে। এই কাহিনীতে থাকছে ঢাকা শহরের মেস বাড়ির না জানা অনেক গল্প।

নাটক : ত্যাগ ॥ রাত ১০টা ॥ পরিচালনা : জুয়েল মাহমুদ ॥ অভিনয়ে : শহীদ্দুজ্জান সেলিম, তানিয়া সহ আরো অনেকে।

নাটক : মমতা ॥ রাত ১১টা ৩০ ॥ পরিচালনা : দীন মোহম্মদ। অভিনয়ে : আবুল হায়াত, শর্মিলী আহমেদ, সজল, জ্যোতিক জ্যোতি সহ আরো অনেকে।

 ফোনো লাইভ স্টুডিও কর্নসাট ॥ রাত ১২ ॥ অংশগ্রহণে মাকসুদ ও ঢাকা ব্যান্ড ॥

 দেশটিভির ছয় দিনের ঈদ আয়োজন

ঈদের দিন ১৭ নভেম্বর বুধবার


ছায়াছবি : অবিচার ॥ সকাল ১০টা ৩০ ॥ পরিচালনা : শক্তি সামন্ত ও সৈয়দ হাসান ইমাম ॥ অভিনয়ে : মিঠুন চক্রবর্তী, রোজিনা, উৎপল দত্ত ।  

টেলিফিল্ম: ট্রাফিক সিগন্যাল ও হলুদ বাতি ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥  রচনা : নজরুল ইসলাম ॥ পরিচালনা: শহীদুজ্জামান সেলিম ॥ অভিনয়ে: সানজীদা প্রীতি, স্বাগতা, রাহুল আনন্দ, দীপ্ত, মামুনুর রশীদ, পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, অপূর্ব মজুমদার, শহীদুজ্জামান সেলিম। গল্প : ওরা পাঁচজন। গান করে। ট্রাফিক সিগন্যাল নামে একটা ব্যন্ড গ্র“প আছে তাদের। সামনে নতুন অ্যালবাম আসবে। গান, পড়াশোনা, আর উচ্চবিত্ত জীবনটা যাপন করেই কাটছিলো তাদের। হয়তো এভাবেই কাটতো আজীবন। কিন্তু একদিন লঙড্রাইভে গিয়ে তারা খুঁজে পায় কিশোর কফিলকে। কফিলের গানের গলা অসাধারণ। রাস্তায় রাস্তায় রেলস্টেশনে গান গেয়ে ভিা করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় কফিলকে তাদের ব্যান্ড মেম্বার করে নেওয়ার। আর তখনই তারা জানতে পারে, কফিলের আয়ু আর মাত্র দুই মাস। লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত কফিলকে বাঁচাতে যে চিকিৎসা প্রয়োজন, তার ব্যায় আনুমানিক ত্রিশ লাখ টাকা! এই হাসিখুশি ছেলেটা কী অবলীলায় এই মৃত্যুকে মেনে নিয়েছে। উপায় নেই। কিন্তু জীবনে এতোটা বাস্তবতার সম্মুখিন আগে কখনো হয়নি ইমতু, জেসি, ইরানা, নিপু আর নুমায়ের। কফিলের মৃত্যুকে তারা মেনে নিতে পারে না। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে হলেও কফিলকে তারা বাঁচাবে।


৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক : মূর্তি ॥ রাত ৭টা ৩০ ॥রচনা: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। পরিচালনা: গোলাম সোহরাব দোদুল। নাট্যরূপঃ শফিকুর রহমান শান্তুনু। অভিনয়ে: আসাদুজ্জামান নূর, এস এম মহসিন, জয়রাজ, ফারহানা মিলি, আফরোজ, ড. এজাজ। গল্প : এক বৃষ্টির রাতে তরফদার সাহেবকে ধরে নিয়ে আসে আনিস তার লেখক বন্ধু ইকবালের বাসায়। তরফদার সাহেব যৌবনে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাম রাজনীতি সাথে যুক্ত ছিলেন। সে সূত্রে বৈচিত্রময় জীবন। তিনি ইকবালের বাসায় একটি পাথরের মূর্তি দেখে নষ্টালজিক হয়ে যান। তার মনে পড়ে যায় এক জীবন্ত পিশাচ মূর্তির কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনা। তিনি নিতান্ত নাস্তিক হওয়া সত্তেও এ অলৌকিক ঘটনার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। আনিস ও ইকবাল উৎসুক হয়ে ওঠে সে গল্প শোনার জন্যে। এক পর্যায়ে তরফদার বলতে শুরু করেন সে গা শিউরে ওঠা পিশাচের চমকপ্রদ গল্প।

সাত তরুণের নাটক : যাত্রা বিরতি ॥ রাত ৮টা ৩০॥ রচনা: বদরুল আনাম সৌদ, পরিচালনা: মোন্তাসীর বীপন ॥ অভিনয়ে: সুর্বনা মুস্তাফা,বন্যা র্মিজা, ইন্তেখাব দিনার, সাজু খাদেম। প্রচার: ঈদের দিন
কাহিনী সংপে: বৃষ্টির এক দিন। এমন বৃষ্টি যেখানে দু’হাত দুরের বস্তু আর দেখা যায় না। সে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচবার জন্যই এক প্রৌঢ় এসে দাঁড়ায় এক বাড়ির সামনে। কড়া নাড়ে। ভেতর থেকে কারো কোন সাড়া নেই। প্রৌঢ় সেখানেই বসে থাকে বৃষ্টি কখন শেষ হবে এই অপোয়। এর মাঝে মহিলা আসে, আসে এক তরুণীও । তারা এসেছে বৃষ্টির মাঝে একটা আশ্রয়ের আশায়। এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক : জিম্মি ॥ রাত ১০ টা ॥ রচনা ও পরিচালনা: রেদোয়ান রনি। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, সাজু খাদেম, ফারুক আহমেদ, মিশু সাব্বির , রাহা. এ্যালেন শুভ্র, আরাবী, ফাহাদ, মিতি, রাহাত, বাবু, মিতু এবং ৪ জন চায়নিজ ॥ গল্প : দু-ধরনের মানুষের গল্প জিম্মিতে। একদলে আছে উদ্দেশ্যহীন অপরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু মানুষ যারা জীবনের বিভিন্ন সময় ধনী হওয়ার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট পরিকল্পনা করে। কোনটাতেই সফল না হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক উদ্ভট পরিকল্পনা পায়,মানুষকে জিম্মি করে ধনী হবে। আরেকদলে আছে, পরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু তরুণ-তরুণী, বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বেড়াতে যায় বান্দরবানে । ঘটনা চক্রে জিম্মি হয়ে যায় তারা । ঘটতে থাকে একের পর এক নানান ঘটনা-রটনা ।    

ঈদের ২য় দিন ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার

শিশুতোষ আয়োজন : বোম্বে সুইটস কার্টুন উৎসব ॥  প্রতিদিন সকাল ৯টায় ॥ টম অ্যান্ড জেরি নিয়ে বিশেষ আয়োজন ‘কার্টুন উৎসব’ ॥

টেলিফিল্ম: ধুলোর মানুষ, মানুষের ঘ্রান ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। অভিনয়ে: র্পাথ বড়–য়া, সামিয়া, জহীরুদ্দীন পিয়ার, রিংকন শিকদার এবং দেড় শতাধিক আদিবাসী।
গল্প : পড়ে আছে একটা মাটির দেহ। চৈত্রের ফাটা মাঠের মত তার মাটির শরির ও ফাটা । চোখ মেলল মাটির শরির। আকশে বিদ্যুৎ চমক। বৃষ্টি শুরু হলো। উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় দিল সে মাটির পথে। একপাল শুকর নিয়ে আসছে নিয়া। তার চোখমুখ বেশ উজ্জ্বল। বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে গ্রাম, ধুয়ে যাচ্ছে মানব সন্তান ‘ঋ’র শরীর। বেরিয়ে আসছে মানবিক ত্বক। এভাবেই শুরু একটা দিনের। গ্রামের পথেপথে খাদ্যের সন্ধান করতে করতে গোষ্ঠী প্রধানের বাড়িতে হাজির হয় ঋ। গোষ্ঠীপ্রধান তাকে শর্তসাপেক্ষে খাদ্য দিতে সম্মত হন। শর্ত ঋ-কে শুকর চরাতে হবে। সানন্দে রাজি হয় ঋ, এবং সে জানায় তার ছোট ভাই ণৃ ও মাটিতে মিশে আছে, গোষ্ঠীপ্রধান সম্মত হলে সে তাকেও নিয়ে আসতে পারে। এক খরচে দু’জন রাখাল পাওয়ায় সন্তুষ্ট ই হয় গোষ্ঠী প্রধান লাবিয়া। শুরু হয় ঋ আর ণৃ এর নতুন জীবন।

ঈদের ৩য় দিন ১৯ নভেম্বর শুক্রবার

শিশুতোষ গল্পবলার অনুষ্ঠান : কল্পলোকের গল্পকথা ॥ সকাল ৯টা ৩০ ॥ এই অনুষ্ঠানে বিখ্যাত লেখকদের বিখ্যাত শিশুতোষ গল্পগুলো শিশুদের উপযোগী করে উপস্থাপন করা হবে। প্রাচীন গল্প বলার সুরটিকে অুন্ন রেখে আধুনিক উপস্থাপনের এই অনুষ্ঠানে গল্প বলবেন তামান্না তিথি। নির্দেশনা মীর বরকত।

ছায়াছবি: কোটি টাকার কাবিন ॥ সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পরিচালনা: এফ আই মানিক ॥ অভিনয়ে: শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, রাজ্জাক, ফারুক, সুচরিতা, ডিপজল ॥

টেলিফিল্ম : সহোদরা ॥ দুপুর ২টা ৩০ মিনিট ॥ রচনা: মাসুম রেজা, পরিচালনা: গিয়াস উদ্দিন সেলিম
॥ অভিনয়ে: আহসানুল হক মিনু, চঞ্চল চৌধুরী, তারিন ও আজিজুল হাকিম। প্রচার: ঈদের ৩য় দিন ।
গল্প : আরতি রানী ও চায়না রানী । দুই সহদরা। এ দুজনকে ঘিরেই সহদোরার গল্পের যাত্রা। নিম্ন সম্প্রদায়ের দুইবোন বাস করে একটা পুরাকীর্তিতে পরিনত হওয়ার এক প্রাচীন বাড়িতে। যে বাড়ির অবশিষ্ট বলতে কেবল একটি ঘর এঘরে দুজনের বাস আরতি একজন প্রাইমারি স্কুল শিকা। চায়না কলেজের ছাত্রী। তাদের শিা তাদের পেশা তাদেরকে এমন এক অবস্তানে দাঁড় কারিয়ে দেয় যে তারা তাদের নিজের সম্প্রদায়ের আর ফিরে যেতে পারে না। ফলে তাদের বিবাহ নিয়ে দেখা দেয় এক সংকট॥ এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী ॥

অনুষ্ঠান: দেশ ব গল্প ॥ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ ॥ উপস্থাপনা: ইরেশ যাকের, অতিথি: সুবর্ণা মুস্তাফা ॥ গ্রন্থনা: মারুফ রেহমান ॥ দেশ ব গল্প একটি বিনোদনমুলক ফান অনুষ্ঠান হলেও এখানে দেশ বিদেশের নানান অসঙ্গতি ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে তুলে ধরা  হবে ॥ প্রযোজনা: সুমন সাহা ॥

সাত তরুনের নাটক: হিমঘর ॥ রাত ৮টা ৩০॥ রচনা : বৃন্দাবন দাস, পরিচালনা : ফরিদা লিমা ॥ অভিনয়ে: ওয়াহিদা মল্লিক জলি, পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সানজীদা প্রীতি, অনি এবং অন্যানরা।
গল্প : নোরা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট একজন ধনীর দুলালী। হঠাৎ সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রচারিত একটি লিখা তার স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ও চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ‘আমার মা একজন বীরাঙ্গণা’ এই শীর্ষক লেখাটির অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঘনিষ্ট হয় লেখক ও তাঁর মা এর সাথে । সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ের । জয় হয় নোরার; বিয়ে করে লেখক পাভেল হাসানকে। কিন্তু তারপর... সে কি আসলেই জয়ী হতে পারে নিজের বিরুদ্ধে নিজের যুদ্ধে...?

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক : জিম্মি ॥ রাত ১০ টা ॥ রচনা ও পরিচালনা: রেদোয়ান রনি। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, সাজু খাদেম, ফারুক আহমেদ, মিশু সাব্বির , রাহা. এ্যালেন শুভ্র, আরাবী, ফাহাদ, মিতি, রাহাত, বাবু, মিতু এবং ৪ জন চায়নিজ ॥ গল্প : দু-ধরনের মানুষের গল্প জিম্মিতে। একদলে আছে উদ্দেশ্যহীন অপরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু মানুষ যারা জীবনের বিভিন্ন সময় ধনী হওয়ার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট পরিকল্পনা করে। কোনটাতেই সফল না হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক উদ্ভট পরিকল্পনা পায়,মানুষকে জিম্মি করে ধনী হবে। আরেকদলে আছে, পরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু তরুণ-তরুণী, বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বেড়াতে যায় বান্দরবানে । ঘটনা চক্রে জিম্মি হয়ে যায় তারা । ঘটতে থাকে একের পর এক নানান ঘটনা-রটনা ।    

ঈদের ৪র্থ দিন ২০ নভেম্বর শুক্রবার

ছায়াছবি: হঠাৎ বৃষ্টি ॥ সকাল ১০টা ৩০॥ পরিচালনা: বাসু চ্যাটার্জি ॥ অভিনয়ে: ফেরদৌস, প্রিয়াঙ্কা প্রমুখ।

টেলিফিল্ম: আয়শার ইতিকথা ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ রচনা ও পরিচালনা : সুমন আনোয়ার ॥ অভিনয়ে : ফারহানা মিলি, আদনান ফারূক হিল্লোল, তাসমিয়া হোসেন, আহমেদ রুবেল, রহমত আলী, আহসানুল হক মিনু, শ্যামল, আদ্রিতা এবং পুবাইলের গ্রামবাসী। গল্প : মন্তল হঠাৎ মোবারক এর বাড়ী যেয়ে লোভী হয়ে উঠে মোবারকের মেয়ে আয়শাকে দেখে। বাড়ি ফিরে নিজের মা মরা মেয়ে লতাকে বিয়ে দিতে উদগ্রীব হয়ে উঠে, অন্য দিকে আয়শা ভালোবাসে মন্ডরের রাখাল ফিরোজকে। আর লতা মন্ডলের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করতে চায় না কারণ সে গ্রামের মাস্টারের ছেলে শ্যামলকে ভালোবাসে। এই সব বিষয় মন্ডলকে জানায় মন্ডলরে বিশ্বত্ব লোক নুইনা। মন্ডল মাস্টারের ছেলেকে নুইনাকে দিয়ে খুন করায় আর ফিরোজকে গ্রাম থেকে বের করে দেয়। মন্ডল বিয়ে করে আয়শাকে আর তারপরই ঘটে আমাদের অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

সঙ্গীতানুষ্ঠান : ফাস্ট বিট ॥ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ ॥ জনপ্রিয় ব্যান্ড দলগুলোর জনপ্রিয় গান নিয়ে মিউজিক ভিডিও। প্রযোজনা: আলমগীর হোসেন।

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক : মূর্তি ॥ রাত ৭টা ৩০ ॥রচনা: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। পরিচালনা: গোলাম সোহরাব দোদুল। নাট্যরূপ : শফিকুর রহমান শান্তুনু। অভিনয়ে: আসাদুজ্জামান নূর, এস এম মহসিন, জয়রাজ, ফারহানা মিলি, আফরোজ, ড. এজাজ। গল্প : এক বৃষ্টির রাতে তরফদার সাহেবকে ধরে নিয়ে আসে আনিস তার লেখক বন্ধু ইকবালের বাসায়। তরফদার সাহেব যৌবনে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাম রাজনীতি সাথে যুক্ত ছিলেন। সে সূত্রে বৈচিত্রময় জীবন। তিনি ইকবালের বাসায় একটি পাথরের মূর্তি দেখে নষ্টালজিক হয়ে যান। তার মনে পড়ে যায় এক জীবন্ত পিশাচ মূর্তির কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনা। তিনি নিতান্ত নাস্তিক হওয়া সত্তেও এ অলৌকিক ঘটনার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। আনিস ও ইকবাল উৎসুক হয়ে ওঠে সে গল্প শোনার জন্যে। এক পর্যায়ে তরফদার বলতে শুরু করেন সে গা শিউরে ওঠা পিশাচের চমকপ্রদ গল্প।


ঈদের ৫ম দিন ২১ নভেম্বর শনিবর

ছায়াছবি: পালঙ্ক ॥ সকাল ১০টা ৩০॥ পরিচালনা: রাজেন তরফদার। অভিনয়ে: সন্ধ্যা রায়, আনোয়ার হোসেন, উৎপল দত্ত প্রমুখ।

টেলিফিল্ম: লাবন্য ও বনলতা ॥ দুপুর ২টা ৩০ ॥ রচনা: মশিউল আলম ॥ পরিচালনা: আকরাম খান ॥ অভিনয়ে: আরমান পারভেজ মুরাদ, নাজনীন চুমকী, বিদ্যা সিনহা মীম।   গল্প : ১৯৩২ সাল ও ১৯৪০ সাল। জয়ন্ত ও লাবন্যর সংসার। সুখী নয়, নানা টানাপোড়েনে কিষ্ট। লাবন্য রূপসী; এক কালে থিয়েটারে অভিনয় করতেন, অনেকেই তাঁর রূপমুগ্ধ ছিল,  চলচ্চিত্রে নায়িকার চরিত্রে অভিনয়েরও প্রস্তাব পেয়েছিলেন, এমনকি একজন চলচ্চিত্র পরিচালক তাঁর প্রেমেও পড়েছিল। লাবন্য দাশ সেইসব স্বপ্নময় দিনের কথা ভেবে বিষণœতায় ভোগেন, কারণ তাঁর স্বামী একজন সামান্য কলেজ-শিক, তাঁর সঙ্গে সংসারযাপনে কোনো রোম্যান্স নেই; সংসারের আর্থিক টানাপোড়ের, আটপৌরে জীবনযাপন, তিন বছরের একটি সন্তানের লালন-পালন, এসবের ভেতরে কোনো আনন্দ খুঁজে পান না লাবন্য দাশ। তিনি তাঁর অতীত জীবনের গৌরব ও হারানো সম্ভাবনার গল্প বলেন বনলতা সেনকে। এগিয়ে যায় গল্প।

বিশেষ অনুষ্ঠান: আহ! কি ভীষণ! টেলিভিশন ॥ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ ॥ ২১ নভেম্বর বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে প্রথম ‘টেলিভিশন’ দেখার মজার মজার গল্প নিয়ে নির্মিত বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘আহ! কি ভীষণ! টেলিভিশন’। অনুষ্ঠানে প্রথম টিভি দেখা’র অভিজ্ঞতার গল্প বলেছেন বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি এবং সাধারণ মানুষ। সে সঙ্গে একটি টিভি চ্যানেলের কর্মতৎপরতা ও টেলিভিশনকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে নানা চমকপ্রদ ঘটনায় সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানটি।



সাত তরুণের নাটক: আপনাকে নিতে এসেছি স্যার ॥ রাত ৮টা ৩০মিনিট ॥ রচনা ও পরিচালনা: জাহিদ মাহমুদ। অভিনয়ে: পিযুষ বন্দেপাধ্যায়, আশীষ খন্দকার, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু ,সাবেরী আলম, কুসুম শিকদার। গল্প :রায়হান খান দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। জীবনের প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি রায়হান হারিয়েছে ব্যক্তিগত আবেগ। এমনই একদিন মৃত্যু নিজেই এসে ধরা দেয় রায়হানের সামনে।
মৃত্যুদূত জানায় আগামী পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে রায়হানের মৃত্যুর কথা। কিন্তু রায়হান মৃত্যুকে গ্রহণ করতে নারাজ। মৃত্যুদূত রায়হানকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে তার বদলে কাউকে দিতে বলে ,যে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত, তাহলেই রায়হানের মুক্তি সম্ভব। রায়হান খুঁজতে বের হয় তার বদলে কে মৃত্যুদূতের সাথে যাবে। আর এই পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান দেখতে পায় তার অর্জনগুলো কত নড়বড়ে। এভাবেই চলতে থাকে আপনাকে নিতে এসেছি স্যারের গল্প।

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক : জিম্মি ॥ রাত ১০ টা ॥ রচনা ও পরিচালনা: রেদোয়ান রনি। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, সাজু খাদেম, ফারুক আহমেদ, মিশু সাব্বির , রাহা. এ্যালেন শুভ্র, আরাবী, ফাহাদ, মিতি, রাহাত, বাবু, মিতু এবং ৪ জন চায়নিজ ॥ গল্প : দু-ধরনের মানুষের গল্প জিম্মিতে। একদলে আছে উদ্দেশ্যহীন অপরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু মানুষ যারা জীবনের বিভিন্ন সময় ধনী হওয়ার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট পরিকল্পনা করে। কোনটাতেই সফল না হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক উদ্ভট পরিকল্পনা পায়,মানুষকে জিম্মি করে ধনী হবে। আরেকদলে আছে, পরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু তরুণ-তরুণী, বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বেড়াতে যায় বান্দরবানে । ঘটনা চক্রে জিম্মি হয়ে যায় তারা । ঘটতে থাকে একের পর এক নানান ঘটনা-রটনা ।    


ঈদের ৬ষ্ঠ দিন ২২ নভেম্বর রোববার

ছায়াছবি: নান্টু ঘটক ॥ সকাল ১০টা ৩০ ॥  পরিচালনা: গাজী মাজহারুল আনোয়ার অভিনয়ে: আলমগীর, সুচরিতা, ওয়াসিম প্রমুখ।

টেলিফিল্ম: যথাযথ মৃত্যু ॥ দুপুর ২টা ৩০॥ রচনা: আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। পরিচালনা: ওয়াহিদ তারেক। অভিনয়ে: সুমন আনোয়ার, তাসমিয়া, হেলাল প্রমুখ।

সেলিব্রেটি শো: যা কিছু প্রথম ॥ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ ॥ তারকাদের প্রথম ঘটনার স্মৃতি কথা নিয়ে অনুষ্ঠান ॥যা কিছু প্রথমের আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তারকার অজানা অনেক অজানা মজার কথা। যেমন প্রথম  কাজ, প্রথম ভালোলাগা, প্রথম প্রেমে পড়া, প্রথম  স্বপ্নের কথা, প্রথম স্কুল পালানো, প্রথম বৃষ্টি ভেজা, প্রথম রান্নাঘরে, প্রথম উপহার, প্রথম চুরি (বাবা, মা বা বোনের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি), প্রথম ঝগড়া, প্রথম রোজগার, প্রথম ক্যামেরার সামনে দাড়ানো, প্রথম নাটক, সিনেমা, গান, নাচসহ আরো অনেক বিষয়ে গল্পকথা। ঈদের অতিথি হিসেবি থাকবেনÑ মডেল অভিনেত্রী শারিকা। উপস্থাপনা: বিজরী বরকত উল্লাহ। প্রযোজনা: ফরিদা লিমা।

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক : মূর্তি ॥ রাত ৭টা ৩০ ॥রচনা: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। পরিচালনা: গোলাম সোহরাব দোদুল। নাট্যরূপ : শফিকুর রহমান শান্তুনু। অভিনয়ে: আসাদুজ্জামান নূর, এস এম মহসিন, জয়রাজ, ফারহানা মিলি, আফরোজ, ড. এজাজ। গল্প : এক বৃষ্টির রাতে তরফদার সাহেবকে ধরে নিয়ে আসে আনিস তার লেখক বন্ধু ইকবালের বাসায়। তরফদার সাহেব যৌবনে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাম রাজনীতি সাথে যুক্ত ছিলেন। সে সূত্রে বৈচিত্রময় জীবন। তিনি ইকবালের বাসায় একটি পাথরের মূর্তি দেখে নষ্টালজিক হয়ে যান। তার মনে পড়ে যায় এক জীবন্ত পিশাচ মূর্তির কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনা। তিনি নিতান্ত নাস্তিক হওয়া সত্তেও এ অলৌকিক ঘটনার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। আনিস ও ইকবাল উৎসুক হয়ে ওঠে সে গল্প শোনার জন্যে। এক পর্যায়ে তরফদার বলতে শুরু করেন সে গা শিউরে ওঠা পিশাচের চমকপ্রদ গল্প।


সাত তরুনের নাটক: আমি তুমি ও অর্পণ ॥ রাত ৮টা ৩০ ॥ রচনা: নওমী কামরুন বিধু। পরিচালনা: সাকিব আহমেদ ॥ অভিনয়ে: বন্যা মির্জা, রনক হাসান, আমিনুর রহমান বাচ্চু। গল্প : মলি কিছু দিন যাবৎ অর্পনকে  দেখছে। শুধু দেখছে বললে ভুল হবে । সে রিতিমত অর্পনের সাথে খেলা করছে । তার নানা আবদার নানা দস্যিপনার সাথে সমান ভাবে তাল মেলাচ্ছে । কিন্তু এমনটা হবার কথা না । কারণ ছয় মাস হয়ে গেছে মলি এবং রাশেদের ছেলে অর্পণ পানিতে ডুবে মারা গেছে । অর্পনকে  হারিয়ে মলি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে । রাশেদ তাকে সারিয়ে তোলার আপ্রান চেষ্টা করতে থাকে এবং মলি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতেও থাকে । কিন্তু মলিকে স্বাাভাবিক করে তোলার একপর্যায়ে রাশেদ নিজেই অর্পনকে দেখতে আরম্ভ করে ।   সে দেখে ভেজা শরীরে ছয় বছরের অর্পন তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । সেই নির্নিমেষ চেয়ে থাকা দৃষ্টির সামনে রাশেদ অনবরত ত বিত হতে থাকে । রাশেদের দিন কাটতে থাকে দুঃস্বপ্নের মত । কি চায় অর্পন তার কাছে? তার চোখে কিসের এত প্রশ্ন । একপর্যায়ে রাশেদ একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞের সরনাপন্ন হয়। তার কাছে বলে তার সব না বলা কথা যা বুকের ভেতর চেপে রেখে সে ক্রমশই পাগল হয়ে যচ্ছিল। সময়ের দ্বান্দিক আবর্তে  ধাবমান দুই নরনারীর মনস্তাত্মিক অবস্থার সাথে  একাত্ম হতে দেখুন নাটক- আমি তুমি এবং অর্পন ।

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক: জিম্মি ॥ রাত ১০ টায় ॥ রচনা ও পরিচালনা: রেদোয়ান রনি। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, সাজু খাদেম, ফারুক আহমেদ, মিশু সাব্বির , রাহা, এ্যালেন শুভ্র, আরাবী, ফাহাদ, মিতি, রাহাত, বাবু, মিতু এবং ৪ জন চায়নিজ। গল্প : দু-ধরনের মানুষের গল্প জিম্মিতে। একদলে আছে উদ্দেশ্যহীন অপরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু মানুষ যারা জীবনের বিভিন্ন সময় ধনী হওয়ার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট পরিকল্পনা করে। কোনটাতেই সফল না হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক উদ্ভট পরিকল্পনা পায়,মানুষকে জিম্মি করে ধনী হবে। আরেকদলে আছে, পরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু তরুণ-তরুণী, বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বেড়াতে যায় বান্দরবানে । ঘটনা চক্রে জিম্মি হয়ে যায় তারা । ঘটতে থাকে একের পর এক নানান ঘটনা-রটনা ।    


ঈদের ৭ম দিন ২৩ নভেম্বর সোমবার

ছায়াছবি: রূপবান ॥ সকাল ১০টা ৩০ ॥ পরিচালনা: সালাউদ্দিন ॥ অভিনয়ে : সুজাতা, আজিম, আনোয়ার হোসেন, ইনাম আহমেদ প্রমুখ।

টেলিফিল্ম: রঙ্গিন সুতোর মাদুলী ॥ দুপুর ২টা ৩০॥ রচনা ও পরিচালনা : মান্নান হীরা ॥ অভিনয়ে: মীর সাব্বীর, চাঁদনী, মামুনুর রশীদ, মোমেনা চৌধুরী। গল্প : বাংলাদেশের কোন একটি গ্রাম। সেই গ্রামের একটি স্বচ্চল কৃষক পরিবার। পরিবারের কর্তা ছোট মিয়া এবং স্ত্রী বুল বুলি এই নিয়ে সংসার। সংসারে কোন সন্তাদি নেই। ছোট মিয়া এবং বুলবুলির বয়সের তারতম্য রয়েছে। বুলবুলি বয়সে ছোট সেই পরিবারে আছে আরেক যুবক নাম তার মানিক। নিঃসন্তান বুলবুলির জন্য মানিক নানা ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে। দুরদুরান্ত থেকে তাবিজ কবজ ঝাড়ফুক ও পানি পড়া এনে বুলবুলিকে দেয় মানিক। বুলবুলি দ;ওমানিকের সম্পকটি অভিনব। তারা মনিব চাকরের সর্ম্পককে অতিক্রম করে এক ভিন্ন সম্পর্কে অবস্থান করছে যা বন্ধুত্ব নয়, প্রেম নয়, অথবা নয় কোন ভগ্নি বা জননী। এদের নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প॥

বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান: আমরা দুজন দেখতে কেমন ॥ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ ॥ জমজদের নিয়ে এ বিনোদনমুলক অনুষ্ঠানেএকজোড়া জমজ অংশগ্রহন করবে। তাদের বেড়ে ওঠা, বিড়ম্বনাসহ মজার  বিষয় ও ঘটনা উপস্থাপন করা হবে এই অনুষ্ঠানে। উপস্থাপনা: নাজনীন চুমকী। প্রযোজনা: আমজাদ সুজন।

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক : মূর্তি ॥ রাত ৭টা ৩০ ॥রচনা: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। পরিচালনা: গোলাম সোহরাব দোদুল। নাট্যরূপ : শফিকুর রহমান শান্তুনু। অভিনয়ে: আসাদুজ্জামান নূর, এস এম মহসিন, জয়রাজ, ফারহানা মিলি, আফরোজ, ড. এজাজ। গল্প : এক বৃষ্টির রাতে তরফদার সাহেবকে ধরে নিয়ে আসে আনিস তার লেখক বন্ধু ইকবালের বাসায়। তরফদার সাহেব যৌবনে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাম রাজনীতি সাথে যুক্ত ছিলেন। সে সূত্রে বৈচিত্রময় জীবন। তিনি ইকবালের বাসায় একটি পাথরের মূর্তি দেখে নষ্টালজিক হয়ে যান। তার মনে পড়ে যায় এক জীবন্ত পিশাচ মূর্তির কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনা। তিনি নিতান্ত নাস্তিক হওয়া সত্তেও এ অলৌকিক ঘটনার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। আনিস ও ইকবাল উৎসুক হয়ে ওঠে সে গল্প শোনার জন্যে। এক পর্যায়ে তরফদার বলতে শুরু করেন সে গা শিউরে ওঠা পিশাচের চমকপ্রদ গল্প।

সাত তরুণের নাটক: আপন খবর ॥ রাত ৮টা ৩০॥ রচনা : মাতিয়া বানু শুকু। পরিচালনা: যুবরাজ খান। অভিনয়ে: আল মনসুর, মিতা চৌধুরী, দিপান্বিতা, তানিয়া, নোভা। গল্প : আমাদের চারপাশের মানুষ নিয়ে প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করি, খেলি, গবেষনা করি। জীবন এগিয়ে যায়। সেই্ তালে পাশের মানুষগুলোকে চিনতে চেষ্টা করি। কখনও সফল হই , কখন হই না। কিন্তু নিজেকে কি কখনও ঠিক মত চিনতে পারি? জানতে পারি? রাশেদ আলী একজন সফল অর্থনীতিবিদ। যদিও তার কাছে সাফল্যের চুড়ান্ত বলে কিছু নেই। তিনি আরো পড়াশোনা এবং কাজ করে যেতে চান। মানব জাতির কল্যানের জন্য তিনি তার পুরো জীবন সর্মপন করতে চান। মধ্যবয়সী রাশেদ আলী আর তার স্ত্রী কবিতা নিঃসন্তান দম্পতি। তারা দুজনেই বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কর্মে ব্যস্ত রাখেন নিজেদের। রাশেদ আলী সাহেব নিঃসন্তান নন। একদিন শম্পা নামে এক মেয়ে ফোন করে জানায় তার মা রুনা মারা গেছেন সপ্তাহ খানেক হলো। শম্পা রাশেদ সাহেবের সাথে দেখা করতে চায়, তার সাথে কিছুদিন থাকতে চায়।
রুনা রাশেদ সাহেবের প্রথম স্ত্রী। বিশবছর আগে রাশেদ কবিতার প্রেমের কারণে আটমাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে রুনা ঘর ছেড়েছিলো। রাশেদ সাহেব নানা ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে, মেয়েকে দেখতে চেয়েছেন। রুনা সেটা হতে দেয়নি। দিনে দিনে রাশেদ সাহেব রুনা এবং শম্পাকে ভুলে গিয়েছিলেন। কবিতার সাথে কথা বলে রাশেদ সাহেব শম্পাকে বাসায় আসতে বলেন। শম্পা আসে, তবে একা না। তিনটি মেয়ে আসে, তারা বলে তারা সবাই শম্পা।

৭ দিনের ধারাবাহিক নাটক: জিম্মি ॥ রাত ১০ টায় ॥ রচনা ও পরিচালনা: রেদোয়ান রনি। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, সাজু খাদেম, ফারুক আহমেদ, মিশু সাব্বির , রাহা, এ্যালেন শুভ্র, আরাবী, ফাহাদ, মিতি, রাহাত, বাবু, মিতু এবং ৪ জন চায়নিজ। গল্প : দু-ধরনের মানুষের গল্প জিম্মিতে। একদলে আছে উদ্দেশ্যহীন অপরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু মানুষ যারা জীবনের বিভিন্ন সময় ধনী হওয়ার বিভিন্ন ধরনের উদ্ভট পরিকল্পনা করে। কোনটাতেই সফল না হয়ে এক জায়গা থেকে আরেক উদ্ভট পরিকল্পনা পায়,মানুষকে জিম্মি করে ধনী হবে। আরেকদলে আছে, পরিকল্পিত জীবন-যাপনের কিছু তরুণ-তরুণী, বিয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বেড়াতে যায় বান্দরবানে । ঘটনা চক্রে জিম্মি হয়ে যায় তারা । ঘটতে থাকে একের পর এক নানান ঘটনা-রটনা ।    

বিটিভির ঈদ আয়োজন

এবার ঈদে বিটিভিতে ২৩টি নাটক দেখানো হবে। বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত এসব নাটক প্রচার করা হবে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা, সাড়ে সাতটা, রাত সাড়ে আটটা ও সাড়ে ১০টায়। গত রোববার সন্ধ্যায় বিটিভির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় আট দিনের ঈদ অনুষ্ঠানমালা চূড়ান্ত করা হয়। শুধু ঈদের দিন দেখানো হবে বিটিভির নিজস্ব অনুষ্ঠান। তবে অন্য দিনগুলোতে বেসরকারি পর্যায়ে নির্মিত অনুষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি থাকবে। বিটিভির উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) কামরুন্নেসা হাসানের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান প্রাকমূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামুনুর রশীদের লেখা ও পরিচালনায় ব্যান্ড মাস্টারের কোরবানী নাটকটি দেখানো হবে ঈদের পরদিন রাত সাড়ে আটটায়। ঈদের অনুষ্ঠানমালার জন্য মনোনীত অন্য নাটকগুলো হলো আলভি আহমেদের শালিকের ঘাড়ে রোঁ, আবুল হায়াতের সময়ের গল্প, দিমা নেফারতিতির তোমার জন্য উপহার, নাহিদ হোসেন ও শারমিন আক্তারের বিশেষ দ্রষ্টব্য, জাহিদুল করিমের বাবা, মাইনুল হাসানের মিরাকল, আশরাফী মিঠুর মহারাজা, চয়নিকা চৌধুরীর তোমার কাছে ফেরা, জাহিদুল ইসলামের জাল, মাসুদ সেজানের অতঃপর টিয়াপাখি, আলী ইমামের সুখী লোকের জামা, গোলাম মোস্তফার চোর বউ, এজাজ মুন্নার একা, এস এ হক অলীকের সেই তো আবার, জি এম সৈকতের তবু তুমি আমার, সালমান হায়দারের মেঘে ঢাকা চাঁদ, হালিম তালুকদারের শাস্তি বিধান, নাসিরুদ্দিন মাসুদের মোস্তাচোরার কোরবানী, কায়েস চৌধুরীর নিকোষ, মিজানুর রহমানের সুপারম্যান, মোফাখখারুল ইসলামের হাওয়াই মিঠাই ও রাশেদ শামীমের যাব নির্জনে।
এ ছাড়া আরও থাকবে গানের অনুষ্ঠান, ছায়াছবির গান ও পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছবি।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২২২০, নভেম্বর ১৫, ২০১০

জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।