জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ সালের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট প্রযোজকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য-সচিব মো. জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চলচ্চিত্র জমাদানের জন্য বেশকিছু শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
*কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন।
*আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে।
*যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলাকুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত
হবেন না।
*জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত
হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে তা ২০২০ সালে সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত হতে হবে।
*পুরস্কার যোগ্য প্রতিটি শাখায় গুণগত ও শৈল্পিক মানে শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে।
*দেশীয় প্রেক্ষাপট, পরিচালকের মৌলিকত্ব ও সৃজনশীলতার স্বাক্ষর বহনকারী চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
*জুরি বোর্ডের বিবেচনার জন্য প্রতিটি নৃত্যের জন্য পৃথকভাবে নৃত্য পরিচালকের নাম উল্লেখ করতে হবে। একইভাবে প্রতিটি গানের (পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে এমন) জন্য পৃথকভাবে গায়ক, গায়িকা, গীতিকার এবং সুরকারের নাম উল্লেখ করতে হবে।
*কাহিনির ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশক এর অনুমতি (কপিরাইট) নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
*বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।
*জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য অংশগ্রহণকারী কোনো চলচ্চিত্রে সেন্সরবিহীন কোনো দৃশ্য সংযোজন এবং সেন্সরকৃত কোনো অংশ বিয়োজন করা হয়েছে
বলে প্রমাণিত হলে চলচ্চিত্রটি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।
*সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রধান প্রধান দৃশ্য/সংলাপ সম্বলিত বিষয়বস্তুর ওপর ৫ মিনিটের (কম/বেশি) ১টি সিডি/ডিভিডি/পেনড্রাইভ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমাকৃত চলচ্চিত্রটির সাথে জমা দিতে হবে।
*সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রযোজক কর্তৃক যে সকল শিল্পী ও কলাকুশলীদের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে তাদের নাম চলচ্চিত্রের টাইটেলে উল্লেখ থাকতে
হবে।
আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল-চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকারসহ মোট ২৮ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বিনামূল্যে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট (http://www.bfcb.gov.bd/) থেকে ভাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে।
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড ও সদস্য-সচিব, জুরি বোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০, তথ্য ভবন (লেভেল ১৩ ও ১৪), ১১২ সার্কিট হাউজ রোড, রমনা, ঢাকা-১০০০ এই ঠিকানায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২১
জেআইএম